Published : 12 Dec 2020, 01:59 AM
মাস্কের বাংলা জানতে চাইলে গুগল অনুবাদ আপনাকে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিবে 'মুখোশ'। আমাদের বাংলাদেশে বা পাক ভারত উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে মুখোশের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। পূজা, পার্বণ, নবান্ন বা নববর্ষের উৎসবে নানা ধরনের মুখোশের সাথে আমাদের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। মুখোশের অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে নাটক সিনেমার সংখ্যা অসংখ্য। মুখোশের সাথে জড়িয়ে আছে ছলনা, প্রতারণা আর ঠকবাজির নানান আয়োজন। দুর্নীতি, আত্মসাৎ, লুণ্ঠনে নিমজ্জিত একটি সমাজের অনাচারগুলোর পেছনে মুখোশধারী মানুষগুলো এবং তাদের মুখোশগুলোর ভূমিকাই আসল। কিন্তু করোনাভাইরাস নামক অনুজীব জগতের অতিশয় ক্ষুদ্র এক সদস্য ২০২০ সালে যে মাস্ক বা মুখোশের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিল, তাকে বাংলায় মুখোশের যে প্রতিচ্ছবি আমাদের চোখে ভেসে উঠে সেইভাবে দেখাটা বোধ হয় গুরুতর অবিচার।
রোগ-বালাই, মহামারির ইতিহাসে মানব সভ্যতার সমসাময়িক এই ভয়াল সংকটে এই মাস্ক মুখোশরূপে নয়, ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ। বিনোদন ভূমিকার ঊর্ধ্বে উঠে এই মুখোশ/মাস্ক আজ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিবেদিত। কোভিড প্যানডেমিকে বিশ্বময় জীবন রক্ষাকারী একক উপকরণ হিসেবে মাস্কের ভূমিকার কাছে বৈশ্বিক জনগোষ্ঠী ঋণী বটে। প্রায় পৌনে সাত কোটি সংক্রমণ, আর পনের লাখের বেশি মৃত্যুর দগদগে ঘা নিয়ে দাড়িয়ে থাকা কোভিড সংকটে মাস্কের উপর আস্থা রেখেছেন সে সব জনগোষ্ঠী, মাস্ক তাদের ফিরিয়ে দেয়নি, আগলে রেখেছে যথা সম্ভব।
মাস্কের মর্যাদার প্রতি বিশেষ নিবেদনের জন্যে জাপানিদের পরিচয় বিশ্বব্যাপী। জাপানি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে এই মাস্ক, বিশেষ করে সার্জিক্যাল মাস্ক। করোনাভাইরাস সংকটের এই দীর্ঘ নয় মাসে প্রথম থেকেই একটি কথা উচ্চারিত হচ্ছে মাস্কের সঠিক ব্যবহার। ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতিতে বলা হচ্ছে মাস্কই ভ্যাকসিন। মাস্ককে ভ্যাকসিনের মত যারা ব্যবহার করছে, করোনাভাইরাস সংকটে মাস্ক তাদের কল্যাণে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখছে।
সংকটের এ দীর্ঘ নয় মাস বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্যে করোনা-কেন্দ্রিক নানান বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্তের টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে সহজবোধ্য বাংলায় প্রায় গোটা তিরিশেক কলাম লিখেছি বাংলদেশের পত্রপত্রিকায়। এবারের কলামটি কোভিড সংকটে আমাদের পরম বন্ধু মাস্কের ভূমিকা আর জাপানি সংস্কৃতির আলোকে এর ইতিকথা নিয়ে।
জাপানি প্রবাদ আছে চোখ মুখের মতই কথা বলে। জাপানিরা শুধু মুখে খায় না, চোখেও খায়। এসব প্রবাদের পেছনের বার্তাটি হচ্ছে জাপানি সংস্কৃতির সহজাত নান্দনিকতা। জাপানিদের মাস্ক পরার সংস্কৃতিও এই নান্দনিকতার বাইরে নয়। প্রাচীনকাল থেকেই কাগজ বা পবিত্র সাকাকি (Japanese Cleyera) পাতা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখে ধর্মীয় আর সামাজিক উৎসবকে মুখের দুর্গন্ধমুক্ত রাখার প্রচলন ছিল জাপানিদের মাঝে।
এদো যুগে (১৬০৩-১৮৬৮) এর ব্যাপক প্রচলন ছিল। এখনো ওসাকা আর কিয়োতোর অনেক মন্দিরে এর ব্যবহার দেখা যায়। জাপানের মাস্কের আধুনিক যুগের শুরু মেইজি আমল (১৮৬৮-১৯১২) থেকে। মাস্ক আমদানী করা হোত কয়লা খনি আর নির্মাণ শ্রমিকদের জন্যে। ১৮৭৯ সালে প্রথম স্থানীয়ভাবে তৈরি হয় মাস্ক। তারপর মেটাল থেকে সেলুলয়েড যুগে প্রবেশ। তাইশো যুগে (১৯১২-২৬) শিল্পায়নের সুযোগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মাস্কের জন্যে ইউরোপ থেকে অর্ডার আসা শুরু হয়। চামড়া, ভেলভেট এবং অন্যান্য ম্যাটারিয়াল দিয়ে তৈরি মাস্ক বাজারে আসতে থাকে, মাস্ক হয়ে যায় বিলাসী পণ্য।
কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় স্প্যানিশ ফ্লু-র মহামারির জন্যে। সাধারণ মানুষদের বাঁচাতে লাক্সারি পণ্য থেকে মাস্ক পরিণত হয় সাধারণ পণ্যে। স্প্যানিশ ফ্লুতে ১৯১৪ থেকে ১৯২০ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ মারা যায়। জাপানে প্রায় ৫ লাখ, আর জাপান অধিকৃত কোরিয়া, তাইওয়ানে মারা যায় প্রায় তিন লাখ মানুষ। জীবন রক্ষায় মাস্ক ছিল তখন অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ। সেই আমলেই প্রবল জনপ্রিয় শ্লোগান ছিল- "কাণ্ডজ্ঞানহীন তারা, মাস্ক পরে না যারা'। মাস্ক কিনতে আর্থিকভাবে অক্ষমদের জন্যে পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হত ঘরে বসে সস্তায় কিভাবে মাস্ক তৈরি করা যায় তার বিবরণ দিয়ে।
শোয়া যুগের (১৯২৬-৮৯) শুরুতে তৈরি মাস্ক ছিল এখনকার মতই ত্রিমাত্রিক মডেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিলিটারির জন্যে কাঁচামাল সংরক্ষণ করায় সাধারণের জন্যে মাস্ক তৈরি করা হত সস্তা গজ কাপড় দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পাতলা ধরণের মাস্কে ব্যবহার শুরু হয় যাতে লিখা থাকতো আইকোকু মাস্ক বা দেশপ্রেমের মাস্ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাস্ক বর্তমান রূপ ধারণ করে, ডিস্পোজেবল বা একবারমাত্র ব্যবহারযোগ্যে মাস্কের প্রচলন শুরু হয়।
সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডাজনিত অসুখ-বিসুখ ছাড়াও ফ্যাশন আর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে জাপানে বছরের পর বছর ধরে মাস্ক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অতি বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা, চশমার কাঁচ ঘোলা না হওয়া, স্লিম চেহারার জন্যেও মাস্কের ব্যবহার হচ্ছে। মাসুকু বিজিন বা মাস্ক সুন্দরী হবার জন্যে মাস্ক পরে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজনও হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম প্যান্ডেমিক ২০০৩ সালের সার্স ভাইরাস সংক্রমণে্র পর মাস্কের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। আর ২০২০ সালের কোভিড সংকটে মাস্কের ব্যবহার বাঁচিয়েছে লাখ লাখ প্রাণ।
প্যান্ডেমিক সময় ছাড়া সাধারণ সময়ে মাস্কের ব্যাপক ব্যবহারের জাপানি ইতিহাসটি আবার পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বরাবরই হাসি-তামাশা আর টিপ্পনীর বিষয়। কিন্তু জাপানিদের মাস্ক ব্যবহারের এই অভ্যাসটি মহামারির কঠিন সময়ে বিরাট সুবিধে দিয়েছে জাপানিদের, বাঁচিয়েছে অসংখ্য প্রাণ। সঠিকভাবে মাস্ক পরার দীর্ঘ দিনের ইতিহাস, জনসংখ্যার প্রায় সবার মাস্ক পরে বাইরে বের হবার অভ্যাসটি প্রাণ রক্ষার পাশাপাশি সহায়তা করেছে অর্থনীতি সচল রাখতেও। কোভিড মহামারি সময়ে টোকিওর কমিউটারে ঠাসাঠাসি যাত্রী, বেসবল স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শক থাকার পরও শুধু মাস্ক পরার অভ্যেসটির কারণে কোভিড মহামারি জাপানিরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে পশ্চিমাদের তুলনায় ঈর্ষণীয় সাফল্যে।
জাপানিদের মাস্ক ঐতিহ্যের পেছনে মোটাদাগে মোট ৫টি কারণকে চিহ্নিত করা হয়। স্বাস্থ্য হচ্ছে প্রথম কারণ। বিপুল জনসংখ্যার ছোট দেশ জাপান। জাপানের ৭০ শতাংশ অঞ্চল পাহাড়-পর্বতপূর্ণ। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ বাস করে মাত্র ৩০ শতাংশ অঞ্চলে, ফলে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। ছোট জায়গায় অনেক বেশি মানুষের দেশ জাপানে কোভিড মহামারির বিস্তার হবার কথা ছিল ব্যাপকভাবে, কিন্তু তা হয়নি মূলত মাস্ক ঐতিহ্যের কারণে। জাপানে ছোটকাল থেকেই শেখানো হয় প্রতিরোধের গুরুত্ব, ব্যক্তিগত পরিছন্নতার নির্দেশনা। খাবার সরবরাহের সময় মাস্ক পরা কিংবা অসুস্থ হলে সার্জিক্যাল মাস্ক পর বাইরে বের হওয়ার অভ্যেস স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আর অসুখবিসুখের কমিউনিটি সংক্রমণরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
ধূলা আর পরাগরেণু জনিত অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষিত থাকাও মাস্ক ব্যবহারের আরেকটি কারণ। পোলেন গ্রেইন বা পরাগরেণু বা জাপানিতে "কাফুনসু" জাপানে অ্যালার্জি কেন্দ্রিক ঠাণ্ডা লাগার অন্যতম কারণ। ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে বিভিন্ন ঋতুতে এর উপদ্রব বিভিন্ন মাত্রায়। জাপানে আবহাওয়া পূর্বাভাসের পাশাপাশি কোন দিন কখন পরাগরেণুর তীব্রতা থাকবে সেটিও বলে দেওয়া হয়। যাদের পরাগরেণুতে অ্যালার্জি আছে উনারা পরাগরেণুর প্রাবল্যের দিনে মাস্ক পরে বের হন।
মাইক্রন হচ্ছে এক মিলিমিটারের একহাজার ভাগের একভাগ। মাইক্রনকে মাইক্রোমিটারও বলা হয়। ধূলার আকার হয় সাধারণত ২ দশমিক ৫ মাইক্রন। অ্যাজমা, ফুসফুসের সংক্রমণ, হার্টের সমস্যায় ধূলা আর পরাগরেণুর ভূমিকা খুবই অবন্ধুসুলভ। সাধারণ মাস্ক পরে ধূলা আর পরাগরেণুর অ্যালার্জি জনিত উপদ্রব থেকে বেঁচে থাকা যায়। বিভিন্ন আকারের পার্টিক্যাল প্রতিরোধে বিবিধ ক্যাটাগরির মাস্কের প্রচলন; তিন মাইক্রনের ধূলা আর পরাগরেণু প্রতিরোধের মাস্ক, ০.২-০.৮ মাইক্রনের মাস্ক, ০.১ মাইক্রনের ভাইরাস প্রতিরোধের মাস্ক। মাস্ক বায়ুবাহিত কণা আটকিয়ে ভাইরাস ট্রান্সমিশন কমায় যেমন- এন ৯৫, এনকে ৯৫ মাস্ক। মাস্ক ব্যবহারের গরম লাগা জনিত সমস্যা কমাতে জাপানে হাইয়াশি বা রেফ্রিজারেটেড মাস্ক তৈরি করা হয় যার ছোট পকেটে আইসপ্যাক রেখে তাপমাত্রা কমানো হয়।
শারিরিক ত্রুটি ঢেকে রাখবার জন্যেও মাস্ক ব্যবহৃত হয়। ফিজিক্যাল ইম্পারপেকশন যেমন পিম্পল, ক্ষত, দাগ লুকিয়ে রাখার জন্যে জাপানে বেশ ব্যবহার আছে মাস্কের।
অদ্ভুত শোনালেও এটি বাস্তব যে জাপানে মাস্ক ব্যবহারের অন্যতম কারণ ফ্যাশন। ফ্যাশন মাস্ক অনেক জাপানির লাইফস্টাইলের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১১ সালের এক জরিপে দেখা যায় ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার ফ্যাশন আর বিব্রত পরিস্থিতি এড়িয়ে যাবার জন্য। রয়েছে বিভিন্ন ফ্যাশন আর ডিজাইনের মাস্ক। রিত্তেই বা ৩ ডি মাস্ক দিয়ে এসথেটিক্যাল বা মুখাবয়বের সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। নতুন প্রজন্মের মেয়েরা ফ্যাশনের কারণে অধিকহারে মাস্ক ব্যবহার করে।
সামাজিক উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আর বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলাও মাস্ক ব্যবহারের আরেকটি কারণ। জাপানি মহিলাদের এক বিশাল অংশ অন্তর্মুখী ধরনের। জাপানের মত অত্যাধুনিক দেশেও জটিল সমস্যা হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে বা বাইরে মেয়েদের পুরুষতান্ত্রিক বিব্রত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা। মাস্ক পরে অসুস্থ হবার ভান করে সহকর্মীদের বা বাইরের অযাচিতদের এড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। মুড সুইং ইস্যুতে জাপানিরা নিজেদের আড়াল করে রাখতে পছন্দ করে আর মাস্কের ব্যবহার এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। মাস্কের ব্যবহারে কথা কম বলতে হয় বলে নিরিবিলি কাজ করে যাবার ক্ষেত্র তৈরি হয়। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত অশান্তির সময়ে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থেকেও নিজেকে সমাজ থেকে আড়াল করে রাখার জন্যে মাস্ক বেশ উপকারী। জনৈক মনোবিজ্ঞানীর ভাষায় কর্মক্ষেত্রে রাগ অনুরাগের প্রকাশজনিত ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্যে জাপানের নতুন প্রজন্মে কাছে মাস্কের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দামী আর ভারী মেকআপ জাপানি মহিলাদের পছন্দের বিষয়। ভারী মেকআপের আড়ালের মানুষটিকে হঠাৎ মেকআপ ছাড়া দেখলে অনেক ক্ষেত্রেই চমকে যেতে হয়। মাস্ক ব্যবহারে ভারী মেকআপ ছাড়াই কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সুবিধে পাওয়া যায়, লুকিয়ে রাখা যায় মেকআপবিহীন ন্যাচারাল অবয়বকে।
জাপানে মাস্কের ইতিহাস আর মাস্ক পরার নানা কারণকে ছাড়িয়ে মাস্ক ব্যবহারের বর্তমান মাত্রা বৈশ্বিক কোভিড বাস্তবতায় এখন অন্য রকম এক উচ্চতায়। ড. ফাউচিসহ কোভিড সংকটে উচ্চকিত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিন্ন অভিমত সঠিকভাবে মাস্ক পরে নিজেকে নিরাপদ করার পাশাপাশি নিজের চারপাশকে নিরাপদ রাখার বিষয়টির কোনও বিকল্প নেই। ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত আসা সুখবরের পাশাপাশি কোভিড সংকট থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণে জন্যে মাস্ক ব্যবহারের কোনও বিকল্প নেই। ভ্যাকসিনের গণপ্রয়োগে হার্ড ইমিউনিটির মত অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া পর্যন্ত মাস্কের ভূমিকা ভ্যাকসিনের মতই কার্যকরী। সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে মাস্কের মমতায় জড়িয়ে থাকলে মমতাময়ী মাস্ক কোভিড সংকট থেকে আমাদের আগলে রাখবে বৈকি।