শুষ্কতার সমস্যা কাটানোর পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
Published : 01 Jul 2024, 05:55 PM
শুধু খাবার হিসেবে নয়, ত্বকের যত্নেও ওটস ব্যবহার করা যায়।
তবে রূপচর্চায় ব্যবহার করতে হয় ‘কোলোইডল’ বা আঠালো ওটস। যা কিনা ওটিসের মিহি-গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে তৈরি করা যায়।
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সিনিয়া কোবেটস বলেন, “এই ওটসের গুঁড়া পানি বা তরলের সাথে মিশে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ‘ফাইটোকেমিকেল্স’ সমৃদ্ধ বলে এটা ত্বকের জন্য উপকারী।”
সূক্ষ্ম গুঁড়ার কারণে যে কোনো তরলে এমনকি লোশন বা ক্রিমের সাথেও ভালো মতো মিশে যেতে পারে এই ওটস।
উপকারিতা
ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে।
ডা. কোবেটস বলেন, “ত্বকের বাহ্যিক রক্ষাকবচ উন্নত করতে পারে ‘কোলাইডল ওটস’। এছাড়া চামড়ার মাইক্রোবায়োম’য়ের উন্নতির মাধ্যমে প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে।”
ত্বকের ক্ষরীয় মাত্রায় ভারসাম্য, ব্যাক্টেরিয়ার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারে।
সংবেদনশীলে ও অস্বস্তিকর ত্বকে আরাম দিতে পারে এই ওটস।
এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়েল সৌন্দর্যবিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিনা ইন্সকো বলেন, “অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’, ছোঁয়াচে ডার্মাটাইটিস, শুষ্ক ত্বক এবং গাছ-পালা বা পতঙ্গের মাধ্যমে হওয়া অ্যালার্জি বা অস্বস্তিতে আরাম দিতে পারে।”
আরেকটি উপকারিতা হল, এই ওটস ত্বকের শুষ্কতা কমানোর পাশাপাশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি
ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা ও বজায় রাখার জন্য ‘কোলাইডল’ ওটস সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেন ইন্সকো।
প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে উপকারী উপাদান বের করে প্রসাধনী তৈরি করা হয়। আর এগুলো বাজারে সহজলভ্য।
ডা. কোবেটস বলেন, “আর যদি ‘নিজে করি’ পদ্ধতি ব্যবহার করতে ইচ্ছে হয় তবে বাজার থেকে মিহি-গুঁড়ার ওটস কিনে বা খাবার ওটস ব্লেন্ডারে মিহি-গুঁড়া করে গোসলের আগে পানিতে ভিজিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে।”
আরও পড়ুন
শুষ্ক ত্বকে যেসব উপাদান ব্যবহার করা উচিত না