Published : 10 May 2024, 10:44 PM
আইপিএলে সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছিল না শুবমান গিলের। ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙে অবশেষে জ্বলে উঠলেন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে উপহার দিলেন চমৎকার এক সেঞ্চুরি। প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলাধুনা করে এই টুর্নামেন্টে প্রথম শতকের উষ্ণ ছোঁয়া পেলেন গিলের সতীর্থ সাই সুদার্শান।
আহমেদাবাদে শুক্রবার এই দুজনের খুনে ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ২৩১ রান করেছে গুজরাট। টুর্নামেন্টে এটি দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে করা ২৩৩ সেরা।
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে গুজরাটের চেয়ে বেশি রান করতে পারেনি আর কোনো দল। ২০১৪ সালে তাদের সমান ২৩১ করেছিল পাঞ্জাব কিংস।
গুজরাটের রান পাহাড় গড়ার পথে ৫৫ বলে ১০৪ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন গিল। ৬টি ছক্কা ও ৯ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। চলতি আসরে এটি গুজরাট ওপেনারের প্রথম শতক। এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ১১ ইনিংসে দুই ফিফটিতে রান করেছিলেন তিনি কেবল ৩২২।
গিলের এই পড়তি ফর্ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা না পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে রিজার্ভ হিসেবে রাখায়ও উঠেছে প্রশ্ন। সেসবের জবাব কিছুটা হলেও দিতে পেরেছেন তিনি এই সেঞ্চুরি করে।
টুকটাক ভালোই রান পাচ্ছিলেন সুদার্শান। কিন্তু বড় ইনিংস ধরা দিচ্ছিল না তার ব্যাটে। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটালেন তিনি চেন্নাইয়ের বিপক্ষে। ৭ ছক্কা ও ৫ চারে ৫১ বলে খেলেন ১০৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
গিল ও সুদার্শানের যুগলে রান আসে ২১০। আইপিএলে উদ্বোধনী জুটিতে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে অবিচ্ছিন্ন জুটিরে ২১০ রান করেছিলেন লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কুইন্টন ডি কক ও লোকেশ রাহুল।
এনিয়ে আইপিএলে এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি দেখা গেল স্রেফ তৃতীয়বার। আগের দুটিতে নাম ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৬ সালে তখনকার গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন বেঙ্গালুরুর ভিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৯ সালে তাদের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি তুলে নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নার।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে এদিন প্রথম ওভার থেকেই দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন গিল। প্রথম ৭ বলে ৫ রান করা সুদার্শান ডানা মেলেন শার্দুল ঠাকুরকে ছক্কায় উড়িয়ে। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৫৮ রান তোলে গুজরাট।
গিলের আগে ফিফটিতে পা রাখেন সুদার্শান, ৩২ বলে। একটু পর ২৫ বলে পঞ্চাশ করেন গিলও। ফিফটির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সুদার্শান। অর্ধশতক থেকে শতকে পৌঁছাতে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের লাগে স্রেফ ১৮ বল।
বহুল কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ঠিকানায় পৌঁছাতে গিলের লাগে ৫০ বল। আইপিএলে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি।
এক সময় মনে হচ্ছিল, পুরো ইনিংসই খেলবেন গিল ও সুদার্শান। কিন্তু ১৮তম ওভারে দুজনকেই ফিরিয়ে দেন তুষার দেশপান্ডে। ততক্ষণে অবশ্য দুইশ ছাড়িয়ে যায় গুজরাটের রান।