দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
Published : 03 Jul 2024, 05:45 PM
চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আন্দোলনের তৃতীয় দিনে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড় সড়ক অবরোধ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর ব্যানারে বুধবার বিকাল ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় ফটকের সামনে ঘুরে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতীবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। এসময় গুলিস্তান-সদরঘাট ও গুলিস্তান-বাবুবাজার সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
সেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিন বলেন, “আমরা সংস্কার না, সম্পূর্ণ কোটা ব্যবস্থার বাতিল চাই। দাবি না মানা পর্যন্ত ধারাবাহিক রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি চলবে আমাদের।”
এসময় বাংলা বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, “দীর্ঘদিন আমরা যে বৈষম্যের শিকার হয়েছি, আর যেন এমন বৈষম্যের শিকার না হতে হয় সেজন্যই আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি না মানা হলে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।”
পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে যান।
এর আগে প্রথম দিন সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল-
> ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
> ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
> সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
> দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।