Published : 01 Jul 2021, 08:40 PM
'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বরং গণতন্ত্রের নামে একে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।' গত ২৭ জুন উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ বিষয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান তার ছাত্র ও শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির স্বায়ত্বশাসন নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক অধ্যাপক আলী রীয়াজ সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকায় দুই কিস্তির একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রথমে ব্রিটিশ, পরে পাকিস্তানি আমল ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে প্রণীত ৩টি আইনি ব্যবস্থার আলোকপাত করেছেন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রশাসন পরিচালনায় উপাচার্য নিয়োগের বিধি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন- ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কীভাবে ক্ষমতাসীন দলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি এবং প্রশাসনে ক্ষমতার ব্যবহার ও প্রভাব খাটায়।
আমার এ লেখাটি মূলত সলিমুল্লাহ খান এবং আলী রীয়াজেরই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রদত্ত মতামতের সম্পূরক বলা যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হিসেবে নির্লিপ্ত আক্ষেপটা জানানোর সুযোগ নিতে চাই।
আদেশ-অধ্যাদেশ-বিধান অনুযায়ী দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যর মেয়াদকাল ৪ বছর। প্রধান ৪ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনার পর সিনেটের প্রস্তাবনা শেষে উপাচার্য হিসেবে ৩ জনের নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যায়। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দরবারে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হয়। একজনকে বেছে নেওয়া হয়।
উপাচার্য নিয়োগের এ সাধারণ বিধিটির ক্ষেত্রেই একাত্তরের আগে যাত্রা শুরু করা ৪টি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়- ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকভাবে মানা হয়নি। কেন বা কোন প্রেক্ষাপটে মানা হয়নি, সেটি নিয়ে যেকোনও অনুসন্ধান ও গবেষণা সময়ের দাবি।
গত ২৫ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও সিনেট বসেনি, যা তিনজন উপাচার্যের সংক্ষিপ্ত তালিকা নির্বাচনের গৌরব ধারণ করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনির্বাচিত ভিসিরা যুগ যুগ ধরে অ্যাডহক ভিত্তিতে কে কার চেয়ে কত শত বেশি নিয়োগ দিতে পারেন, সে প্রতিযোগিতা করে গেছেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষক রাজনীতির শিকার হয়ে মাসের পর মাস বন্ধ থাকে ক্যাম্পাস, যেখানে শীতের পাখিরা এসে শিক্ষার্থীদের পায় না।
আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জীবনে চার বছরে একজনের বদলে ৪ জন উপাচার্য পেয়ে ধন্য হয়েছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনে বোধের ক্ষয়লাভের ঘটনা নিত্য এবং সেগুলো ভুলে যাওয়াতেও আমরা অভ্যস্ত। তবে দেশের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে আবার কেউ কেউ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলেও ডাকার চেষ্টা করেন, সে-ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জীবনে ৩৬৫ দিনে চার ভিসির অধীনে থাকার স্মৃতি কিভাবে ভুলি! তার ওপর আমি আবার তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রতিবেদক হিসেবে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকায় কাজ করছিলাম।
২০০১ সালে বিএনপি-জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। শুরুতেই জোট সরকার ব্রিটিশ আমলের ১৮৭২ সালের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট প্রয়োগের মধ্য দিয়ে অপসারণ করে সেসময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরীকে। রাতের বেলা নতুন নিয়োগের আদেশ নিয়ে প্রশাসনিক ভবনে চলে এলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। দেখা গেল সরকারি নির্দেশ মতো আগেই বাকিকাজ শেষ করে প্রস্তুত ছিলেন রেজিস্ট্রার মো. সেলিম।
শামসুন্নাহার হলে রাতের আঁধারে পুলিশ ঢুকে ছাত্রী নিপীড়ণের ঘটনায় কালো অধ্যায় সংযোজিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাত্র সাত মাসের মাথায় আন্দোলনের মুখে ২০০২ এর ৩১ জুলাই পদ ছাড়লেন আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। ভারপ্রাপ্ত ভিসি হলেন অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার। তাকে ভারমুক্ত করে ২০০২ এর ৯ সেপ্টেম্বর নতুন উপাচার্য হলেন জনপ্রিয় অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। এভাবে ১০ মাসে ৪ জন উপাচার্য দেখলাম আমরা।
বলা প্রয়োজন, সরকারি আদেশে প্রথমে দায়িত্ব নিলেও অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী এবং অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ দুইজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে নির্বাচিত হয়ে এসেছিলেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ব্যক্তিগত বায়োডাটাগুলো সংবাদের প্রয়োজনেই একবার অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়েছিল। বিবর্ণ হয়ে থাকা সেই নথিগুলোর কোনও কোনওটি এখনও মেধার আভায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আর কারও কারও নথি রয়েছে, যা অবিশ্বাস্য রকম তলানির অন্ধকারে নিমজ্জিত। ওইসব নথিগুলো সাক্ষ্য দেয় দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য নিয়োগে কতটা নগ্ন সরকারি হস্তক্ষেপ ছিল বরাবরই।
বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত বলাটা একটি চমৎকার বিজ্ঞাপনের শব্দ হতে পারে। বাস্তবে সরকার বদলালে প্রশাসন আমূল পাল্টে যায়। যতই কঠিন বিধি লেখা থাকুক- সেই বিধির পাশ দিয়ে গুটিগুটি পায়ে হেঁটে নীল থেকে সাদা অথবা সাদা থেকে নীল হয় সিন্ডিকেট, সিনেট। যতই নির্বাচিত রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট আর শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের কঠিন বিধি থাকুক, সে-ই ভোট যা গোপনেই হয়, তাতেও কিছু ঠেকে থাকে না। মাথা যায় যেদিকে, লেজও সেদিকে দৌড়ে পথ খোঁজে।
এসবের বিপরীতে দীর্ঘ সময়জুড়ে টিকে থাকলো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তাদের হুংকারটা কাজে লাগতো দেশের নানান ঘাত-প্রতিঘাতে। শিক্ষক সমিতি সামাজিক ও রাষ্ট্রিকভাবে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায়, শিক্ষকদের বেশিরভাগই এবার ক্লাসে পড়ানো ও গবেষণা বাদ দিয়ে সেই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ার পেছনে মনোনিবেশ করলেন।
এখনো কানে বাজে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের কথা। কী স্পষ্ট, কী নির্বিকারভাবে তারা বললেন, "এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ দেওয়া হয়।" কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি সেদিন। না প্রশাসন, না শিক্ষক সমিতি।
তাদের এ ধরনের মন্তব্যের পর সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক হিসেবে আমি এক ধরনের তাড়না অনুভব করলাম। খুঁজতে চাইলাম- কতজন প্রকৃত অর্থে বিধি মেনে এবং কতজন আসলে 'ভোটার' হিসেবে শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রায় দুই দশক আগের সে অনুসন্ধানের ফল কী ছিল সে কথা নাইবা তুললাম। তবে আমার অনুসন্ধানে উঠে আসা এক 'ভোটার শিক্ষক' এখন দেশের একটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন। এসব 'ভোটার শিক্ষক'রা কিন্তু আবার শিক্ষক অধিকার, শিক্ষক রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ইত্যাদি নৈতিক ব্যাপারস্যাপার নিয়ে খুবই সোচ্চার। সোচ্চার কেন? সোচ্চার এ জন্য যে, মূলত 'বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন' নামের ব্যাপারটি ওইসব 'ভোটার শিক্ষক'দের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও দলবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ দিয়েছে। ফলে শতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন আরো মলিন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রবীণ অধ্যাপকই ব্যক্তিগত সুবিধার পথে হাঁটেননি। নীল বা সাদা রং এর তোয়াক্কা না করে শিক্ষা এবং গবেষণায় জোর দেওয়ার ব্যাপারে তারা বরাবর সোচ্চার ছিলেন। তারা কিন্তু শুরু থেকেই স্বায়ত্তশাসনের নামে এ 'ভোটার শিক্ষক'-দের স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারটি নিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন।
এসব শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতা-দলবাজি এবং এ বাবদ প্রাপ্ত সুবিধার স্বরূপ কেমন?
সে উত্তর পাওয়া যাবে, বর্তমান একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বয়স বিবেচনা করলেই। মাত্র ১০ বছর আগেও এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হতেন, শিক্ষার পাশাপাশি তাদের বেশ কিছু কাঠখড় পুড়িয়ে, অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করে ওই পদে বসতে হতো। ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বয়সসীমা পেরোনোর আগে চেষ্টা করলেও উপাচার্য হওয়াটা কঠিন ছিল। বছর দশেক আগে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা ভিসিরা যখন কোনও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিতেন, তখন তাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের জীবিত শিক্ষককে পাওয়াটা বেশ বিরল ব্যাপার ছিল। বড়জোর কলেজের শিক্ষককে পেতেন। তাকে সালাম করে আশীর্বাদ নিতেন, যেন একটি সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালনে তিনি সফল হন।
কিছুদিন আগে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে একজন নিয়োগ পেয়েছেন, যার অধীনে তারই শিক্ষাজীবনের প্রবীণ শিক্ষক, প্রশাসনের কর্মচারী ও বয়স্ক কর্মকর্তারা কাজ করছেন। উনার সব আছে। সব মানে কী? তারা বয়সে এতোটাই তরুণ যে তাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের অর্ধেক শিক্ষক এখনো বেঁচে আছেন। পাশাপাশি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেরও শতকরা ৮০ শতাংশ শিক্ষক বেঁচে আছেন।
বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেমন অভিজ্ঞতার দাম না দিয়ে ছাঁটাই চলছে, তেমনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থে পাশ কাটানো হচ্ছে। ফলে ব্যক্তি, পরিবার বা গোষ্ঠী স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছেনা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা হারাচ্ছেন। ক্রমেই মানহীন হয়ে পড়ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দিনের আলোতেও পথ খুঁজে না পাওয়া অন্ধকার ক্যাম্পাস দেখছি আমরা।
১৯৮৪ সালের ২ জুনের সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হবার পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৪ শর্তের প্রথমটিতে টানা ২৫ বছর শিক্ষকতা করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ বছর সহযোগী অধ্যাপক থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রভাষক থেকে সহকারী, সহকারী থেকে সহযোগীর বিধানও এমনই কড়া। তো উপাচার্য তাহলে কে হতে পারেন, ভাবুন।
কী গবেষণা, কী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক পদে কাজের অভিজ্ঞতা, নিদেনপক্ষে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে থাকা- কোনও কিছুই আর লাগে না উপাচার্য হতে। পিএইচডি লাগে না, স্বীকৃত জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ তো লাগেই না। লাগে শুধুই দাসত্বের শতভাগ মনোবৃত্তি। যার দাসত্ব দেখে বিগলিত হওয়া যায়, ভরসা পাওয়া যায় তিনিই হবেন ভিসি! একমাত্র শর্ত তিনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেই চলবে। সে-ই তিনি কিভাবে শিক্ষক, কেন শিক্ষক- তাও আর বিবেচ্য নয়। বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বন্ধুরা এখনও আড্ডায় উপাচার্য বন্ধুর শিক্ষাজীবন ও শিক্ষক জীবনের কার্যকলাপ, তৈল মর্দনের উদাহরণ টেনে হাস্যরসে সময় কাটান।।
অধ্যাপক মইনুল ইসলাম একটি প্রবন্ধে প্রশ্ন করেছেন, "এখন কি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দাবি করতে পারবেন যে সরকার তার পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে?"
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্যের ঠিক পরের দিন ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আরেক ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, "শিক্ষার মানোন্নয়নের ৫০ শতাংশ নির্ভর করে গুণগত শিক্ষক নিয়োগের ওপর।" এখন তা আর হচ্ছে না সেটা স্বীকার করলেও সে-ই হার কত শতাংশে নেমেছে, সেদিকে প্রসঙ্গে আলাপের পথে তিনি আর হাঁটেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ও নৈতিকভাবে এমন দুর্বল হয়ে পড়লেও, এখান থেকেই রাজনৈতিক-সামাজিক-মতাদশির্ক বহু নেতৃত্ব বের হয়েছে। প্রিয় প্রতিষ্ঠান এসব অন্ধকার দিন পার করে নিজে আলোকময় হয়ে উঠুক এবং আলোকিত করুক অন্য বিদ্যাপীঠও- এ প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মনের গভীরে না রাখার কোনও উপায় নেই।
ছবি কৃতজ্ঞতা: বোরহানুল হক সম্রাট