ভারি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিল নাড়ুতে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
Published : 09 Nov 2021, 03:17 PM
বন্যা ও বর্ষণে তুলনামূলক বেশি বিপর্যস্ত চেন্নাইয়ের হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
২০১৫ সালের পর শহরটিতে এমন তুমুল বৃষ্টিপাত আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টি আরও দুইদিন থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে নিচু এলাকাগুলোতে বন্যা দীর্ঘায়িত হতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর ফুটেজে উপড়ে পড়া গাছ ও পানিতে তলিয়ে থাকা গাড়ি দেখা গেছে।
চেন্নাইয়ে প্রত্যেক বছরের এই সময়ে ভারি বৃষ্টি হতে দেখা গেলেও নিয়ন্ত্রণহীন নগরায়ণ ও নিম্নমানের নগর পরিকল্পনার কারণে জলাবদ্ধতা, ক্ষয়ক্ষতি ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনও এ সমস্যায় ভূমিকা রাখছে, ঘন ঘন অতি ভারি বৃষ্টিপাত নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় চেন্নাইয়ের কয়েকটি অংশ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
ফুটেজে রাবারের নৌকা করে আটকে পড়াদের উদ্ধারের দৃশ্যও দেখা গেছে। সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য অনেককে হাঁটু পানি পাড়ি দিতেও দেখা গেছে।
শনিবার থেকে চেন্নাইয়ের অধিকাংশ প্রধান সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারী পরিস্থিতিকে ২০১৫ সালের ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ওই বন্যায় রাজ্যটিতে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
চেন্নাই ও এর আশপাশের জেলাগুলোর সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রয়েছে। বিপজ্জনক এ পরিস্থিতিতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উপকূল বরাবর বসবাস করা জেলেদের সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চেন্নাই সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, তারা শহরজুড়ে আশ্রয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে এবং বন্যার্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করছে।
তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, তিনি তার মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন।