মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় ‘সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী’দের গলদ কম নয়

আনিসুর রহমান
Published : 2 May 2020, 03:47 PM
Updated : 2 May 2020, 03:47 PM

২০২০ বছরটি আমাদের জন্যে মুজিববর্ষ, জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ। যদিও করোনাভাইরাসের থাবায় এই বর্ষ উদযাপনে অনেক কিছুই বদলে গেছে। এরকম বদলে যাওয়া দুনিয়ায় আমরা মুখোমুখি হচ্ছি ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের। এই দিবসকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর একটি উক্তি স্মরণ করতে চাই। তিনি তার 'আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থে এক জায়গায় মানুষের ভাত-কাপড়ের অধিকারের পাশাপাশি মতপ্রকাশের অধিকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তা না হলে মানুষের জীবন পাথরের মত শুষ্ক হয়ে যায়। এই কথাটাও বঙ্গবন্ধুরই। এখানে একটি কথা বলে নেয়া ভাল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে এই স্বাধীনতা ভোগের দায়িত্বটাও আমাদের থাকা চাই। এর যে কোন একটার ব্যত্যয় হলে মতপ্রকাশের বাস্তবতা গুবলেটে হয়ে যেতে পারে।

আমার প্রশ্ন, ২০২০ সালে এসে আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে, আমরা কি সেই গুবলেট অবস্থায় আছি? নাকি সংহত অবস্থায়?

এবারে বলে নিতে চাই, ১৯৯০ দশকের শুরু থেকে দেশে দেশে জাতিসংঘের ঘোষণার আলোকে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করা হয়; উদ্দেশ্য, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বের পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি পৃথিবীর সরকারগুলোকে এই স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও কর্তব্য পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। সমস্যা হল কিছু কিছু দেশে এমন অবস্থা সরকারের ভেতরে বাইরে অনেক সরকার থাকে। অই অবস্থায় আমরা কয়টা সরকারকে মনে করিয়ে দেব।

দেখা গেল গণমাধ্যমের একজন কর্মী পেশাগত কারণেই হয়রানি বা হুমকির স্বীকার হলেন। অথচ তাকে ঢুকিয়ে দেয়া হল কোন অপরাধ সংঘটনের মামলায় বা অন্য কোন মোকদ্দমা বা ঝামেলায়। এই তো দিন কয়েক আগেই কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক তার সঙ্গপাঙ্গ হাকিমসহ গণমাধ্যমের এক বন্ধুকে নাজেহাল করলেন। এক্ষেত্রে আমাদের সরকার ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়ে সাংবাদিকের পাশে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা ত্রাণ বিতরণ নিয়ে এক খবরের জেরে দুই সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এবার গণমাধ্যম ঠেলা সামলাক। এ পর্যায়ে বলে নেয়া দরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী বলা আছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রথম করা ২০০৬ সালে, বিএনপি-জামাত শাসনামলে। ২০১৩ সালে শাস্তি বাড়িয়ে আইনটিকে আরো কঠোর করা হয়। ২০১৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনটি পরিমার্জিত ও কিছু ধারা বিলুপ্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি প্রণয়ন করা হয়। নতুন এই আইনের অধীনে বেশ কয়েকটি ধারায় মানহানি, বেআইনি তথ্য-ব্যবহারসহ নানা অজুহাতে গণমাধ্যমে কর্মরত কর্মীরা হয়রানির শিকার হতে পারেন। আদতে ক্ষেত্রবিশেষে হচ্ছেনও তাই।

এরকম আইনের কারণে দৃশ্যমান হুমকির চেয়ে অদৃশ্য বাধা আরও ব্যাপক। যে কারণে আত্মসংবরণ বা সেল্ফ সেন্সরশিপে চলে যেতে পারেন সাংবাদিকরা, যা খবর প্রকাশে আর গণমাধ্যমে গঠনমূলক বিতর্ক সচল রাখতে কর্কটরোগের মত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে আর জনকল্যাণমূলক লাগসই উন্নতি চাইলে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গলদ দূর করা ছাড়া বিকল্প কিছু কি আছে? প্রসঙ্গক্রমে একটি কথা বলে নেয়া ভাল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর রাজনৈতিক মেরুকরণে অংশ নেয়া এক কথা নয়। অথচ ক্ষমতার পালাবদলে এরকমটাই হয়েছে। তার অন্যতম উদাহরণ ২০০৭-২০০৮ সালের সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক শাসনামল।

এবার একটু ইতিহাসের পেছনে ফিরে যাই। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনে যে বাস্তবতা, এই অবস্থায় শুধু গণমাধ্যম কেন সবকিছুর উপরই সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সেখানে সংবাদপত্রই বা এর আওতা থেকে বাদ যাবে কেন? তবে প্রশ্ন হল বিষয়টা আপদকালীন কিনা। আমরা যদি ১৯৪০ দশকের শেষের দিকে নয়াচীনের নবযাত্রা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের শুরুর দিকটা দেখি কিছুটা ধারণা আমরা পেতে পারি। 

স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর সরকারের আমলে সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর এনায়েতউল্লাহ খান তার সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকায় অধ্যাপক নিয়াজ জামানের একটি নিবন্ধ ছাপেন। যেখানে নিয়াজ জামান লিখলেন, 'সাপকে তার বাচ্চাকাচ্চাসহ হত্যা করা হয়েছে।' এটা কোন ধরনের সাংবাদিকতা হল? এই ধরনের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে আমরা কী করব?

বঙ্গবন্ধুর সময়কার আরো একটি ঘটনা বলি। কবি রফিক আজাদ 'ভাত দে হারামজাদা' শিরোনামের একটি কবিতা লিখে বেকায়দায় পড়েছিলেন। অনেকে ভুল বুঝেছিলেন। সরকারি মহলেও ভুল বার্তা গিয়েছিল। এমন অবস্থায় মন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কবি রফিক আজাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলেন। রফিক আজাদ কবিতার প্রেক্ষাপট বঙ্গবন্ধুকে বিশদ বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কবিতাটিকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তাহলে বুঝুন।

১৯৭৫ এর আগে যারা অতি প্রগতিশীল, অতি গণতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সম্পাদক ছিলেন তাদের অনেকেই খন্দকার মোস্তাক, সামরিক শাসক জিয়া-এরশাদ হয়ে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন আমলেও সুবিধাদি নিয়েছেন, কূটনৈতিক চাকরি, জমি বরাদ্দ এমনকি অনেকে মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছেন। এসবের ধারাবাহিকতা সামরিক সরকারের বাইরে নির্বাচিত সরকারের আমলেও দেখা গেছে। যে কারণে গণমাধ্যম নিয়ে উষ্মা, অস্বস্তি, ভয় বা অবিশ্বাস অবান্তর কিছু না। এমন কি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের আগে পরে ইত্তেফাকের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিক আবেদ খান একটি লেখা লিখেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপানোর আগ মুহূর্তে ছাপাখানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল, অথচ ওই লেখাটি প্রকাশ পেলে বঙ্গবন্ধুকে হয় তো রক্ষা করা যেত। ইত্তেফাক ওই পেশাদারিত্বটুকু দেখাতে পারলে সংবাদপত্রের মর্যাদা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনেক উঁচুতে থাকত।

এক পর্যায়ে আমাদের সাংবাদিক ইউনিয়ন ভাগ হয়ে গেল। আমার প্রশ্ন, এই ইউনিয়নের কাজটা কী? অন্যান্য দেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের চাকরি রক্ষা, অন্যবিধ সুযোগ সুবিধা, বেকার বীমা, বৃত্তিসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে। আমাদের সাংবাদিক ইউনিয়ন দুই ভাগে ভাগ হয়ে নেতা তৈরির সংখ্যা বাড়িয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনীতির দুই মেরুকরণে তল্পিবাহক হয়েছেন। ইউনিয়ন নেতাদের দুই একজন ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের সমমনা সরকারের কৃপায় দুই একটা পদ, জমি, বিদেশ সফর নিদেন পক্ষে হজের টিকেটে মক্কা-মদীনা ঘুরে আসার সুযোগে ধন্য।

অথচ গণমাধ্যমের মর্যাদা রক্ষা, মত্রপ্রকাশের স্বাধীনতা ও পেশাদারিত্বের মনোন্নয়নে তাদের দৃশ্যত কোন কার্যকর ভূমিকা নাই। এমন কি সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে যখন সম্পাদক বা পত্রিকার মালিক হন, তার সহকর্মীদের প্রাপ্য বেতনটা দিতেও ইতস্তত করেন। এরকম উদাহরণও আছে।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে জাতিসংঘের ঘোষণায় মালিকের স্বাধীনতা না বলা হলেও আমাদের দেশে ক্ষেত্র বিশেষে ঘটেছে তাই। মালিক চাইলে তার নিজস্ব গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার নিয়মনীতিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে খবর পরিবেশনের উদাহরণও কম নয়। একই সঙ্গে চামচাপোষ্য সম্পাদক রেখে গণমাধ্যমকে নিজ নিজ ব্যবসার হাতিয়ার বা মাস্তান হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। যেখানে সময়ে সময়ে পেশাদার সংবাদকর্মীর চেয়ে অপেশাদার তল্পিবাহকের চাহিদা বেশি। এরকম হাতিয়ার দিয়ে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ফায়দাও নিয়ে থাকেন। কখনো কখনো গণমাধ্যম ব্যবহার করে শত্রুতাসাধনের মত কাজটিও অনেকে করে থাকেন। এইসব প্রবণতা বুঝতে পেরে ক্ষমতাসীন মহল যেমন ইটা তেমন মুগুরের মত ব্যবস্থা চিন্তা করে থাকতে পারেন।

আমাদের দেশে অপেশাদার দুই নম্বরি সাংবাদিকতা শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে মনুষ্যসৃষ্ট আকালের সময়ে; বাসন্তীকে জাল পরিয়ে মিথ্যা খবর ছাপিয়ে। সেই জাল পরানো সাংবাদিকতা বা গুজব কী থেমে আছে?

ঘটনা ওখানেই শেষ নয়। ২০০৭-২০০৮ সালে দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত বাংলা ও ইংরেজি দুই পত্রিকাসহ কতিপয় গণমাধ্যমের ভূমিকা তো আর গোপন কিছু না।

অন্যদিকে গণমাধ্যম জগতের দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনৈক্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বড় গলদ। এই জগতের নানা পর্যায়ে কত কত সংগঠন। নোয়াব, সম্পাদক পরিষদ, এডিটরস গিল্ড থেকে শুরু করে কতরকম যে প্রতিবেদক সংগঠন বা ফোরাম, সবাইকে নেতা হতে হবে যেন!

সব সংগঠন সবার মতই থাকুক। তবে ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি নিয়ে একটা সমন্বিত প্লাটফরম বা দাঁড়াবার জায়গা গড়ে তুলতে হবে। এই প্লাটফরমের অধীনে একটা সিম্পোজিয়ামের আয়োজন কর যেতে পারে। মতপ্রকাশের বাধা দূরীকরণসহ পেশার উৎকর্ষে ও নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর সুপারিশমালা ও পদক্ষেপ জরুরি, আসন্ন বিপর্যয় ঠেকাতে চাইলে। বিপর্যয়টা বহুমুখী। একদিকে চাকরি রক্ষা, অন্যদিকে পিঠ রক্ষা। সাংবাদিকদের পেট ও পিঠ দুটোই যদি বিপদের মধ্যে পড়ে, আমরা যাব কোথায়?

গণমাধ্যমে কর্মরত বন্ধুরা যেমন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করবেন একই সঙ্গে আত্মসমালোচনার চর্চাও দরকার। একটা গল্প বলি, ২০০০ দশকে সুইডেনের সবচেয়ে পুরনো এবং বৃহৎ পত্রিকা দগেনস নিহেতার (দিনের সংবাদ/) দপ্তরে কবি স্টিগ লারসন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক অরনে রুথ এবং তার সহকর্মীদের সঙ্গে পত্রিকাটির সাহিত্য সমালোচনা নিয়ে একটা চা চক্রে যোগ দিয়েছেন। স্টিগ লারসন পত্রিকার ভূমিকায় অখুশি ছিলেন। এক পর্যায়ে স্টিগ লারসন অরনে রুথকে উদেশ্য করে বললেন, "আপনাদের পত্রিকার পাতায় যে সমস্ত সাহিত্য সমালোচনা ছাপা হয় তাতে আমি প্রস্রাব করি।" এই ঘটনার পরও কিন্তু ওই পত্রিকার সম্পাদকম-লী বা পত্রিকার সঙ্গে কবি স্টিগ লারসনের শত্রুতা তৈরি হয়নি।

কথা আরো আছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় সবার সমালোচনা করা যাবে। কেবল বুদ্ধিজীবী আর মোল্লাদের সমালোচনা করা সহজ না। কোন বুদ্ধিজীবির কোন বিষয়ে যথার্থ এবং ছাপার উপযোগী সমালোচনা থাকলেও তার নামটি ছাপানো যাবে না। তাতে যদি তার সম্মানহানি হয়। একইভাবে মোল্লাদের দৃশ্যত অন্যায় বা আপত্তিকর বক্তব্য বা কর্ম তুলে ধরলেও 'ধর্মানুভূতি'র অজুহাত বড় হয়ে সামনে আসে। এই প্রবণতা আর কতকাল?

এমতাবস্থায় আমাদের গণমাধ্যমের সামনের বাধা দূর করতে হলে উদ্যোগটা নিতে হবে নিজেদেরই। কোন সরকার বা রাজনৈতিক দল এই পেশার বিবদমান সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে দেবে সে আশায় কেন থাকবেন? দরকার হলে আর কিছু না পারলেও একদিন সব পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা ফাঁকা রাখা যায়। এটা এক ধরনের বার্তা প্রদান। নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নিজেদের গলদগুলোও চিহ্নিত করতে হবে। এই পর্যায়ে একটা উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ঘিরে সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের লেখায় তার সাংবাদিকতার যে কৌশল, সাহস, তার ছিটেফোঁটাও কি ২০০৭-২০০৮ সালে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলা বিষয়ে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা দেখাতে পেরেছেন? ১৯৬৮-১৯৬৯ সময়টা ২০০৭-২০০৮ সালের চেয়ে মোটেও সহজ ছিল না।

এই পর্যায়ে একটা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশের মতপ্রকাশের সংকটের জন্য কেবল বিদ্যমান আইন বা ব্যবস্থাই না- খোদ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরাও কোন অংশ কম দায়ী নয়। সাংবাদিক বন্ধুদের এই দায়টা স্বীকার করে নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। গণমাধ্যম অন্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে। গণমাধ্যম জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে কেন?