জ্বালানির দাম বৃদ্ধি: শাহবাগে বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা

পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরাই তাদের উপর প্রথম চড়াও হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2022, 03:42 PM
Updated : 7 August 2022, 03:42 PM

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের তুলে দিয়েছে পুলিশ।

বিক্ষোভকারীরা বলছে, পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তবে পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরাই তাদের উপর চড়াও হয়েছিল।

হামলায় বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বাম সংগঠনগুলো।

সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২-৫২ শতাংশ বাড়ানোর পর থেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। এর প্রভাবে বাস ভাড়া ইতোমধ্যে বেড়েছে, নিত্য পণ্যের দামও আরেক দফা বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ হচ্ছে।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।

মিছিলটি শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় ঘুরে ফের শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে।

এক পর্যায়ে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন আন্দোলনকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছিল।

ছাত্র ইউনিয়ন নেতা অনিক রায় বলেন, “পুলিশ বিনা উসকানিতে লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা সালমান সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের নারী নেতা-কর্মীদেরকে পুলিশ হেনস্থা করেছে। নারী পুলিশ সদস্য থাকলেও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমাদের নারী নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ন্যক্কারজনকভাবে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

অভিযোগের বিষয়ে ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ লাঠিপেটা করবে, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের উপরই তারা প্রথম চড়াও হয়েছে। আমাদের একজন এসিকে তারা ঘুষি মেরেছে, তার তিনটা সেলাই লেগেছে। আমাদের একজন সাব-ইন্সপেক্টরও আহত হয়েছে।

“আমরা তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেইনি। তারা হঠাৎ করে পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। মূলত তারা একটা ইস্যু তৈরি করতে পুলিশের উপর চড়াও হয়েছে।”