তার কর্মমুখর জীবনের ওপর আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী।
Published : 28 Apr 2025, 12:15 AM
নানা আয়োজনে স্যার ফজলে হাসান আবেদের ৮৯তম জন্মদিন উদযাপন করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার সকালে ক্যাম্পাসের নারী ফুটবলারদের প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে আয়োজনের সূচনা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
‘সম্ভাবনা’ শিরোনামের এ ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি স্যার ফজলে হাসান আবেদের অঙ্গীকারকে শ্রদ্ধা জানায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।
এরপর তার কর্মমুখর জীবনের ওপর তিন দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। ‘স্বপ্নযাত্রা: অ্যা লাইফ অব ইমপ্যাক্ট’ শিরোনামে এ প্রদর্শনীতে ফজলে হাসানের জীবনের নানা উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশে ফিরে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য বিমোচনে মানুষের পাশে থাকাসহ তার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্বীকৃতি হিসেবে পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কারের দৃশ্যগুলো শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীদের জন্য সাজানো ছিল।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় স্যার ফজলেকে দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদর্শিত হয়। এই বছরের ২৫ মার্চ তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
এরপর বিকালে ‘আবেদ ভাই-ক্ষণজন্মা এক কীর্তিমান’ শিরোনামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মীরা তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের গল্পগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন।
এসময় তারা ফজলে হাসানের স্বপ্ন, ইচ্ছা ও সঙ্গীতের প্রতি তার প্রবল ভাবাবেগের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন, “স্থাপত্য ও সঙ্গীতের প্রতি স্যার ফজল হাসানের বিশেষ আগ্রহ ছিল। তিনি সবসময় মানবকল্যাণের জন্য উদ্ভাবনী উদ্যোগকে সমর্থন করতেন এবং তাতে সহায়তা করতেন।”
অনুষ্ঠানে নারী ফুটবল ম্যাচের চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন আবুল খায়ের লিটু, সামাজিক সংগঠন ‘ঋতু’-এর প্রতিষ্ঠাতা উম্মে শারমিন কবির, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ, ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অফিস অব কমিউনিকেশন্সের ডিরেক্টর খায়রুল বাশার।