শিশুর শুষ্ক ত্বকের যত্ন

বড়দের তুলনায় শিশুদের ত্বক পাতলা হয় আর তেল গ্রন্থি কম থাকায় সহজেই শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2023, 01:19 PM
Updated : 21 May 2023, 01:19 PM

শুষ্ক ত্বকে একজিমা, দীর্ঘ মেয়াদী প্রদাহ এবং এর ফলে লালচেভাব, চুলকানি, জ্বলুনি ও ক্ষত দেখা দিতে পারে।

এতে শিশু অস্বস্তি অনুভব করে। এই অস্বস্তি থেকে বাঁচাতে ত্বক সুস্থ ও আর্দ্র রাখা জরুরি।

টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘কিনু বেবি কেয়ার’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিকিতা কোহিল কাঠুরিয়া বলেন, “শুষ্ক ত্বক নানান কারণে দেখা দেয় যেমন- ঠাণ্ডা আবহাওয়া, কম আর্দ্রতা ও কড়া শিশু প্রসাধনী। অনেকক্ষেত্রে, শুষ্ক ত্বক একজিমা ও দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের সমস্যার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলে শিশুর ত্বকের শুষ্কতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।”

গোসল করানো: শিশুকে প্রতিদিন একবারের বেশি গোসল করানো যাবে না। আর গোসলের সময় সীমা হবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট।

গরম পানির পরিবর্তে শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। কড়া সাবান বা ফেনা দিয়ে গোসল না করিয়ে মৃদু, সুগন্ধি মুক্ত পরিষ্কারক দিয়ে গোসল করাতে হবে।

প্রোটিন, খনিজ ও গ্লিসারিন উপাদান সমৃদ্ধ বডি ওয়াশ শিশুর জন্য উপকারী। প্রাকৃতিক উপাদান যেমন- নারিকেল থেকে তৈরি করা হয় ‘টিয়ার ফ্রি’ শ্যাম্পু, এগুলো শিশুর জন্য উপকারী।

গোসলের পরে পাতলা তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে শিশুর শরীর মুছে নিতে হবে।  

ময়েশ্চারাইজিং: ময়েশ্চারাইজার বা লোশন গোসলের তিন মিনিটের মধ্যেই শিশুর গায়ে মেখে নিতে হবে। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

ঘন, সুগন্ধি মুক্ত যা প্রধানত শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের জন্যই তৈরি করা এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

কোনো তেল ব্যবহার করতে চাইলে তা যেন ‘টক্সিন’ মুক্ত হয় এবং ত্বকবিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষিত হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত।

ভেষজ উপাদান যেমন- জলপাই, নারিকেল ইত্যাদির তৈরি প্রসাধনী শিশুর কোমল ত্বকের জন্য উপকারী। সারাদিন শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখার ব্যবস্থা করতে হবে বিশেষ করে তার হাত ধোয়ার পরেও।

কাঠ-বাদাম, জোজোবা, শিয়া বাটার ইত্যাদি সমৃদ্ধ তেল ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র করে। ভিটামিন এ, ই, ডি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করা উপকারী। 

অন্যান্য বিষয়

  • শিশুর ত্বকে অস্বস্তি সৃষ্টি করে এমন কাপড় যেমন- উল বা সিনথেটিকের কাপড় না পরানো।

  • কড়া রাসায়নিক উপাদানের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মৃদু ডিটারজেন্ট দিয়ে শিশুর কাপড় ধুতে হবে।

  • ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনে ‘হি্উমিডিফায়ার’ ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • শিশুকে খুব বেশি কড়া তাপমাত্রা ও আবহাওয়ায় রাখা যাবেনা।

খাদ্যাভ্যাস

শিশুর খাদ্যাভ্যাসের ওপর তার ত্বক নির্ভরশীল। খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস রাখা উচিত। এগুলো ত্বক সুস্থ রাখে।

শুষ্ক ত্বক অস্বস্তি সৃষ্টি করে, বড়দের তুলনায় শিশুদের ক্ষেত্রে এর মাত্রা আরও বেশি। শিশুদের কোলে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তার ত্বকে কোনো টান বা ঘষা না লাগে।

সঠিক পরিচর্যা করলে শিশুর ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দূর করা সম্ভব।

আরও পড়ুন

Also Read: শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য জড়িয়ে ধরুন

Also Read: যেসব খাবার শিশুর ওপর বাজে প্রভাব ফেলে

Also Read: শিশুর অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার লক্ষণ