সুগন্ধিযুক্ত আফটার শেইভ লোশন ব্যবহারে সাধারণত ত্বকে প্রদাহ হয়।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, ‘শেইভ’ করার সময় শুধু দাড়ি, গোঁফই কাটে না, ত্বকের উপরিভাগও কেটে যায়। পরে সেই ক্ষতস্থানে সংক্রমণ হয়ে ব্রণ উঠতে পারে। তাই আফটার শেইভ লোশন ব্যবহার করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই মেডিকেল সেন্টার’য়ের ‘কসমেটিক অ্যান্ড ক্লিনিকাল রিসার্চ ইন ডার্মাটোলজি’ বিভাগের পরিচালক জশুয়া জাইখনার বলেন ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “দাড়ি, গোঁফ কাটার সময় ত্বকে অস্বস্তি তৈরি হয়, স্বাভাবিকের তুলনায় ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে যায়। এসময় ত্বকে কোনো বিশেষায়িত ‘আফটার শেইভ’ লোশন, ক্রিম, জেল ব্যবহার করলে ত্বকে আর্দ্রতা বাড়ে, ত্বকের সুরক্ষা কবচ শক্তিশালী হয়।”
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘সোয়াইগার ডার্মাটোলজি গ্রুপ’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ জেরেমি ফেনটন বলেন, “সমস্যা হল এই ‘আফটার শেইভ’ প্রসাধনীতে ত্বক শুষ্ক করে দেওয়ার মতো কিছু উপাদানও থাকে, অ্যালকোহল এরমধ্যে অন্যতম। আর সুগন্ধি থাকলে সেটা আরও বেশি অস্বস্তি তৈরি করে।”
তবে বর্তমানে অ্যালকোহল মুক্ত ‘আফটার শেইভ’ প্রসাধনী সহজলভ্য হয়েছে যেগুলো ত্বকে আর্দ্রতাও যোগায় এবং কোনো জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে না।
যে উপাদানগুলো ক্ষতিকর
ডা. ফেনটন বলেন, “প্রথমত খুঁজতে হবে অ্যালকোহল মুক্ত ‘আফটার শেইভ’ প্রসাধনী। অ্যালকোহল ত্বকের তেল দূর করতে খুবই কার্যকর। সে কারণেই তা ত্বককে শুষ্ক করে এবং অস্বস্তি তৈরি করে।”
কিন্তু ত্বককে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে তেলের প্রয়োজন আছে। সুগন্ধিযুক্ত যেকোনো ‘আফটার শেইভ’ এড়িয়ে চলা উচিত। সুগন্ধি দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপকার করে না ওই সুগন্ধি উপাদান, বরং সৃষ্টি করতে পারে অ্যালার্জি। তাই এড়িয়ে চলাই নিরাপদ, বিশেষত, যাদের ত্বক সংবেদনশীল।
যে উপাদানগুলো উপকারী
নিউ ইয়র্কের ‘মেডিকাল ডার্মাটোলজি অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি’র ত্বক বিশেষজ্ঞ মারিসা গার্শিক বলেন, “‘আফটার শেইভ’ লোশনে থাকতে হবে ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এমন উপাদান। গ্লিসারিন, শিয়া বাটার, হায়ালুরনিক অ্যাসিড ইত্যাদি উপাদান ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে। তাই এগুলো আছে এমন ‘আফটার শেইভ’ প্রসাধনী কেনা উচিত।”
অ্যালোভেরা কিংবা ক্যামোমাইল’য়ের নির্যাস ত্বককে কোমল করে, ত্বক লালচে হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই উপাদানযুক্ত ‘আফটার শেইভ’ পণ্য হবে আরামদায়ক।
ছবির প্রতীকী মডেল: সৈকত। ছবি: কাওসার আহমেদ।
আরও পড়ুন: