শতবর্ষে কবীর চৌধুরী

বাংলাদেশের প্রতিবাদী নাগরিক আন্দোলনে কবীর চৌধুরীর নেতৃত্ব আমাদের সাহসী করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল আপসহীন।

মোনায়েম সরকারমোনায়েম সরকার
Published : 9 Feb 2023, 01:32 PM
Updated : 9 Feb 2023, 01:32 PM

বেঁচে থাকলে এবার শতবর্ষী হতেন কবীর চৌধুরী। কিন্তু এক যুগ আগে তার মৃত্যু বাঙালি জাতিকে মেধা-মননে নিঃস্ব করেছে নিঃসন্দেহে। জীবিত অবস্থায় তিনি ছিলেন জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বর। নানামুখী প্রতিভার অধিকারী কবীর চৌধুরী জীবনে কত কিছু যে করেছেন, তার পূর্ণ বিবরণ দেওয়া আমার জন্য সহজ কাজ নয়। আমি শুধু তার সঙ্গে আমার পরিচয় ও কিছু উজ্জ্বল স্মৃতির কথাই এখানে উল্লেখ করব। আমার সঙ্গে তার সরাসরি পরিচয় ১৯৭৮ সালে এবং সেই পরিচয় পরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিণত হয়েছিল। আমি তাকে কবীর ভাই বলেই সম্বোধন করতাম, তিনিও আমাকে ছোট ভাইয়ের মতোই স্নেহ করতেন।

আমি সরাসরি রাজনীতির মানুষ। ছাত্রজীবন থেকেই বামধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলাম। ছাত্রজীবন শেষ করেও রাজনীতিকেই করে তুলেছিলাম জীবনের ধ্যানজ্ঞান। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। স্বাধীনতার পরও সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই ছিলাম অবিচল। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমি সবসময়ই তৎপর থেকেছি, আছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনাটি আমার জীবনে একটি বড় প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। আমি শেখ মুজিবের দল আওয়ামী লীগ করতাম না। আমি ছিলাম অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বাধীন ন্যাপের একজন ক্ষুদ্র সংগঠক, কর্মী। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ গঠন করেন। আমরা এই উদ্যোগের পক্ষে ছিলাম। আমাকে বাকশালের যুব সংগঠন জাতীয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেভাবে দেশে প্রতিক্রিয়া না হওয়ার বিষয়টি আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে। নানা উপায়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলাম। এমনকি বড় কিছু করার ইচ্ছে থেকে ভারতে বছরদুয়েক স্বেচ্ছানির্বাসনে থেকেও প্রতিবাদী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থেকেছি। 

১৯৭৮ সালের গোড়ার দিকে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। মূলত বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করতে গিয়েই কবীর চৌধুরীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ, পরিচয়। তিনি একজন কৃতী শিক্ষাবিদ, একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর বড় ভাই তিনি, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাকে শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলেন– এসব আমার জানা ছিল। আরও জানতাম, তিনি প্রগতিমনস্ক ও দেশপ্রেমিক মানুষ। তার মতো মানুষেরা বঙ্গবন্ধু পরিষদে যুক্ত হলে সামরিক স্বৈরাচারী শাসকদের রক্তচোখ উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা প্রতিহত করা সহজ হবে– এটা ভেবেই তার কাছে গিয়েছিলাম। আমার প্রস্তাবে তিনি শুধু সম্মতিই দেননি, আরও অনেককে বঙ্গবন্ধু পরিষদে যুক্ত করার জন্য তিনি সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই থেকে আমৃত্যু কবীর ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি বরং আরও গাঢ় হয়েছে। 

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান শাহ এম এস কিবরিয়া। কিবরিয়া ভাইয়ের সঙ্গেও আমার অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কিবরিয়া ভাইয়ের আগ্রহেই আমরা সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, কূটনীতিক, শিল্প-সাহিত্য বিষয়ে গবেষণা ও সমাজ সচেতনতামূলক কাজ করার উদ্দেশে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নামে একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। শুরু থেকেই কবীর ভাই ছিলেন এই সংগঠনের একজন অন্যতম অংশীজন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলায় নিহত হলে বিএফডিআর-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব কবীর ভাইয়ের ওপর চাপিয়ে আমরা নির্ভার হয়েছিলাম। 

কবীর চৌধুরী ছিলেন কাজের মানুষ। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর বিএফডিআর-এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহ এ এম এস কিবরিয়া স্মারক বক্তৃতা প্রবর্তন করেছিলাম। ওইসব স্মারক বক্তৃতায় দেশের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাংবাদিক-সাহিত্যিক অংশ নিয়েছেন। বিএফডিআর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চারটি ও কিবরিয়া সাহেবকে নিয়ে পাঁচটি স্মারক বক্তৃতা আয়োজন করেছে। সবগুলো স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানেই সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন কবীর ভাই। তিনি এত সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতেন যা শ্রোতা-দর্শকদের আকৃষ্ট করত। কবীর ভাই ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র-শিক্ষক হয়েও এত সুন্দর বাংলা বলতেন, যা সবার জন্যই শিক্ষণীয়। তিনি অনেক জানতেন বলেই সম্ভবত অত সহজ করে বলতে পারতেন। অমন চমৎকার শুদ্ধ উচ্চারণই বা কজন করতে পারে। 

অধ্যাপক কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবার তৎকালীন কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার বাবা খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী ছিলেন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ৮৮ বছর বয়সে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ঘুমের মধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার এই চিরবিদায়ে বিএফডিআর হারিয়েছে চেয়ারম্যানকে আর দেশ হারিয়েছে এক ধীমান কর্মোদ্যোগী মানুষকে। 

ছাত্র হিসেবে কবীর চৌধুরী ছিলেন অসাধারণ মেধাবী। ১৯৪০ সালে আইএ পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে বিএ অনার্স এবং পরের বছর এমএ পাস করেন। দুটো পরীক্ষাতেই তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ইংরেজিতে অনার্সে বহু বছর ধরে বুদ্ধদেব বসু ছাড়া আর কেউ পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর পাননি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি যে কেবল লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন তা নয়, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও টেনিস খেলাতেও ছিলেন সমান পারদর্শী।

কবীর চৌধুরী ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। মৌলিক বিষয়ে যেমন লেখালেখি করেছেন, তেমনি তার মতো এত অনুবাদ আমাদের দেশে আর কেউ করেননি। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, চিত্রকলা– সব ধরনের বিষয়ই তার অনুবাদে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের সাহিত্যেরও প্রচুর অনুবাদ করেছেন তিনি। তার বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদগ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। নিরলসভাবে চিন্তাশীল প্রবন্ধ রচনা করে গেছেন আমৃত্যু।

বাংলাদেশের প্রতিবাদী নাগরিক আন্দোলনে কবীর চৌধুরীর নেতৃত্ব আমাদের সাহসী করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল আপসহীন। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তার যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যের কারণে মৌলবাদীরা তাকে ‘মুরতাদ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন সব ভয়ভীতির উর্দ্ধে। 

এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি গিয়ে তাকে অনেক সময় তিনি পরামর্শও দিয়েছেন।

কর্মজীবনে কবীর চৌধুরীর কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষাসচিব, শিক্ষা কমিশনের প্রধান– যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সব জায়গাতেই সাফল্যের চিহ্ন রেখে গেছেন।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে নানা পুরস্কার-সম্মাননা। ব্রত হয়েছিলেন জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে, আমৃত্যু ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি।

জাতীয় শিক্ষানীতিকে সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ১৯৭৪ সালের কুদরাত-ই-খুদা কমিশন রিপোর্ট এবং ১৯৯৭ সালের শামসুল হক শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আলোকে একটি নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯-এর খসড়া সরকারের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হয় ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর।

কমিটির সুপারিশের মুখ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে: স্নাতকপূর্ব শিক্ষার প্রচলিত তিনটি পর্যায়কে দু’টি পর্যায়ে রূপান্তর, শিক্ষার সকল পর্যায়ে কতিপয় আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ, শিক্ষাকে আরও প্রয়োজন-নির্ভর করা এবং একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন। নীতিপত্রে সুপারিশের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ আট বছর পর্যন্ত বাড়ানো, অষ্টম শ্রেণি সমাপনের পর প্রাথমিক স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠান এবং পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্কুল বৃত্তি প্রদান। নতুন শিক্ষানীতিতে আরও সুপারিশ করা হয় যে, মাধ্যমিক স্তরের মেয়াদ হবে চার শিক্ষা বছর, নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং সরকারি বৃত্তি পরীক্ষা গৃহীত হবে দশম শ্রেণি সমাপ্তির পর। দ্বাদশ শ্রেণি সমাপনের পর মাধ্যমিক স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কারিকুলামের বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলা ভাষা, নীতি শিক্ষা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, গণিত, প্রাকৃতিক পরিবেশ, সমাজ পাঠ, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞানসহ কতিপয় মৌলিক বিষয় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতক ধরনের কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রবর্তনের কথা বলা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ আবশ্যিক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত করে মাদ্রাসা শিক্ষাকে পুনর্বিন্যাস করার কথাও বলা হয়। কমিটি বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য একটি কমিশন গঠনেরও সুপারিশ করে।

আজকে শিক্ষাখাতে যে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি কবীর চৌধুরীর শিক্ষা বিষয়ক সুপারিশে খুঁজে পাওয়া যায় না? 

কবীর চৌধুরী আড়ম্বর পছন্দ করতেন না। যে কাজই করতেন সেটা করতেন মনের টানে। তাকে দিয়ে যেমন জোর করে কেউ কিছু করাতে পারত না, তেমনি তিনি কিছু করতে চাইলে তা থেকেও তাকে কেউ বিরত করতে পারত না। মৃত্যুর পর তার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে লোক দেখানো সম্মাননা জানানোর বিষয়টি তিনি আগেই বারণ করেছিলেন। ২০০৫ সালে একটি সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে কবীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘চিরবিদায়ের ক্ষণ উপস্থিত হলে আমিও হাসিমুখে বিদায় নিতে চাই। আর মৃত্যুর পর আমি চাই না যে কোনোরকম পাকা সমাধি হোক, শিলালিপি লেখা হোক, নামধাম, জন্ম-মৃত্যুর তারিখ ইত্যাদি কোথাও উৎকীর্ণ হোক। এসবের কোনো দরকার নেই। আমি এসব চাই না। আমাকে যদি মানুষ স্মরণ করতে চায়, মনে রাখতে চায়, তাহলে অনেকভাবেই তা করতে পারবে। আমার শিক্ষকতার কথা তারা স্মরণ করতে পারবে, আমার রচিত বই-পুঁথির কথা তারা স্মরণ করতে পারবে, আমার মৌলবাদবিরোধী ভূমিকার কথা, আমাদের সুশীল সমাজকে অধিকতর শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আমার প্রয়াসের কথা স্মরণ করতে পারবে। এসবের মধ্য দিয়েই আমার স্মৃতি বেঁচে থাকবে। যদি কেউ বাঁচিয়ে রাখতে চায়। সে জন্যই আমি পাবলিক গ্রেভইয়ার্ডে সমাধিস্থ হতে চাই, সরকারি গোরস্থানে শেষশয্যা পাততে চাই। সেখানে বছর তিনেক পর নতুন কবর হবে আমার কবরের ওপর।’

মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়েছিলেন বলেই কবীর চৌধুরী এমন কথা বলতে পেরেছেন। 

জন্মশতবর্ষে এই জ্ঞানতাপসের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।