Published : 19 Aug 2020, 10:00 PM
দুটো খবরের সূত্র ধরে লেখাটি শুরু করছি। দুটো খবরই প্রকাশ পেয়েছে ১৭ অগাস্ট। প্রথম খবরের শিরোনাম, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা'। ধারণা করা হয়, প্রেমে নিরাশ হয়ে বরিশালের উজিরপুরের ছেলে ইমাম হোসেন নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ইমাম হোসেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওই প্রতিষ্ঠানে মনোবিজ্ঞান এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান নামে আলাদা বিভাগ রয়েছে। অধিকন্তু রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল।
সভ্য দুনিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের পাশাপাশি জীবনের প্রয়োজন ও প্রেক্ষাপট ধরে নানা উদ্যোগ এবং কার্যক্রম থাকে। তার মধ্যে একটি উদ্যোগ হলো মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ও রক্ষার জন্যে মনোবিশেষজ্ঞ বা কিউরেটরের সঙ্গে প্রয়োজন মাফিক পরামর্শ বা কথোপকথনের সুযোগ। এখন আমার কয়েকটি সাদামাটা প্রশ্ন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাসে কতজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে? আগের আত্মহত্যাগুলোর পরে করণীয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী উদ্যোগ নিয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ে কি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বা রক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় সুযোগ রয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন যারা কর্তা মহোদয়রা রয়েছেন হতভাগা ইমাম হোসেনের বয়সে উনাদের মনের অবস্থা কেমন ছিল?
এই প্রসঙ্গে তানভির মোকাম্মেল নির্মিত লালন ফকিরের জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্য ছবির কথা মনে পড়ল। ছবির এক জায়গায় লালনের শিষ্য ভোলাই তার গুরুকে মন খারাপের কথা জানাচ্ছে। লালন তার প্রত্যুত্তরে জানাচ্ছে, ওই বয়সে লালনের এমনই লাগত। শেষতক লালন তার পালিত কন্যার সঙ্গে ভোলাইয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেন।
এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকের সান্ধ্যকালীন কোর্সের নামে কোচিং ব্যবসা, এনজিওর ফরমায়েশগিরি, ক্ষমতায় থাকা লোকদের নজরে আসার জন্যে নিজের কস্টিউম ও বাচন চর্চা, বিভিন্ন কর্পোরেট গোষ্ঠির ঠিকাদারি, বেসরকারি দোকানদারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৌড়ঝাপ করে পকেট ভারীর দিকে যতটা ঝোঁক আর লাভ, ইমাম হোসেনদের খোঁজ খবর রাখার মত ঈমান আর ফুরসৎ কী আমাদের জাতির বিবেকের লাইসেন্সপ্রাপ্তদের আছে?
এবার একই দিন প্রকাশিত দ্বিতীয় খবরে আসি। খবরের শিরোনাম- 'আমাকে আত্মহননে ঠেলে দিলে তরুণরা চুপ থাকবে না: শিপ্রা'।
বলা বাহুল্য, খবরের এই শিপ্রা হচ্ছেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ। যিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডের একজন সাক্ষী এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা একটি বিতর্কিত মামলার আসামী। খবরের সারকথা হচ্ছে, 'ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে হেনস্তা করার প্রতিকার চেয়ে শিপ্রা দেবনাথ বলেছেন, একজন মানুষ হত্যাকে ধামাচাপা দিতে টুঁটি চেপে ধরে তাকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিলে এদেশের তরুণ-তরুণীরা চুপ করে বসে থাকবে না'।
তরুণ শিপ্রার বিপণ্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়েও তারুণ্যের উপর যে আস্থা ও বিবদমান অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে যে প্রচ্ছন্ন সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন, এখানেই আশার কথা। এখানেই জীবন ও সময়ের জয়। শিপ্রা দেবনাথের কথার সূত্র ধরে কবিগুরুর শরণ নিতে চাই-
ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
এখানে আধমরা বলতে কবিগুরু দেশ ও সমাজের চারপাশের অচলাবস্থাকে ঈঙ্গিত করেছেন। সেই অচল অবস্থাকে ঘা মেরে সচল করার চৈতন্যকে আমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুরা তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে জাগিয়ে রাখতে কতটা তৎপর?
নাকি 'আল্লার মাল আল্লায় নিছে' অথবা 'কপালের লিখন' বলে মর্মাহত, ব্যথিত, শোকাহত শব্দ সম্বলিত আপ্তবাক্যের সমন্বয়ে শোক প্রকাশ করে দায় সারবেন, পার পেয়ে যাবেন?
এই পর্যায়ে লালনের গানেও একটু আশ্রয় খুঁজতে চাই। তিনি বলে গেছেন,
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার (ভবে)
সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমাম আর শিপ্রাদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিলে কার কী সিদ্ধ হয় তা স্বাধীনতার অর্ধশতকে একটু পরিষ্কার হওয়া দরকার। ময়নাতদন্তটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে শুরু হতে পারে।
স্বাধীনতা লাভের পাঁচ দশকে এবং জাতিরাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে দেশের তারুণ্যকে কোন নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছে তা একটু খতিয়ে দেখা দরকার। প্রসঙ্গক্রমে কয়েকটি ঘটনা, সূত্র এবং উদাহরণ তুলে ধরতে চাই।
১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন ২৯ বছরের তরুণ। ১৯৭১ সালে ৫১ বছর বয়সে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন একটি জাতিরাষ্ট্র, তিনি হলেন জাতির পিতা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে ৫২ বছর বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ রচনা ৩০ থেকে ৪০ বছরের কোঠায়।
সম্রাট আকবর ১১ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। বাকিটা ইতিহাস আর ইতিহাস।
মার্টিন লুথার কিং বেঁচে ছিলেন ৩৫ বছর।
স্বামী বিবেকানন্দ বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৯ বছর।
কাজী নজরুল ইসলাম কর্মক্ষম ছিলেন ৪২ বছর।
মধুসূদন বেঁচেছিলেন ৪৯ বছর।
সুকান্ত ভট্টাচার্য বেঁচেছিলেন ২১ বছর।
আর আমরা এমন এক নির্লজ্জ যুগের সাক্ষী শুনলে অনুভূতি আর কাজ করে না। পঞ্চাশোর্ধ লেখকও কর্পোরেট গোষ্ঠি প্রবর্তিত তরুণ লেখক পুরস্কার গ্রহণ করেন। বাঙালির গড় আয়ু কি শত বছর ছাড়িয়ে গেল? তারুণ্য নির্ধারণের বয়স তাহলে কত? ৬০? ৭০?
এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। বয়স কম হলেই উদ্যমহীন বুড়োর যাবতীয় কিসিমধারী কাউকে তরুণ মনে করার কারণ নাই। অন্যদিকে বয়সে বেশি বলেই উদ্যমী তারুণ্যে টগবগ কাউকে বুড়ো মনে করার কারণ নাই। ৮০ বছর পার করা জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর যে তারুণ্য; ৭৫ পেরোনো কাজী মোতাহার হোসেন চৌধুরীর ব্যক্তিত্বের যে বিদ্রোহী ঔজ্জ্বল্য আর রাজনীতিতে মাহাথীর নব্বই পেরিয়ে যা দেখালেন- তাকেই বুঝি বলে প্রজ্ঞায় তারুণ্য। আর আমরা জালে ভেজালে আটকে আছি ধান্দাবাজ ফন্দিবাজ রাজনীতিক আর বুদ্ধিজীবীর ফেরে।
তারুণ্যকে আমরা কোন ফিকিরে ফেলেছি একটা উদাহরণ দিলেই কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে। সম্প্রতি নবপ্রতিষ্ঠিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চল্লিশটি পদের বিপরীতে দরখাস্ত জমা পড়েছে তিরিশ হাজার। এদের কেউ নিশ্চয়ই সখের বশে দরখাস্ত করেনি।
আজ থেকে শতাধিক বছর আগে এরকম বাস্তবতাকে চিহ্নিত করতে সুইডিশ নাট্যকার অগাস্ট স্ট্রিন্ডবার্গ পর্যবেক্ষণ দিয়ে গেছেন- তরুণের হাতে বিয়ে করার জন্যে টাকা না থাকলে অন্যের বউয়ের সঙ্গে তরুণ যে ফস্টিনস্টি করবে এটাই তো স্বাভাবিক।
এবার তরুণদের থেকে নজর ফিরিয়ে বুড়োদের জন্যে অবারিত সুযোগগুলোর দিকে দৃষ্টি ফেরাতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বুড়ো শিক্ষক তার জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-প্রজ্ঞা-গবেষণা ও সমাজ সংস্কার দর্শনে কাজে খাটাবেন। সাধুবাদ। কিন্তু তাদের সামনে লোভালোভির দৌড়গুলো দেখুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী চাকরি, যা তার লাইসেন্স এবং সাইনবোর্ড। নানা দিকে ক্ষেপের কাজ, সন্ধ্যায় সান্ধ্যকালীন কোচিং ক্লাশ, দিনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্তি ক্লাশ, বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব, সভা, সেমিনার, কারো কারো ব্যক্তিগত ব্যবসাপাতি- উনারা এত যোগ্য একাই দশজনের অধিকার ও সুযোগ আঁকড়ে ধরতে পারেন। সুযোগ এল তরুণ শিক্ষকের জন্যে বা ছাত্রের জন্যে নিজেই চলে যাবেন দেশে বিদেশের নানা ডাকে।
একই অবস্থা আমলাদের। উনাদের অবসর যেন আসে না! চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, নিয়মিত চাকরির পরে কূটনৈতিক নিয়োগ, নয়তো এমপি-মন্ত্রী কিছু একটা হবার লাইন ঘাট। নিদেনপক্ষে নানা কর্পোরেট গোষ্ঠীর উপদেষ্টা বা পরিচালক। একবার আমলা বা কোনো যুথের পেশাদার হয়ে গেলে সারাজীবনের জন্যে এমিরেটাস। আর ঠেকায় কে? এমন করে করে সমূহ নানা ক্ষেত্রে দুই একটা ব্যতিক্রম ছাড়া আমরা তরুণদের সামনের সুযোগগুলো অধিকারগুলো সংকুচিত করেছি।
এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো খেলাধুলা এবং ব্যবসা। খেলাধুলায় যদি বয়স এবং মাঠের প্রতিযোগিতা না থাকত তাহলে দেখা যেত, ফুটবল বা ক্রিকেটের নানা দলে কতকগুলো এমিরিটাস সচিব বা অধ্যাপক জায়গা করে নিয়েছেন।
ব্যবসা এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে তরুণদের জন্যে সুযোগ অবারিত করার কিছু উদাহরণ রয়েছে বটে। তবে তার প্রায় সবটাই পারিবারিক উত্তরাধিকার বা সিলসিলা। তারুণ্য এবং নেতৃত্বের স্বাভাবিক বিকাশ যে রুদ্ধ করা হয়েছে তার বড় প্রমাণ হল তিরিশ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর নির্বাচন। তারপরেও যে নেতৃত্ব এল যা তারুণ্যের স্বার্থ রক্ষা না করে বারোয়ারি স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর। ডাকসুর ভিপি নূরকে কোথায় আগুন লাগল তা নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করতে যতটা তৎপর দেখা যায় ততটা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোন কথা বলতে শোনা যায় না। উপাচার্য আখতারুজ্জামান বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের, ভিপি নূরও একই এলাকার।
কবীর চৌধুরী, মযহারুল ইসলামরা বাংলা একাডেমীর মত জাতীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন যখন তাদের বয়স চল্লিশের কোঠায়। আর এখন একই দায়িত্ব ষাট-সত্তরের কোঠা না হলে চলে না। যেখানে অবসরের বয়স ষাট। তাহলে অবসরের বয়সসীমা রাখার দরকারটা কী?
১৯৭০ এর দশকে যাদের হাতে ঢাকার নাট্যমাধ্যমের নবযাত্রা শুরু হয়েছিল তাদের বয়স ছিল বিশ-ত্রিশের কোঠায়। আজ তাদের বেশিরভাগ আশির কাছাকাছি। একেকজন বড় বড় নাট্যজন, সংস্কৃতজন। কিন্তু বিপরীতে তরুণদের জন্যে জায়গাটা অবারিত নাই, আঁকড়ে ধরে রেখেছেন নানা মোড়লিয়ানার মোড়কে। ফলে আমরা পেলাম না তেমন কোন নতুন নাট্যকার, নতুন নির্দেশক বা সেই মানের কুশীলব।
একটা সভ্য সমাজে বয়োজ্যেষ্ঠরা তরুণদের চ্যালেঞ্জ বা বিদ্রোহকে উপভোগ করেন। সময়ে সময়ে তরুণদের চিহ্নিত করেন, তুলে ধরেন। উদাহরণ আমাদের এখানেও ছিল- যেমন শওকত ওসমান, আহমদ ছফারা তরুণদের খুঁজে খুঁজে তুলে ধরেছেন, অভিষেক করেছেন। অথচ আমরা এমনই কাঙালের কাঙাল লেখকদের লেখক আহমদ ছফাকে পুরস্কৃত করিনি, মূল্যায়ন করিনি।
এখনকার দুই-একজন ব্যাতিক্রম ছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠরা এমন, যতক্ষণ কোন তরুণ বয়োজ্যেষ্ঠজনের লেখা বা প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করবেন, ততক্ষণ আলাপ চলবে। প্রসঙ্গ তার থেকে সরে গেলেই আলাপ শেষ! সেই সঙ্গে ফেইসবুকে বড়দের আত্মপ্রচার, লাইক আর মন্তব্যের কাঙালপনা তো আছেই। বড়রা চান তরুণদের প্রশংসা কেবল। তরুণদের চ্যালেঞ্জে বড় অনীহা তাদের।
একজন বয়োজ্যেষ্ঠ লেখক একজন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তরুণ লেখককে কিভাবে নিগৃহীত করতে পারেন তার একটা উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশের কবি শামীম রেজা ২০০১ সালে কলকাতায় জয় গোস্বামীর বাসায় সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছেন। জয় গোস্বামী বলছেন, "কিছু প্রশ্ন লিখে সেসবে উত্তর নিজের মত লিখে প্রকাশ করে ফেলুন।" এই ধরনের ব্যবহার একজন ব্যক্তি মানুষ বা বয়োজ্যেষ্ঠ লেখকের সভ্যতা বা অসভ্যতার কোন মাপকাঠিতে পড়ে? আমার জানা নাই।
যদিও জয় গোস্বামী বিশ বছর পরে ২০২০ সালে এসে প্রসঙ্গক্রমে সেই ঘটনার সূত্রে বলছেন, "আমার মনে হয় না যে এই কাজ করে, এই ব্যবহার করে আমি ঠিক কাজ করেছিলাম। আর মানুষ হিসেবে এই কুড়ি বছরে আমি একবারেই বদলে গিয়েছি, আমি একদম আলাদা রকমের একজন মানুষ হয়ে গিয়েছি"।
সময় এসেছে আমাদের অচলায়তন ভাঙার জন্যে সমাজের নানা স্তরের বড়দের আলাদা রকমের মানুষ হয়ে যাওয়া। উপেক্ষিত তারুণ্যকে স্বীকার করে নিয়ে তাদের পথ আর বিকাশকে অবারিত করে দেওয়া।