Published : 04 Jan 2020, 01:35 PM
আমার বিশ্বাস আমরা প্রায় সবাই মাতৃদুগ্ধ পানের সুফল কম-বেশি জানি। আমাদের প্রচলিত ধারণা, মায়ের দুধ নবজাতকদের মানসিক ও শারীরিক বেড়ে উঠার জন্য জাদুকরি ভূমিকা রাখে। পুষ্টিগুণ বিচারে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর জন্য আদর্শিক প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে মাতৃদুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধে শিশুর বুদ্ধিমত্তা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই শুধু বৃদ্ধি পায় না, এখানে এমন কিছু জেনেটিক বা জীবের বৈশিষ্ট্যগত উপাদান সংযোজিত রয়েছে তা কৃত্রিমভাবে পাওয়া দুধে সংযোজন করা কখনোই সম্ভবপর হয়ে উঠে না।
মাতৃদুগ্ধ পানে কেবল শিশুই যে উপকৃত হয় তা নয়, একজন মায়েরও সন্তান জন্মের পর স্বাভাবিক শারীরিবৃত্তিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে সহযোগিতা করে। প্রসূতিকালীন পাওয়া অতিরিক্ত ওজন যেমন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসরণের মাধ্যমে কমিয়ে আনে, তেমনি স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে ওভারিয়ান ক্যান্সার ও অস্টোওপোরেসিস (হাড় গঠনে কোষ তৈরিতে বাঁধা) থেকে রক্ষা পায়। দ্বৈত উপকারের এই সুফল থেকে আমাদের দেশে অনেক মা বা শিশু বিভিন্ন কারণে বঞ্চিত হয়।
দেশে আশাতীতভাবে মাতৃ মৃত্যুহার কমলেও নবজাতক শিশু মৃত্যুহার এখনো কমেনি। ইউনিসেফের হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৬২ হাজার শিশু জন্মের পরপরই মারা যায়। যারা দাবি করছে, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখাবে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নবজাতকের মৃত্যু হয়। আর এসব মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, অপরিণত বা প্রি-মাচিউরড অবস্থায় জন্ম, সংক্রমণ এবং শ্বাসকষ্টের মতো জটিল রোগ।
অপরিণত বা প্রি-মাচিউরড শিশুর মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। অতিরিক্ত কম ওজনের শিশু বা ভিএলবিডব্লিউ জন্মের কারণে, এইসব শিশুর জন্মের পরপরই নিউনেটাল ইন্টেসিভ কেয়ার ইউনিট বা এনআইসিইউ প্রয়োজন হলেও দেশের হাসপাতালগুলোতে এর যথেষ্ট সক্ষমতা নেই। ফলে অনেক শিশুর ভাগ্যে করুণ পরিণতি ঘটে এই এনআইসিইউ'র অভাবে।
তবে এনআইসিইউ বা এই পর্যায়ে যাওয়া নবজাতক শিশুর জন্য প্রয়োজন পড়ে মাতৃদুগ্ধ। স্বাভাবিক পর্যায়ে নবজাতক শিশুরা মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারায় কৃত্রিমভাবে বাচ্চার দেহে বুকের দুধ সরবরাহ করেন আমাদের দেশের ডাক্তাররা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় এইসব প্রি-মাচিউরড জন্ম নেয়া বাচ্চার মায়ের বুকের দুধ পাওয়া যায় না। আবার দেখা যায়, অনেক মা বাচ্চা জন্ম দেয়ার সময় মারা যায়। ফলে এইসব শিশুদের জন্য প্রয়োজন পড়ে বুকের দুধ। আর সদ্য নবজাতকের বেঁচে রাখার জন্য এই দুধের বিকল্প ডাক্তাররা পাস্তুরিত দুধে পান না। ফলে শিশুকে বাঁচাতে অনেকটা বেগ পেতে হয় আমাদের ডাক্তারদের।
অন্যদিকে, অনেক স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া বাচ্চাও জন্মের পর প্রথম কয়েকদিন ১০-২০ মিলিলিটার দুধ পান করে। অথচ এসময় বাচ্চার মায়ের শরীরে অন্তত ৮০০-৯০০ মিলিলিটার দুধ তৈরি হয়। অতিরিক্ত এই দুধ অনেক মা নষ্ট করেন। কারণ, এই দুধ অনেক সময় মায়েদের স্তনে প্রদাহ তৈরি করে।
এই সমস্যাটি কেবল বাংলাদেশেই নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবজাতকদের বাঁচাতে মায়ের বুকের দুধের উপর নির্ভর করেন চিকিৎসকরা। আর এই সমস্যা দূর করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু হয়েছে মানব দুগ্ধ ব্যাংক বা হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আন্তর্জাল ঘেটে যেটুকু তথ্য পেলাম তাহলো, বিশ্বে প্রথম হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৩ সালে ব্রাজিলে। এরপর তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। কেবল দক্ষিণ আমেরিকায় প্রায় তিনশোর বেশি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক রয়েছে। ইউরোপের প্রায় কুড়িটির বেশি দেশে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণাগার রয়েছে, যে সংখ্যাটি প্রায় আড়াইশোর ঘরে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা আর কেনিয়ার নাইরোবিতে মানব দুগ্ধ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
১৯৮৯ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে এশিয়ার প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক যাত্রা শুরু করেছিল। সেখানে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এরপর চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই প্রক্রিয়াটি চালু রয়েছে। এছাড়াও কুয়েত, তুরস্ক, ইরান, মালয়শিয়াসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশেও চালু হয়েছে। আর এসব দেশকে দেখে নবজাতক শিশু মৃত্যুহার কমানোর কৌশলকে কাজে লাগাতে সম্প্রতি বাংলাদেশও উজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে।
সদ্য পার করা ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল "হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক' আটকে ধর্মীয় বিতর্কে"। মানব দুগ্ধ ব্যাংকের স্বপ্ন আতুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম এই দেশে। সংবাদের সারমর্মে যা পেলাম তা হলো, বেসরকারি উদ্যেগে ঢাকার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএইচ) নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্ক্যানো) এবং নবজাতক আইসিইউয় (এনআইসিইউ) 'হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক' প্রতিষ্ঠা করেছিল গত ১ ডিসেম্বর। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এই মানব দুগ্ধ ব্যাংকটি চালু হওয়ার আগে ধর্মীয় বির্তকের মারপ্যাচে আটকে গেছে।
ইসলামে কেউ নিজের মা ব্যতীত অন্য নারীর দুধ পান করলে তাকে দুধমাতা হিসেব ধরা হয়। মায়ের সম্পর্কিত যেসব স্বজনকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ, দুধমাতার সম্পর্কিত তার স্বজনদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম রয়েছে আমাদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থে। দেশের আলেম-ওলামাগণ বিষয়টি নিয়ে বেশ সজাগ। যার জন্য আইনী নোটিশে আপাতত দুগ্ধ ব্যাংকটি অসাড় রয়ে গেল।বিডি
ধর্মের বিধি-নিষেধের কাছে যাবতীয় বিজ্ঞানভিত্তিক ও অ-বিজ্ঞানভিত্তিক চুক্তি দেখানো আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার সামিল। তাই বিষয়টি নিয়ে যুক্তি কিংবা লেখায় সর্তকতা অবলম্বন কিছুটা হলেও জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি সেই বিষয়ে কোনো তর্কে যাচ্ছি না। সোজাসোপ্টা সমাধান নিয়ে কথা বলবো। যে সমাধানে হয়তো ধর্মীয় বির্তকে কিছুটা হলেও পানি আসবে।
মূলত শিশু মৃত্যুহার ঠেকাতে মিল্ক ব্যাংক জাদুকরি ভূমিকা রাখছে। মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক চালু রয়েছে। তবে দেশগুলোতে বিতর্কও ছাড়েনি। যেহেতু ইসলাম ধর্মানুযায়ী মাতৃদুগ্ধ পানের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয় এবং এই সম্পর্কগুলোকে বৈবাহিক পর্যায়ে আনা 'হারাম' তাই এই জটিলতার কোনো সমাধান আপাতত দেখছি না। তবে আমরা ইচ্ছে করলে ধর্মের এই বিধিনিষেধ রেখেই সমাধানের পথ দেখতে পারি।
- এই কাজটি হতে হবে পরিপূর্ণভাবে স্বেচ্ছাসেবী। ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি যাতে না হতে পারে সেদিকে নজর দিতে পারে। আমাদের দেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী ব্লাড ব্যাংক যেমন সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমনি হতে পারে মিল্ক ব্যাংক। প্রয়োজনে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে কিংবা শিশু মৃত্যুহার কমাতে যে বরাদ্দ থাকে সেখানে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের আর্থিক সংগতির বিষয়টি তদারক করতে হবে।
- প্রথমে যে জিনিসটি করতে হবে তাহলো, মুসলিম বিশ্ব কিংবা যেকোনো দেশের সাথে কোলাবরেশন বা সহযোগিতা নেয়া হবে যেখানে দুই দেশের মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক থেকে পাস্তুরিত দুধ আদান-প্রদান করা যাবে। এই চুক্তির কলেবরে স্বেচ্ছায় মাতৃদুগ্ধ আহরণে থাকবে একটা আন্তর্জাতিক পযায়ের আদর্শিক পদ্ধতি যা কঠোর নীতিমালার আলোকে সংরক্ষণ করা যাবে।
- প্লাস-প্লাস কিংবা মাইনাস-মাইনাস পদ্ধতি রয়েছে, ধরুন একজন মা ছেলে সন্তান জন্ম দিলেন এবং তিনি স্বেচ্ছায় হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকে দুধ দিতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে ব্যাংক যখন সেই দুধ সংরক্ষণ করবে তখন তাকে ভালোভাবে লেবেলিং করতে হবে যে সেই দুধ কেবল ভুক্তভোগী কোনো ছেলে শিশুকে পান করাতে হবে। তাহলে বিষয়টি দাঁড়াবে যে ছেলে শিশুর মা ছেলে শিশুকেই আর মেয়ে শিশুর মা মেয়ে শিশুর জন্য দুধ প্রদান করতে পারবেন। কারণ আমাদের দেশে সমাজ কিংবা রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এখন পর্যন্ত সমবিবাহ বৈধতা নেই ফলে ভুক্তভোগী ছেলে শিশুর কেবল ইসলাম ধর্মের বিধানে দুধ মা ও দুধ ভাই যেমন পাওয়া যাবে তেমনি মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে কেবল দুধ মা ও দুধ বোন পাওয়ার সুযোগ পাবে ফলে এইসব শিশুর পরবর্তীতে বৈবাহিক সমস্যা এড়াতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে এইসব দুধ প্রদানকারী মাদের একাধিক সন্তান যেন না থাকে।
- ধরুন মনিরা বেগমের দুটি সন্তান। প্রথম সন্তানটি ছেলে যার বয়স ২/৩ বছর আর সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটি মেয়ে। তাহলে এই নারী যদি মিল্ক ব্যাংকে দুধ দিতে চান সেই দুধ কাকে পান করানো যাবে? কারণ ভুক্তভোগী কোনো মেয়ে শিশুকে পান করালে মনিরা খাতুনের বড় ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকছে ঠিক তেমনি ভুক্তভোগী কোনো ছেলে শিশুকে পান করালে মনিরা বেগমের সদ্য জন্ম নেয়া মেয়ে শিশুর সাথে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তাহলে এই সমস্যার সমাধান কী? এই সমস্যার সমাধান আমরা পেতে পারি আমাদের কোলাবরেটিভ দেশের মিল্ক ব্যাংকের সাথে দুধ আদান-প্রদান করে। আমাদের দেশে সাধারণত বিদেশি নাগরিকদের সাথে বিয়ের হার একবারে নগণ্য(০.০০০১%)। সেই হিসেবে আমরা দুইদেশের এই সহযোগিতা নিতে পারি। প্রশ্ন হলো, কোন দেশগুলোর সাথে সহযোগিতা নিতে পারি?
- যেহেতু মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে মিল্ক ব্যাংক চালু করেছে সেহেতু ধমীয় বৈবাহিক সমস্যা এড়াতে আমরা মুসলিম দেশগুলোর সাথে এই ধরনের কোলাবরেশন চালিয়ে যেতে পারি ফলে এক্ষেত্রে দুই দেশই ধর্মের বাধ্যবাধকতা এড়াতে উপকৃত হতে পারে। যেটাকে আমরা দুধ-আদান প্রদান দেশ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।
- অতিরিক্ত খরচ এড়াতে আমরা পাশ্ববর্তী ভারতের বিভিন্ন মিল্ক ব্যাংকের সহযোগিতা নিতে পারি। ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগ হবে নতুন মাত্রা। আমাদের কোলাবরেটিভ দেশের মিল্ক ব্যাংকের সহযোগিতা ধর্মের সমস্যা যেমন কাটিয়ে তুলতে পারে তেমনি মানবিক অধিকার রক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
- সমাধানের পথ আমরা বিভিন্নভাবে করতে পারবো হয়তো কিন্তু দুধদাতা মায়ের দুধ ব্যাংকে সংরক্ষণের কৌশলগুলো আমাদের বেশ বিজ্ঞানভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন। শিশুর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি দুধ দাতা মায়ের শরীরে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি, সি ও সিফিলিসের মত রোগগুলো পূর্বে টেস্ট করা প্রয়োজন। তা নাহলে এইসব রোগ দুধ গ্রহীতা শিশুর শরীরে সংক্রমণের সম্ভবনা থাকে। তাই এই বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
- এছাড়া অনেক সময় এপিজেনিটিক্স স্ট্যাডির প্রয়োজন পড়ে। যদিও এগুলো ব্যয় সাপেক্ষ। তবে মায়ের দুধের সাথে থাকা কিছু জিন শিশুর দেহে আসতে পারে। এই এপিজেনিটিক্স সমস্যা দূর করতে আমরা আধুনিক কিছু পদ্ধতির আশ্রয় নিতে পারি। যদিও এগুলো গৌণ সমস্যা।
- দাতা ও গ্রহীতার চিকিৎসা ইতিহাস সংরক্ষণের ধাপগুলো আমাদের জন্য জরুরি। যেটাকে আমরা বলতে পারি Conditional Identified Milk Banking System (CIMBS)। এক্ষেত্রে আমরা বাচ্চার জন্মনিবন্ধনের সাথে সাথে একটি নতুন অপশন চালু করতে পারি। তাহলো, নিবন্ধনের সময় যে মায়ের দুধ ওই বাচ্চা গ্রহণ করবে সেই মায়ের নাম কিংবা নাগরিকত্বের নাম্বার তুলে দিতে পারি। যেহেতু দেশের অনেক তথ্যই এখন ডিজিটালাইজড হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস এসব তথ্যও একদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। যদি একাধিক মায়ের দুধ ভুক্তভোগী বাচ্চা গ্রহণ করে তাহলে একাধিক নাম্বার রাখতে পারে। আর যদি বিদেশী মায়ের দুধ পান করে সেক্ষেত্রে এইগুলো নাও লাগতে পারে। আর ধর্মীয় বিশ্বাসবোধ ঠিক রেখেই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকের যুগপোযোগী সমাধানে আমাদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ধর্মের আলোকে মোকাবেলা করতে হবে।
এখানে আমি শুধু আমার নিজস্ব চিন্তভাবনা তুলে ধরেছি। আমার বিশ্বাস, বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় আলেমরা যেমন বসতে পারে, ঠিক তেমনি দেশের চিন্তাশীল মানুষরা এগিয়ে আসতে পারে। দেড় হাজার বছর আগের পৃথিবীর তুলনায় বর্তমান পৃথিবীর মধ্যে অনেক অভিযোজন হয়েছে। আর এই অভিযোজিত পৃথিবীর অনেক কিছুর পাশাপাশি আমাদের ধর্মের বিষয়গুলোও ধর্মীয় চিন্তাবিদরা অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে বেশকিছু সমাধান এনে দিয়েছেন। আশাকরি, শিশুর জীবন রক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমত আনতে তারা ধর্মে বিশ্বাসের জায়গা অটুট রেখেই উৎকৃষ্ট সমাধান আনবেন এই প্রত্যাশা করি।