তিন দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার একটি গ্রামে বিস্ফোরণে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে মহকুমার একটি আদালত।
Published : 06 Oct 2014, 12:45 AM
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা আইএএনএসের খবরে বলা, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই জঙ্গির মৃত্যু হয় এবং আহত হন আরো একজন।
ওই ঘটনার পেছনে আল-কায়েদার মতো কোনো জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কি না- তা খতিয়ে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বর্ধমানে ওই বিস্ফোরণের পর গুরুতর আহত শামিম ওরফে শাকিল আহমেদ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় স্বপন ওরফে সুবহান মণ্ডলের। গুরুতর আহত আব্দুল হাকিম এখনো চিকিৎসাধীন।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকিলের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাজপুরে, সুবহানের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে ও আব্দুলের বীরভূমের মহম্মদবাজারে।
ঘটনার দিনই শাকিলের স্ত্রী গুলশনা বিবি ওরফে রাজিয়া বিবি এবং হাকিমের স্ত্রী আমিনা বিবিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বর্ধমান পুলিশের সহকারী সুপার তরুণ হালদারকে উদ্ধৃত করে আইএএনএস বলেছে, “আটক দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, এটা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।”
স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিন মাস আগে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন শাকিল, স্বপন ও আব্দুল। তাদের সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতেন ওই দুই নারী।
পুলিশ ওই বাড়ির মালিক হাসান চৌধুরীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর ওই ঘর থেকে প্রচুর বিস্ফোরক, ঘড়ি ও ডেটোনেটর, সিম কার্ড, বেশ কিছু লিফলেট ও কয়েকটি জিহাদি বই পাওয়া যায়, যাতে আল কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি, ভারতীয় মুজাহিদিন, এমনকি চেচেন বিদ্রোহীদেরও উল্লেখ রয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন মির্জাকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার জানায়, ওই তিন ব্যক্তি বোমা তৈরি করে সেগুলো সরবরাহ করত। বাংলাদেশের কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে কি-না, তাও দেখা হচ্ছে।