শিশুকে মালিশ করার উপকারিতা

শিশুকে আরাম দিতে এবং তার সঠিক বৃদ্ধির জন্য মালিশ করা প্রয়োজন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2019, 11:22 AM
Updated : 15 Oct 2019, 11:22 AM

শিশুকে মালিশ করা কেবল তার শারীরিক বৃদ্ধি নয় বরং আপনার ভালোবাসার স্পর্শ তার মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে শিশুকে মালিশ করার উপকারিতা সম্পর্কে জানানো হল।

হজমে সহায়তা: শিশুকে মালিশ করা হলে তার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা কমে। হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি পেটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা: শিশুর পেটের দিকের অংশ মালিশ করা হলে তা হজমে সাহায্য করে এবং ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, শিশুকে সঠিকভাবে মালিশ মাধ্যমে তার ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

শিশুর আরাম: শিশুর মাঝে উদ্বেগ ও চঞ্চলতা দেখা দিলে তাকে শান্ত করতে হালকা মালিশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ মালিশ করা হলে শিশুর ‘সুখী হরমোন’ নিঃসরণ হয় এবং সে আরাম অনুভব করে।

শিশুকে ঠিক মতো বুঝতে পারা: শিশুর সঙ্গে একা কিছুক্ষণ সময় কাটালে তার আচরণ ও স্বভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই শিশুকে শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার পছন্দসই কাজ করুন।

শিশুকে মালিশ করার সঠিক সময়

খাওয়ার অন্তত ৪৫ মিনিট পর মালিশ করতে হবে। খাওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে মালিশ করা ভালো। এই সময়ের মধ্যে তাদের পেট ভরা থাকে না। নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পর পর মালিশ করা হলে তাতে শিশু অভ্যস্ত হয়ে যাবে। মালিশ করার সময় যেন কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয়। তাই আলো বাতাস চলাচল করে এমন স্থান বেছে নিন।

মালিশের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

১. তেল বা ক্রিম। ২. পরিষ্কার তোয়ালে। ৩. ডায়াপার (প্রয়োজন হলে)।

শিশুকে মালিশ করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন আপনার হাতের নখ ছোট থাকে, তাহলে দুর্ঘটনাবশত শিশুর আহত হওয়ায় সম্ভাবনা কমে যাবে।

আরও পড়ুন