জ্বর-ঠোসা হলে যা করা ঠিক না

খোঁচানো তো অবশ্যই যাবে না। পাশাপাশি মেইকআপ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2022, 01:20 PM
Updated : 6 Dec 2022, 01:20 PM

যন্ত্রণা কমাতে যা কিছুই করা হোক, উল্টো অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

ঠাণ্ডার ক্ষত বা ‘হার্পিস লাবিয়ালিস’ বা জ্বর-ঠোসা হলে এর প্রতি কোমল আচরণ করতে হবে।

নিউ ইয়র্ক’য়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা গার্শিক ওয়েলঅ্যাডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছেন, “মূলত হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে এটা হয়ে থাকে। এর ফলে তরল যুক্ত ফোস্কা দেখা দেয় ঠোঁটে আর ব্যথা হয়। এছাড়া মানসিক চাপ, ঠাণ্ডা-জ্বর বা অন্যান্য সংক্রমণ, তীব্র তাপ বা রোদের সংস্পর্শ ‘কোল্ড-সোর’ বা জ্বর-ঠোসা দেখা দেয়।”

“সাধারণত এটা ব্যথা, জ্বালাপোড়া বা যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি দিয়ে শুরু হয়। তারপরে একটি ফোস্কা বা ‘স্ক্যাব’ তৈরি হয়৷ প্রাথমিকভাবে ঠোঁটে দেখা দিলেও অনেকেরই মুখের বিভিন্ন অংশ, যেমন- নাকের আশপাশেও হয়ে থাকে।”

কড়া প্রসাধনী থেকে বিরত থাকা

জ্বর-ঠোসা হয়ে থাকলে ত্বক পরিচর্যায় যত্নশীল হওয়া উচিত।

ডা. গার্শিক বলেন, “এই সময় যে কোনো এক্সফলিয়েটিং অ্যাসিড, বা রেটিনয়েড ব্যবহার করা যাবে না। ত্বকে জ্বলুনি হতে পারে।”

মনে রাখতে হবে ত্বকের প্রতি কোমল আচরণ করা এই সময় গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো কারণে জ্বালা শুরু হলে এর বিস্তার ঘটতে পারে।

একবার ব্যবহার করা যায় এরকম মেইকআপ টুলস ব্যবহার

ডা. গার্শিক বলেন, “সাধারণভাবে, যতক্ষণ না ক্ষত স্থানটি শুকিয়ে যায়, এটাকে সংক্রামক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এর ওপরে মেইকআপ ব্রাশ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলাই ভালো। এই কারণে ‘ডিসপোজেবল’ ব্রাশ বা কটনবাড ব্যবহার করা উচিৎ।”

খোঁচাবেন না

ডা গার্শিকের মতে, “ব্রণ খোঁচানোর মতো এটাও ক্ষতিকর। দাগ হওয়ার সম্ভাবনা কমানোর জন্য এগুলো না খোঁচানোই ভালো। ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার সুরক্ষার স্তর উন্নত করতে সহায়তা করে।” 

সানস্ক্রিন ব্যবহার

হাইপারপিগমেন্টেইশনের সম্ভাবনা কমাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। এটা ত্বককে সূর্য থেকে রক্ষা করে”, বলেন এই চিকিৎসক।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য তৈরি আর্দ্রতারক্ষাকারী হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার করা ভালো।

ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

যদি ঘন ঘন জ্বর-ঠোসা দেখা দেয় তবে ত্বক-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

রোগের তীব্রতা ও লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা নেওয়া এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হবে বলে জানান ডা. গার্শিক।

আরও পড়ুন

Also Read: বর্ষায় ঠোঁটের যত্ন

Also Read: কালচে ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

Also Read: শীতে পা ফাটা এড়াতে