৭ নভেম্বরের ঘটনা যদি জনতার বিপ্লবই হবে, তাহলে তারপর সামরিক শাসন হলো কেন? আর যদি সিপাহী বিপ্লব হবে তাহলে কর্নেল (অব.) তাহেরের ফাঁসি হবে কেন?
Published : 06 Nov 2023, 11:18 PM
গুরুত্বপূর্ণ বড় কোনো ঘটনা বা ঘটনাবলির কেন্দ্রে অবস্থান করলে অনেক সময়ই ঘটনা বা ঘটনাবলির বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না। এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার কারণে, নানা রকম যোগাযোগ বা সংশ্লিষ্টতার কারণে মূল্যায়নে তাৎক্ষণিক আবেগটাই প্রধান হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ঘটনার বিশ্লেষণ এবং ঘটনা সম্পর্কে মূল্যায়ন শুধু যে একপেশে হওয়ার আশঙ্কা থাকে তা-ই নয়, এ ধরনের তাৎক্ষণিক মূল্যায়নের বিপদ হলো এতে ঘটনা বা ঘটনাবলি সম্পর্কে আসল কথাগুলোই আবেগের কারণে আড়ালে চলে যেতে পারে। তখন চোখে দেখা ঘটনাবলিই অন্যরূপ ধারণ করে।
ঘটনা যখন নিকট অতীত হয়, তখনই দূরে থেকে এর নিরাবেগ মূল্যায়ন সম্ভব হয়। কারণ শুধু যে তাৎক্ষণিক আবেগই প্রশমিত হয় তা নয়, বিভ্রান্তি এবং ঘটনার গতিজনিত দিকভ্রান্তিও হ্রাস পায়। ফলে নিকট অতীতের ঘটনাবলির যথাসম্ভব নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নও সম্ভব হয়।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলি এত দিন যেভাবে চিত্রিত হয়ে এসেছে; তাতে কি তার সত্য স্বরূপটি উদ্ঘাটিত হয়েছে? কারও কারও আবেগ, কারও দুঃখ, কারও হতাশা এখনো ৭ নভেম্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে। সবচেয়ে বড় কথা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলিকে শুধু চক্রান্ত বা সামরিক অভ্যুত্থানের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার না করে পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিক রাজনৈতিক-সামরিক ঘটনাবলির অংশ হিসেবেই বিবেচনা করাই যথার্থ হবে।
সেজন্যই ৭ নভেম্বরের মূল্যায়ন করার আগে এর পটভূমি অর্থাৎ ৩ নভেম্বর এবং ১৫ অগাস্টের ঘটনাবলিও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। এখন তো এটা পরিষ্কার যে ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট দেশকে কোনো স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ আত্মস্বীকৃত খুনি মেজরদের দিয়ে সপরিবারে, সবান্ধবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করাননি, তার উদ্দেশ্যটি ছিল একেবারেই পরিষ্কার, ক্ষমতায় যাওয়া। খন্দকার মোশতাক নিজে বাংলাদেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছেন এবং কিছু অনুগত সামরিক অফিসারদের দিয়ে এটা করিয়েছেন। এর জন্য ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা যা করার তার রাজনৈতিক বন্ধুরা করেছেন। আর সামরিক অনুগতরা একটি অনুকূল সময়ের অপেক্ষা করেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রবর্তনের পরবর্তী সময়টাকেই বেছে নিয়েছেন খন্দকার মোশতাক আঘাত করার জন্য। সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক। ১৫ অগাস্টের সামরিক অভ্যুত্থান আসলে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের উপায় মাত্র। সামরিক ঘটনাবলি নেপথ্যে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা মাত্র।
কিন্তু শুধু ১৫ অগাস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতা নিষ্কণ্টক হয়ে যায়নি। এই সামরিক অভ্যুত্থান ও মোশতাকের ক্ষমতা দখলের উপজাত হিসেবে বাংলাদেশের সামনে একটি সংকট তীব্রভাবে উপস্থিত হয়। খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখল করার পর ‘কিলার’ মেজর হিসেবে যারা পরিচিতি লাভ করে সেই ফারুক-রশীদ-ডালিম গং, তারা সেনানিবাস ছেড়ে কিছু ট্যাংক ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে বঙ্গভবনে ঘাঁটি গেড়ে বসে। এদের সঙ্গে সেনা কমান্ডের দৃশ্যত কোনো সম্পর্ক ছিল না। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডের সঙ্গে কিলার মেজরদের বিরোধ ক্রমেই বাড়তে থাকে। একসময় দেশবাসীর কাছে প্রতীয়মান হয় যে দেশে দুটো সেনা কেন্দ্র রয়েছে। একটি সেনা সদর আরেকটি খন্দকার মোশতাক নিয়ন্ত্রিত বঙ্গভবনকেন্দ্রিক কিলার মেজরদের ঘাঁটি। বেসামরিক প্রশাসন চালাচ্ছেন খন্দকার মোশতাক। তার সঙ্গে আছে কিলার মেজররা।
সেনা সদরের কাছে ব্যাপারটি যে পছন্দ হয়নি, সেটা পরবর্তী ঘটনাবলি থেকে বোঝা যায়। সেই সময়ই কিলার মেজরদের আর্মি ডিসিপ্লিনে ফিরিয়ে আনা, ক্যান্টনমেন্টে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচিত হতে থাকে। অন্যদিকে কিলার মেজরদের দিক থেকে বঙ্গভবন দখল করে গ্যাট হয়ে থাকাটা ছিল নিরাপদ। মোশতাকও নিশ্চয়ই চেয়েছিলেন তার অনুগতরাই তার কাছেপিঠে থাকুক। এতে ভরসা করার মতো ঘাতক শক্তি তার নিয়ন্ত্রণেই থাকে। এই বিবেচনায় সেনা সদরের সঙ্গে কিলার মেজর ও মোশতাক গংয়ের বিরোধ দেশের সামনে একটি অদৃশ্য সংকট সৃষ্টি করে। সে সময় প্রায় শোনা যেত আরেকটি অভ্যুত্থান হতে পারে। কিলার মেজরদের গ্রেপ্তার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভাঙার জন্য সেনাবাহিনীর ভেতরে অনেকের মধ্যে অসন্তোষ জমে উঠছে। এসব কথার কোনো ভিত্তি ছিল কি না, জানা না গেলেও দৃশ্যত যা মনে হয়েছে দেশবাসীর কাছে তা হলো, বঙ্গভবনে বসে মোশতাককে নিয়ে কিলার মেজররা সেনাবাহিনীকে মোটই গ্রাহ্য করছে না। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কোনো কোনো কর্মকর্তার মতে, এটা ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কিলার মেজরদের চ্যালেঞ্জ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিলার মেজরদের বেআইনি, জবরদস্তিমূলক ও শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেনা সদরের অভ্যন্তরে চাপ বাড়তে থাকে।
তবে এখানে একটি কথা বলে নেওয়া ভালো যে, ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড বা সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য কিলার মেজরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন কথা দুঃস্বপ্নেও কেউ তখন ভাবেনি। সেনা সদরের কর্তাদের ক্ষোভের কারণ একটাই, সেটা হলো, কিলার মেজর এবং বঙ্গভবনের ওপর তাদের কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্য থেকেই ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল। এর মধ্যে অন্য কোনো রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
নভেম্বরের ৪ তারিখ ডাকসুর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর পর্যন্ত যে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার সিদ্ধান্ত হয়েছিল আরও এক মাস আগে। এর জন্য প্রচারপত্র যখন ছাপা হয়েছিল তখন খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের বিষয় দূরের কথা, নামও শোনা যায়নি। তখনো সেনা সদরের প্রতিনিধি হিসেবে জেনারেল জিয়াই বঙ্গভবনের সঙ্গে দরকষাকষি করছিলেন। ৪ নভেম্বরের ডাকসু মিছিলের সঙ্গে খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানকে যুক্ত করা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই ছিল না এবং এই অভ্যুত্থানটি ছিল একেবারে সামরিক ঘটনা, যেটা রাজনৈতিক ঘটনায় এক্সটেনশন পেতে চেয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বঙ্গভবন। ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থানকে যদি আমরা হাফ মিলিটারি ক্যু বলে ধরি তবে ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানটি নিঃসন্দেহে ছিল ফুলমিলিটারি ক্যু।
এ প্রসঙ্গে ১৯৬৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থান, কমিউনিস্ট নিধন এবং জাতীয়তাবাদী নেতা সুকর্নের ক্ষমতাচ্যুতির কথা স্মরণ করা যেতে পারে। প্রথমে কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান করেন জেনারেল আইদিত। এই অভ্যুত্থানে ড. সুকর্ন ক্ষমতাচ্যুত হন। ড. সুকর্ন ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় নেতা, জাতির জনক। তার ক্ষমতাচ্যুতিকে পুঁজি করে জনসাধারণের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে পাল্টা অভ্যুত্থান করে একদিকে কমিউনিস্ট জেনারেল আইদিত, কমিউনিস্ট পার্টি, লাখ লাখ কমিউনিস্ট হত্যা করে এবং ড. সুকর্নসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করে জেনারেল সুহার্তো ক্ষমতা দখল করে নেন।
বাংলাদেশে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরেও কর্নেল (অব.) তাহের এবং জেনারেল জিয়ার আঁতাতের মধ্যে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার ঘটনার একটি মিল আছে। উভয় ঘটনায়ই মিলটি হচ্ছে ষড়যন্ত্রের ভেতরে ষড়যন্ত্র, অভ্যুত্থানের পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্নেল তাহের ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন। খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দী কিন্তু সেনাবাহিনীর মধ্যে জনপ্রিয় জেনারেল জিয়ার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন কর্নেল তাহের। সেই জন্য সেনাবাহিনীর ভেতরে বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিলেন। জওয়ানদের এমনভাবে উত্তপ্ত করেছিলেন যে তারা অফিসারদের হত্যায় মত্ত হয়ে উঠেছিল। এটা কোনো বিপ্লব-টিপ্লব ছিল বলে আমি মনে করি না। এর সঙ্গে দেশের জনগণেরও কোনো যোগাযোগ ছিল না। অবশ্য জনসাধারণকে মানসিকভাবে এই তথাকথিত বিপ্লবের সঙ্গে রাখার জন্য ভারতবিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে ভারতভীতি উসকে দেওয়ার ব্যাপারে কর্নেল তাহের গং কোনো ভুল করেননি।
৭ নভেম্বরের ঘটনা যে কোনো বিপ্লব ছিল না এটা তার পরবর্তী ঘটনাবলি থেকেও বোঝা যায়। কারণ ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলির পরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ও রাষ্ট্রক্ষমতার পরিপূর্ণভাবে সামরিক শাসন জেঁকে বসে। একবার বেসামরিক লেবাস ছেড়ে পুরোপুরি সামরিক শাসনের কাল শুরু হয়। বলা যায়, ১৫ অগাস্ট এবং ৩ নভেম্বরের ঘটনাবলি সামরিক শাসনের ক্ষেত্রে যে অপূর্ণতা রেখে গিয়েছিল, ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলি তাই পূর্ণ করে দিয়েছে। সামরিক শাসন ও সেনাশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা যায় যে যারা সামরিক শাসনে বিশ্বাস করেন, তাদের মতে এই নভেম্বরই দেশ স্বাধীন হয়েছিল, মুক্ত হয়েছিল। ১৫ অগাস্টের অভ্যুত্থানের ঘাটতি ৭ নভেম্বর পূরণ করেছিল। আর ১৫ অগাস্টের আগে একদলীয় শাসন, বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) ও রাষ্ট্রপতির শাসন থাকলেও সামরিক শাসন ছিল না। বাংলাদেশে সামরিক শাসন হয়েছে ১৫ অগাস্ট থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাবলির পরিণতিতে। যে ঘটনা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে তা আর যা-ই হোক বিপ্লব হতে পারে না। যারা এর হোতা তারাও আর যা-ই হোক বিপ্লবী হতে পারেন না।
৭ নভেম্বরের ঘটনা যদি জনতার বিপ্লবই হবে, তাহলে তারপর সামরিক শাসন হলো কেন? আর যদি সিপাহী বিপ্লব হবে তাহলে কর্নেল (অব.) তাহেরের ফাঁসি হবে কেন? আসলে অভ্যুত্থান পাল্টা-অভ্যুত্থান এবং জনমনে বিভ্রান্তির সুযোগ জেনারেল জিয়ার কাঁধে বন্দুকটি রেখে ক্ষমতা শিকার করতে চেয়েছিলেন জাসদ ও কর্নেল তাহের। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সময়মতো বন্দুকটি কর্নেল তাহেরের দিকেই নিয়ে ট্রিগার টিপে দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া। ওখানেই ছিল কর্নেল তাহেরের হিসেবে ভুল। তিনি ভাবতেও পারেননি ৭ নভেম্বর কোনো বিপ্লব হবে না; হবে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা ও সামরিক শাসন সংহত করার দিবস।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলিতে রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান। পরে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। আবার সেদিনের অভ্যুত্থানের অন্যতম অনুঘটক রাজনৈতিক দল জাসদের চোখে দিনটি ‘সিপাহি বিপ্লব দিবস’। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এবং পঁচাত্তরের অগাস্ট ও নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ৭ নভেম্বর দিনটিকে ‘সেনা হত্যা দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
এত বছর চলে গেলেও ৭ নভেম্বর নিয়ে একমত হতে না পারা থেকেই আমাদের রাজনীতির অনৈক্য ও বিভেদের দিকটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখন সময় এসেছে ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলির নির্মোহভাবে মূল্যায়ন করার। জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথেই নিতে হবে।