Published : 23 May 2020, 03:41 PM
করোনাভাইরাস যুদ্ধে কোন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ? কোন মডেলকে অনুসরণ করে চলছে? কোরিয়া, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, কেরালা, সিঙ্গাপুর, চীন কিংবা জার্মানি কোনো মডেলেই বাংলাদেশকে ফেলা যাচ্ছে না। হয়তো বাংলাদেশ নিজেই নিজের মডেল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রান্তের হার ক্রমেই বেড়ে চলছে। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এমন অবস্থার মধ্যেই শিথিল হয়েছে বা হচ্ছে লকডাউন কিংবা সাধারণ ছুটি। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আমরা প্রায় আড়াই মাসের মতো সময় পার করেছি। প্রথম পর্যায়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, গণপরিবহন বন্ধ এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে দেশের ৬৪ জেলাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কঠিন সময়ে এসে যেন সবকিছু শিথিল করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রথমে খোলা হয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা। অতঃপর শপিং মল খোলার সিদ্ধান্ত, মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় ও ঈদের ছুটিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে অনুমতি প্রদান। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পানের কারণে স্থানচ্যুত আশ্রয়কেন্দ্রে ২০-২৫ লক্ষ মানুষের সামাজিক বা দৈহিক দূরত্ব বজায় না রাখার ঝুঁকি। জীবিকা-জীবনের মিথস্ক্রিয়ায় হাজারো মানুষ এসেছে শহরের পথে, আবার ঈদের ছুটিতে রয়েছেও বাড়িপথে। বর্তমান বাস্তবতায় প্রশ্ন জাগে, লকডাউনের শিথিলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী কৌশল বা নীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার? সামনের পরিকল্পনা কী তা যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনি সঠিক নির্দেশনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তা ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত কোনো অগ্রগতি হয়নি বিশ্বে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশ কি হার্ড ইমিউনিটির পথেই হাঁটছে? আর তা কি সঠিক হচ্ছে? হার্ড ইমিউনিটির জন্য ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত হতে হবে–এতে অনেক মানুষের সংক্রমণ হবে, আর সংক্রমণ হলে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যাবে। আমরা কি তাহলে অজানা গন্তব্যের পথেই হাঁটছি?
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস যুদ্ধে সাফল্যের বিচারে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামকে মূল্যায়ন করা হয় বিশেষভাবে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত চীনের সাথে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা থাকলেও ৯ কোটি ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ ভিয়েতনামে সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা ও সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে পেরেছে বলেই এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ৩২৪ জনের পর আর নতুন করে কোনো সংক্রমণ সেখানে দেখা যায়নি–এমনকি একটি মৃত্যুও সেখানে হয়নি। বাংলাদেশে আমরা ভিয়েতনামের ন্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তার অবশ্য যথেষ্ট কারণও রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করেছে ভিয়েতনাম? দেশটি কি অতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? অতি প্রতিক্রিয়া হলেও তা বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন ছিল কি? জনগণকে সঠিক বার্তা প্রদান করতে পেরেছিল কি? সরকারি উপাত্ত সত্যিকার অর্থে বিশ্বাসযোগ্য ছিল কি? সামাজিক দূরত্ব বা কোয়ারেন্টিন প্রয়োগে অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ ছিল কি? এ সকল প্রশ্নের উত্তরে এক কথায় বলা যায়, ভিয়েতনাম এ সকল কিছুকেই সফল ভাবেই সম্পন্ন করতে পেরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মনে পড়ে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথমবার ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম 'প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্য এবং অধিকার' শীর্ষক এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৯ম সম্মেলনে অংশ নিতে। সম্মেলন স্থান ছিল পৃথিবীর প্রকৃতির সপ্তাশ্চর্য বলে পরিচিত 'হা লং বে'। সম্মেলন শেষে 'হা লং বে' হয়ে রাজধানী হ্যানয় ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল। বেশ গোছানো শহর বলেই মনে হয়েছে হ্যানয়কে। সড়ক দুর্ঘটনারোধে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহার করতে অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে কিভাবে দুর্ঘটনা একদম কমিয়ে আনা যায় তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো এ ভিয়েতনাম। গ্লোবাল হেলথ বিষয়ক কোর্স পাঠদানকালে আমি আমার শিক্ষার্থীদের এ উদাহরণ নিয়ে আসি যেমনটি করি কিউবাকে নিয়েও। যাহোক, করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত ভিয়েতনাম যেন এক সাফল্যের নাম। যদিও কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের কথাও বলা যায়। তবে কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও চীনে দ্বিতীয় ঢেউ-এ সংক্রমণ হওয়ায় সে সাফল্য কিছুটা ম্লান।
জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে থাকলেও ঘনবসতির বিচারে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ দেশ। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি এখানে অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত (২২ মে ২০২০) দেশে সংক্রমিত শনাক্ত মানুষের সংখ্যা ৩০,২০৫ আর মৃত্যু ঘটেছে ৪৩২ জন। তবে ১৩ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে ৯২৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা যথাযথ সেবার মাধ্যমে সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এটাই প্রতাশিত। তবে ১৭৭ জন থেকে একদিন বাদেই সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০০০-এর বেশির সংবাদে ও ব্যাখা প্রদানে অস্পষ্টতা লক্ষ্য করা গিয়েছে যা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পেয়েছি। পদ্ধতিগত জায়গায় পরিবর্তন আনার কারণেই নাকি এমনটি ঘটেছে। ২২ মে ২০২০ তারিখ পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্তে সংখ্যায় বিশ্বে ২৭তম স্থানে রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের বিপরীতে পাকিস্তানে শনাক্ত হয়েছে ৫০,৬৯৪ আর ভারতে ১,২৪,৭৯২। তুলনা করলে দেখা যায় এ দুটি দেশেই আমাদের তুলনায় পরীক্ষাও করেছে বেশি। পাকিস্তান আমাদের তুলনায় দ্বিগুণ ও ভারত প্রায় ১৩ গুণ বেশি পরীক্ষা করেছে। পরীক্ষার হার আগের তুলনায় এখন বাড়লেও তা আরও অনেক বেশি হওয়া উচিৎ ছিল। করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এটাই স্বাভাবিক। সমগ্র দেশই এখন সংক্রমিত। এ অবস্থায় ১৭ কোটি জনসংখ্যাকে মাথায় রেখে প্রতিদিন ৫০ হাজার পরীক্ষা করতে পারলেই ভাল হতো। তবে সে সক্ষমতা নেই বলেই বলা যায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। দিনে ১০ হাজার করোনাভাইরাস পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। পরীক্ষার সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়লেও বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে এখনও আশাবাদী হবার কোন কারণ দেখছি না। বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে পরীক্ষার সংখ্যা এখনো বেশ কম। বেশি পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষা কীটের সরবরাহের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ও দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বেশ অভাব রয়েছে। নমুনা সংগ্রহ একটি জটিল কাজ। টীকা কর্মীদের বা স্বাস্থ্য কর্মীদের একদিনের ভিডিও কনফারেন্সে প্রশিক্ষণ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ আসলেই চ্যালেঞ্জ। নমুনা যথাযথভাবে সংগ্রহ না হলে তা সঠিকভাবে পরীক্ষা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। তাছাড়া ১০ হাজার নয় বরং প্রতিদিন ২০ হাজার পরীক্ষা করাটা আমাদের জন্য একটি মানদণ্ড হতে পারে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়ার লক্ষ্যে। এক্ষেত্রে সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে। কিট স্বল্পতা ও পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট সংক্রান্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দ্রুত অবসান হওয়া উচিৎ। ঐ কিট পরীক্ষায় সফল হলে তা দ্রুত প্রয়োগ করা উচিৎ। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে শহর এলাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে নমুনা সংগ্রহ বুথ হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে। এ ক্রান্তিকালে বেসরকারি সংগঠনগুলোকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কি?
এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসা। সরকারি তথ্য মতে এখন পর্যন্ত দেশের ৩টি বিভাগ, ৫০টি জেলা আর ৪০০ উপজেলা সম্পূর্ণ লকডাউন অবস্থায় রয়েছে বলে বলা হলেও সত্যিকার অর্থে লকডাউন কতটা বাস্তবে কার্যকর রয়েছে সেটিই একটি বড় প্রশ্ন। সামাজিক বা দৈহিক দূরত্ব যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি? লকডাউন শিথিলে বাংলাদেশ এখন সংক্রমণ বাড়ার পর্বে রয়েছে। যেসব রোগী শনাক্ত হচ্ছে তারা কাদের সংস্পর্শে আসছে সেসব তথ্য বা সংক্রমণের উৎস চিহ্নিত করা ঠিকমতো হচ্ছে না বলেই জেনেছি। ফলে লকডাউন তুলে নিলেই হবে না, লকডাউন তুললেও থেকে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি–আর তা যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। লকডাউন শিথিল বিজ্ঞান সন্মত না হলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় ঘাটতি ও অবহেলার দরুণ আমাদের অনেক মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ও জাতীয় কমিটির মতামতকে বিবেচনায় নিতে হবে। তা না হলে মনে হবে সবকিছুই এখন অদৃষ্টের কাছেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এখানে আরোগ্যমূলক নয় বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হওয়াই উচিৎ অগ্রাধিকার। কিন্তু প্রতিরোধের বিষয়টি এমন পর্যায়ে এসে গিয়েছে যে, ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার দ্বারা এখন মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোঁয়া আর সচেতনতার ওপরই হয়তো আমাদের নির্ভর করতে হবে। মে মাসের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তা অব্যাহত থাকলে আর পরীক্ষা আশানুরূপ মাত্রায় না করতে পারলে হাসপাতালে ভর্তির চাহিদা পূরণ হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্রান্তিকালে এখন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা না পাওয়াই যেন প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য সেবায় দায়িত্বরত ডাক্তার মেয়ে যখন একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে অতিরিক্ত সচিব বাবাকে ভর্তির পরও সেবা নিশ্চিত করতে পারেন না, প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিবের ছেলে যখন বাবার চিকিৎসা পেতে ভোগান্তির কথা বলেন, চিকিৎসা সেবায় অবহেলার দরুণ মা হারানো বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তা যখন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অভিযোগ দেন তখন এ সবকিছুকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার কোনো অবকাশ নেই। বরং এ সকল মানুষের বিপরীতে সাধারণ জনমানুষের অবস্থার কথা ভেবে শঙ্কিত হই। সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সূত্রে জেনেছি, সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধাতে প্রসুতি মা হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে রাস্তায় একজন ভ্যানে আরেকজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় সন্তান জন্মদান করেছেন। এ কেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি আমরা? সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও অধিকার নিশ্চিত করা কি স্বপ্নেই থেকে যাবে? প্রতিনিয়তই ভাবছি দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন, জীবন-জীবিকা নিয়ে কীভাবে এ মহামারীর ধকল সহ্য করবে? আর করোনাভাইরাস যুদ্ধে জাতীয়ভাবে কে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন? জাতীয় পরামর্শক বা জাতীয় কমিটিতে পর্যালোচনা বা সুপারিশের ভিত্তিতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সব কিছু করা হচ্ছে কি? সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নেয়া হচ্ছে কি–তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে কি? একজন নাগরিক হিসাবে মনে করি, সরকার ও রাজনীতিবিদদের উচিৎ এক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো কী রয়েছে তা জনগণের কাছে পরিষ্কার করা। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে লকডাউন-সাধারণ ছুটির ব্যবস্থাপনা, ভালনারেবল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, সর্বাধিক সংখ্যক পরীক্ষার আওতা বাড়ানো ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে ভাবনা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে পুনঃ চালুকরণের রোড ম্যাপ, একই সাথে সমাজ ও জীবনাচরণে আমরা নাগরিকেরা কীভাবে পরিবর্তন আনতে চাই ইত্যাদি বিষয়ে সরকার ও রাজনীতিবিদদের জনগণের সাথে কথা বলা। তাদের ভাবনা জনগণকে জানানোই তো গণতন্ত্র, তাই নয় কি? গণতন্ত্রের কথা নাই বা বলি বরং আগামী দিন (২৪ মে) তিন বছর হতে যাওয়া আমার ছেলের কথা বলেই এ লেখা শেষ করি। করোনাকালে ছেলে আমাকে প্রায়শই জিজ্ঞাসা করে- "বাবা, কবে করোনাভাইরাস শেষ হবে? কবে তুমি আমাকে আবার বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাবে? আমার জন্য কখন তুমি বিদেশ থেকে আমার জন্য নতুন নতুন খেলনা নিয়ে আসবে? কবে আবার আমরা অপরাজেয় বাংলা দেখতে যাব?"- ছেলের কোন প্রশ্নেরই উত্তর আমার জানা নেই। শুধু জানি অজানা গন্তব্যের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস যুদ্ধের বন্ধুর এ পথে আমাদের সবাইকে যার যার পরিসরে অপরাজেয় থাকতে হবে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে!