Published : 04 May 2022, 09:46 PM
মারিউপোল- ডেমনস এস্কেপ ফ্রম দ্য হেল। স্বর্গচ্যুত শয়তানেরা ঘাঁটি গেড়েছে মারিউপোলে গিয়ে। সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে ইউক্রেইনের দনেৎস্ক ওবলাস্তের (এখন স্বাধীনতা ঘোষণাকারী প্রদেশ) বন্দর-শহর মারিউপোলের সhশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে একথাই বলা হয়েছিল, মাত্র দিন কয়েক আগে। মারিউপোল ইউক্রেইনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরের একটি। এটাকেই ইউক্রেইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর ভাবা হয়- কমার্শিয়াল হাব। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরগুলোর একটি মারিউপোল। কৃষ্ণ সাগর-লাগোয়া আজভ সাগরের তীরে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে এর অবস্থান। চীনের পরিকল্পিত সিল্করোডের অন্যতম কেন্দ্র (পার্ল) হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে এর, যদি যুদ্ধের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্ত হয়।
'অল ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার'; 'উফুইজ: দ্য অ্যানাটমি অব উইট' উপন্যাসে ইংল্যান্ডের ঔপন্যাসিক জন লিলি (১৫৮০ সালে প্রকাশিত) একথা বলেছিলেন। অবশ্য তার আগেও এ কথা চালু থেকে থাকতে পারে; যুদ্ধবিষয়ক লোককথা তো কম পুরনো নয়। তবে আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনার স্বীকৃতি দেওয়া হয় জন লিলিকেই। একথা প্রবাদপ্রতীম, এখনো। উপন্যাস লেখার সময়ে একথাকে সত্য বা সত্যপ্রতীম মনে করা হলেও; জেনিভা কনভেনশনের পর অন্তত যুদ্ধের ক্ষেত্রে একথাকে আর সত্য মনে করা যায় না। তাহলে কনভেনশনের কোনো মূল্য থাকে না। অতএব প্রেমের ক্ষেত্রেও এর কোনও মানে হয় না। এর সত্যতা কেবল ইংলিশ (তথা ব্রিটিশ) ও মার্কিন মননেই আছে। বিশেষ করে ইউক্রেইনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে। আর আছে কিছু অতি-পণ্ডিত বোকা লোকের বিশ্বাসে।
রাশিয়ার সরকার ২১ এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছে, মারিউপোল শহরাঞ্চল মুক্ত। মারিউপোল ইজ লিবারেটেড। প্রথমে এ ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু। পরে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বিষয়ে অবহিত করলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়, মারিউপোল মুক্ত। এখন আজভ ব্যাটালিয়নের, ন্যাশনালিস্ট ব্যাটালিয়নের প্রায়-উন্মাদ সেনারা আজভস্তালে অর্থাৎ আজভস্তাল স্টিল অ্যান্ড আয়রন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে আটকা পড়ে আছে। কিন্তু তারা আত্মসমর্পণ করতে নারাজ। দনেৎস্ক মিলিশিয়া এবং চেচেন ইউনিটও (রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের অংশ) বলেছে, মারিউপোল মুক্ত। আজভস্তালের প্রশাসনিক ভবনও রুশ-দনেৎস্ক বাহিনীর দখলে।
আজভস্তালে আজভ ব্যাটালিয়নের সাথে, জাতীয়তাবাদী সেনাদের সাথে ইউরোপের এবং আমেরিকার মার্সিনারিরাও (ভাড়াটে সেনা) আটকা পড়েছে। আর কে কে আটকা পড়ে আছে সে ব্যাপারে পুতিন বা শইগু কিছু বলেননি। অনেক ইন্টারনেট আউটলেটে বলা হয়েছে, কোনও এক মার্কিন জেনারেল (ন্যাটো প্রতিনিধি) আজভ ব্যাটালিয়নের লোকজনের সাথে আটকা পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আজভ ব্যাটালিয়নের মন্ত্রণাদাতা। একজন মার্কিন লেফট্যানেন্ট জেনারেল (ন্যাটো প্রতিনিধি) পালানোর সময় দনেৎস্ক মিলিশিয়াদের হাতে বন্দি হয়েছেন। কানাডার একজন জেনারেলও (ব্রিগেড জেনারেল থেকে ফুল জেনারেল, যে কেউ হতে পারেন) আজভস্তালে আটকা পড়েছেন। তুরস্কের সামরিক উপদেষ্টারাও (ড্রোন-প্রশিক্ষক) আজভস্তালে আটকা পড়েছে বলে সন্দেহ। আটকা পড়ে থাকতে পারে ন্যাটোভুক্ত আরো অনেক দেশের সামরিক উপদেষ্টারা। তাদের উদ্ধারের জন্যই টানা ৫-৬ দিন আজভস্তালে হেলিকপ্টারে করে, এমনকি বেসামরিক জাহাজকে জিম্মি করে অভিযান চালানোর চেষ্টা করেছে ইউক্রেইনি বাহিনী। কিন্তু সবই ব্যর্থ। আজভস্তালে রুশ বাহিনী ও দনেৎস্ক মিলিশিয়াদের অভিযান ন্যাটোর জন্য প্যান্ডোরার বাক্স উন্মোচন করে দিতে পারে!
আজভস্তালে আটকেপড়া জাতীয়তাবাদীদের বিশেষ করে আজভ ব্যাটালিয়নের সেনাদের এবং তাদের দেশি-বিদেশি সহযোগীদের (প্রকারান্তরে সামরিক উপদেষ্টাদের) আত্মসমর্পণ করতে বলেছে রুশ বাহিনী ও দনেৎস্ক মিলিশিয়ারা। মার্সিনারিরা এ আহ্বানের আওতাভুক্ত নয়। কারণ তারা প্রচলিত অর্থে সেনা নয়, তাদের ক্ষেত্রে যুদ্ধরীতিও প্রযোজ্য নয়; বলেছে রাশিয়ার বাহিনী। সতের এপ্রিল তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। ওইদিন মস্কো টাইম সকাল ৬ টায় রুশ বাহিনী এ আহ্বান জানায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেইনি জাতীয়তাবাদীরা মারিউপোল বন্দরের আজভস্তালে মেটালারজিকেল প্লান্টে কী অবস্থায় আছে তা জেনেই মানবিকতার স্বার্থে এ আহ্বান জানানো হয়েছিল।
রুশ ফেডারেশনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল সেন্টারের প্রধান কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনৎসেভ বলেন, আজভস্তালে যারা আটকা পড়েছে তারা আত্মসমর্পণ করলে তাদের রেহাই দেওয়া হবে। যেমন মারিউপোলের অন্যত্র যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদের জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী রেহাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতেই এ নিশ্চয়তা দেন তিনি। তাস বার্তাসংস্থা, তেলেসুর বার্তাসংস্থা এবং অন্যান্য সূত্রেও এ খবর প্রচারিত হয়েছে। জেনারেল মিজিনৎসেভ বলেন, 'মারিউপোলে ঘেরাও হওয়া ন্যাশনালিস্ট সব ফর্মেশনের সেনারা অস্ত্রসমর্পণের জন্য কিইভ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রার্থনা করেছে। কিন্তু ইউক্রেইনের মিলিটারি কমান্ডাররা তাদের অনুমোদনের বদলে হুমকি দিয়েছেন, অস্ত্রসমর্পণ করলে তাদের উপর গুলি চালানো হবে।' কার্যত ইউক্রেইনের যোদ্ধারা ও মার্সিনারিরা বিপন্ন অবস্থায় আছে; তারা খাবার ও পানির অভাবে রয়েছে।
ন্যাশনালিস্ট ব্যাটালিয়নগুলোকে আত্মসমর্পণ করার এ আহ্বানের কথা জাতিসংঘ, ওএসসিই (অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও অবহিত করা হবে বলে জানান কর্নেল জেনারেল মিজিনৎসেভ (www.telesurenglish.net)। তার আগে ভোর ৫ টায় রুশ ও ইউক্রেইনি পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ-ব্যবস্থা স্থাপন করা হয় তথ্য বিনিময়ের জন্য। অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয় সাড়ে ৫টায় (মস্কো সময়)। ৬টায় উভয়পক্ষই পতাকা উত্তোলন করে- রাশিয়ার পক্ষ থেকে লাল পতাকা ওড়ানো হয় এবং আজভস্তাল প্লান্টের পুরো এলাকা জুড়ে ইউক্রেইনি পক্ষ সাদা পতাকা ওড়ায়। পাশাপাশি যোগাযোগের সমস্ত চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছিল, উভয়পক্ষই অস্ত্রবিরতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। মস্কো সময় সকাল ৬ টায় থেকে দুপর ১টার মধ্যে ইউক্রেইনি যোদ্ধারা এবং মার্সিনারিরা তাদের অবস্থান ত্যাগ করবে কোনো রকমের অস্ত্র ও রসদ ছাড়া।
আজভস্তালের ন্যাশনালিস্টদের এবং মার্সিনারিদের রেডিও-কমিউনিকেশন বন্ধ করে দিলে তারা যে কি অসহায় অবস্থায় পড়বে তা বোধগম্য। তারা জানিয়েছিল, তারা আবেদন জানালে কিইভ কর্তৃপক্ষ তাদের আত্মসমর্পণের অনুমোদন দেবে। কিন্তু কিয়েভ কর্তৃপক্ষ উল্টো তাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। তারা খাদ্য ও রসদ সংকটে রয়েছে। আত্মসমর্পণ করলে কিইভ কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ১৯ এপ্রিল ২০২২, ডিপিআরের (দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক) অফিশিয়াল প্রতিনিধি নিশ্চিত করেন, ডিপিআর এবং রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী নব্যনাৎসিদের শেষ শক্ত ঘাঁটি (স্ট্রংহোল্ড) মারিউপোলের আজভস্তাল স্টিল অ্যান্ড আয়রন প্লান্টে অভিযান শুরু করেছে। ১৮ এপ্রিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজভস্তালের নব্যনাৎসিদের শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে আত্মসমর্পণের করার জন্য। বলা হয়, আজভস্তাল কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার জন্য হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবু আজভ ব্যাটালিয়ন আজভস্তাল ছেড়ে যায়নি।
ওইদিনই রুশ-দনেৎস্ক বাহিনী আজভস্তালের ভেতরে ঢুকে এবং কিছু স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়। তখন আজভ ব্যাটালিয়ন জানায়, হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক প্লান্টের ভেতরে রয়েছে। দাবির সমর্থনে তারা একটি ভিডিও দেখায়। তাতে দেখা যায়, বেইজমেন্টে নারী ও শিশুরা আটকা রয়েছে। ওই ভিডিও-তেও সন্দেহের উদ্রেক হয়। ভিডিওটি আগাম তৈরি করা এবং এটি আজভস্তালের নয় বলেই প্রতীয়মান হয়। কারণ আটকেপড়া বেসামরিক নাগরিকরা অস্বস্তিতে রয়েছে বলে মনে হয়নি। তাদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল না, বরং তাদের শান্ত মনে হয়েছে। দুই মাস বেইজমেন্টে আটকে থাকলে বাইরে যাওয়ার জন্য যে অস্থিরতা, উদ্বেগ দেখা যাওয়ার কথা তা তাদের মধ্যে নেই। সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তারা সঠিক দিন-তারিখ বলতে পারছিল না। ভিডিওটি কখন তৈরি করা তাও নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আটকেপড়া লোকগুলো আজভস্তাল বা আজভ মিলিট্যান্টদের কথাও উল্লেখ করছিল না। ফলে আজভস্তালের বেজমেন্টে তাদের আশ্রয় নেওয়ার ইউক্রেনী দাবি ধোপে টিকছিল না। আজভ ব্যাটালিয়েনের লোকেরা কেন তাদের বের হতে দিচ্ছে না? নিয়মিত হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর খোলা হচ্ছিল, তবে কেন বেসামরিক নাগরিকদের বেরোতে দেওয়া হলো না? কিইভ সরকার বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অসংখ্য নজির স্থাপন করেছে; এবারও যে তা করছে না তার ভরসা কী? সারা মারিউপোলেই এমন অসংখ্য নজির দেখা গেছে; তারা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদস্থানে সরে যেতে বাধা দিয়েছে।
ভিডিও সত্য না হলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজভস্তালে শতাধিক লোক আটকা পড়েছে। তারা খাদ্য ও পানির সংকটে রয়েছে। ১২০ জনের বেশি নাগরিককে আজভস্তালের আশপাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজভস্তালে যারা আটকা পড়েছে তারা জিম্মি হয়ে আছে। বেসামরিক নাগরিক হত্যার দোষও ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ রুশদের ওপর চাপাতে পারে, এ আশঙ্কা রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কিইভের অফিশিয়ালরা বলছে বিপুলসংখ্যক লোক আজভস্তালে আটকা রয়েছে। এ দাবি আজভস্থালের ন্যাশনালিস্টদের রক্ষা করার জন্যই করা হচ্ছে বলে তাদের সন্দেহ। তারপরও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর খুলে দেওয়ার কথা বলেছে রাশিয়া। নাগরিকরা যেদিকে যেতে চায় সেদিকেই তাদের যেতে দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছে রুশ ফেডারেশন। রাশিয়া বলেছে, কিয়িভ কর্তৃপক্ষ এবং আজভস্তালে যারা অমানবিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা সবাই যুদ্ধাপরাধী এবং সন্ত্রাসী।
তারপরও ১৯ এপ্রিল রুশবহিনী আরো একটি হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর খুলে দেয় ইউক্রেইনি সেনাদের জন্য ও ন্যাশনালিস্ট ফর্মেশনগুলোর মিলিট্যান্টদের জন্য, যারা স্বেচ্ছায় অস্ত্র সমর্পণ করবে। এটা ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য রাশিয়ার ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ, যাতে আজভ ব্যাটালিয়ন বেসামরিক নাগরিকদের ফাঁদমুক্ত করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এ ধরনের নমনীয় মিলিটারি ট্যাকটিস্ককে সবসময় দুর্বলতা হিসেবে ভাবা হয়। ১৯ এপ্রিল মস্কো সময় দুপুর ২টা থেকে ইউক্রেইনি সেনা এবং ন্যাশনালিস্ট মিলিট্যান্টদের (যারা আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক) জন্য হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর খোলা হয়। রুশ বাহিনী ও দনেৎস্ক মিলিশিয়রা আজভস্তালেই নিরাপদ দূরত্বে সরে দাঁড়ায়। তিন দিকে তিনটি করিডোর খুলে প্রতিটির কাছে ৩০টি বাস ও গাড়ি রাখা হয়; ১০টা অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয় মেডিকেল ও নার্সিং টিমসহ। প্রতিটা করিডোরের কাছেই মিটিং পয়েন্ট ও অস্থায়ী আবাসিক পয়েন্ট রাখা হয়। ২৫ এপ্রিলেও হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর খোলা হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য। তবু অবস্থার বদল ঘটেনি। ২৬ এপ্রিল জাতিসংঘ মহাসচিব রাশিয়া ঘুরে গেছেন। তিনি জাতিসংঘের উদ্যোগে আজভস্থালের বেসামরিক নাগরিকদের 'উদ্ধার করা'র কথা বলেছেন। রাশিয়া রেডক্রসকেও এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে বলেছে। এখন অপেক্ষার পালা।
দনেৎস্ক অঞ্চলের যুদ্ধে প্রতিদিনই অগ্রগতি হচ্ছে। বেশ দ্রুতই হচ্ছে। একের পর এক ইউক্রেইনি ব্যাটালিয়ন বা ব্রিগেড আত্মসমর্পণ করছে। কিন্তু পুতিন আজভস্থালে বিপর্যয়কর অভিযান বন্ধ রাখতে বলেছেন। কেন? কার অপেক্ষায়? কীসের অপেক্ষায়? এ অবকাশে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রুশ বাহিনীর বদনাম কিন্তু হয়েইে চলেছে। আজভে প্যান্ডোরার বাক্সটা কি খুলবে!