মানসিক চাপ দূর করতে মুখ মালিশ

সঠিক পন্থার মালিশে দূর হবে মনের চাপ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2022, 11:24 AM
Updated : 1 August 2022, 11:24 AM

শুধু মাথা বা কপাল নয়, মুখের বিভিন্ন অংশ মালিশ করলেও প্রশান্তি জাগবে দেহে।

কারণ খেয়াল করে দেখবেন, কোনো সংবাদ শুনলে আমরা মুখ চেপে ধরি, নয়ত গাল বা কপালে হাত দেই। এগুলো মনের অজান্তে স্বাভাবিক অভ্যাসে করা হলেও, এসব আসলে চাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার শরীরের এক ধরনের প্রাকৃতিক পন্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘লাইসেন্সড ম্যাসাজ থেরাপিস্ট অ্যান্ড অ্যাসথেটিসিয়ান’ লিজ আনিয়ের বলেন, “যখনই আমি মানসিক চাপে থাকি, সবার আগে তা অনুভব করি আমার চেহারায়। বিশেষ করে চোখের ভ্রু আর কপালে। ব্যাপারটা এমন যে মানসিক চাপ গিয়ে যেন চেহারায় জমা হয়। আসলেই তাই, কারণ চেহারাতেই আমাদের অনুভূতি প্রকাশ পায়।”

শুধু মানসিক চাপই নয়, চমকে যাওয়া, আনন্দ, হতাশা সবকিছুতেই চেহারার পেশি কাজ করে সারাদিন, প্রতিদিন। এত কাজের পর পেশি তো ক্লান্ত হবেই আর একারণেই চেহারা মালিশ করা থেরাপির মতো কাজ করে।

আর এই মালিশের কিছু পন্থাও রয়েছে যা তিনি ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন।

চোখের ভ্রু মালিশ: তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে চোখের ভ্রু বিভিন্ন স্থানে আলতো করে টিপে ধরে বাইরের দিকে টানতে হবে। শুরু করতে হবে কপালের মাঝখান থেকে দুই ভ্রু একসঙ্গে মালিশ করে।

ভ্রুকে তিন কিংবা চার ভাগে ভাগ করে চাপ দিতে এবং বাইরের দিকে টানতে হবে। সবশেষ ভ্রু জোড়া চেপে ধরে একটানে মুছে নেওয়া মতো করে চাপ দিতে হবে।

আকুপ্রেশার টেনশন: চোখের দুই ভ্রুয়ের মাঝখানে একটি ‘আকুপ্রেশার পয়েন্ট’ আছে। তর্জনী দিয়ে নাক আর চোখের ভ্রুয়ের মিলনস্থলে চাপ দিলে খুব সামান্য একটি গর্ত খুঁজে পাওয়া যাবে। এই সেই ‘আকুপ্রেশার পয়েন্ট’ যা মাথাব্যথা, সাইনাস ও মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর।

এখানে তর্জনী দিয়ে চাপ দিয়ে প্রথমে ঘড়ির কাটার গতির দিকে তিনবার আঙুল ‍ঘোরাতে হবে। পরে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে তিনবার, সবশেষে তিনবার গর্তটিতে সরাসরি চাপ দিতে হবে।

কপালের মাঝখানেও একইভাবে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।

ফেইশল ট্যাপিং: বৃদ্ধাঙ্গুল বাদে বাকি চার আঙুলে মাথা দিয়ে গালের উপরের দিকে থাকা ‘চিকবোন’য়ের ওপর আলতো করে টোকা দিতে হবে। টোকা দিতে দিতে কানের দিকে যেতে হবে। শরীর ম্যাজম্যাজ করলে এই মালিশ পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর। তিন থেকে ছয়বার পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে হবে।

স্কিন রোলিং: এই মালিশ পদ্ধতি ব্যবহারের আগে মুখ থেকে সব ধরনের প্রসাধনী পরিষ্কার করে নিতে হবে। শুরু করতে হবে চোয়াল থেকে।

তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে চোয়ালের ওপরের ত্বক চিমটি দিয়ে ধরতে হবে। এভাবে চিমটি দিতে দিতে গাল ও কপালের দিকে যেতে হবে। যেন চোয়াল থেকে কপাল পর্যন্ত ত্বকের একটা ঢেউ তৈরি হয়। প্রথমের মুখের একপাশে করে পরে ওপর পাশে যেতে হবে।

গ্রাউন্ডেড ফ্রিকশন: উষ্ণ চা বা কম্বলের মতোই আরামদায়ক এই পদ্ধতি।

দুই হাতের তালু দশ সেকেন্ড ঘষে গরম করে নিতে হবে। এবার সেই গরম হাত দিয়ে চোখ, কপাল, ঘাড়, কাঁধ বা যেখানে ইচ্ছা সেখানে চাপ দিতে হবে।

এই পদ্ধতি রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে, স্বস্তি দেবে। আর যতবার ইচ্ছা ততবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।

আরও পড়ুন

Also Read: শিশুকে মালিশ করার উপকারিতা

Also Read: শুধু তেল মালিশে চুল পড়া কমে না