শুধু প্রসাধনী ব্যবহারে নয়, বাহুমূলে কালচেভাব স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেও হতে পারে।
Published : 08 Jun 2023, 03:00 PM
কালচে বাহুমূলের সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘হাইপারপিগ্মেন্টেইশন’ বলে। এটা অনেক সময় ডায়াবেটিসের লক্ষণ, শেইভিং অথবা ডিওডোরেন্টের কারণে হতে পারে।
ভারতীয় অ্যারোমা থেরাপিস্ট, ‘কস্মেটোলজিস্ট’ এবং ‘ইনাতুর’য়ের প্রতিষ্ঠাটা পূজা নাগ দেব ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “অতিরিক্ত ঘাম সরাসরি বাহুমূলে কালো দাগ সৃষ্টি না করলেও, এটা কালোদাগ সৃষ্টিকারী অন্যান্য অবস্থার পেছনে ভূমিকা রাখে।”
ঘষা লাগা ও জ্বলুনি: বাহুমূলের অংশে ঘষা লাগা, বিশেষত শেইভ করার পরে বা আঁটসাঁট সিন্থেটিকের পোশাক পরা ত্বকে জ্বলুনি সৃষ্টি করে এবং ধীরে ধীরে কালচে বর্ণের সৃষ্টি হয়।
ওজন বৃদ্ধি: স্থূলতা বা অন্যান্য হরমোনের জটিলতার কারণে ‘অ্যাকেন্থসিস নিগ্রিক্যান্স’ হতে পারে। এটা এমন একটা অবস্থা যা শরীরের ভাঁজ এবং দাগগুলোর মধ্যে কালচে রংয়ের সৃষ্টি হয় এবং ত্বক পুরু হয়ে যায়।
শেইভি: ঘন ঘন বাহুমূল শেইভ করা অস্বস্তি ও প্রদাহ বাড়ায়। ফলে ত্বক কালচে হয়ে যায়।
শেইভিংয়ের কারণে চুলের ফলিকল আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে ফলে বাহুমূল দেখতে কালচে লাগে।
হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার: ত্বক সংবেদনশীন হলে ‘হেয়ার রিমুভাল’ ক্রিমে থাকা উপাদান জ্বলুনি সৃষ্টি করে। ফলে পিগ্মেন্টেইশন ও বাহুমূলে কালো দাগ সৃষ্টি করে।
হাইপারপিগ্মেন্টেশন: ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদন হাইপার পিগ্মেন্টেইশন সৃষ্টি করে। ফলে দেখতে কালো দেখায়।
হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের আলোতে যাওয়া এবং ওষুধ গ্রহণ ‘হাইপারপিগমেন্টেইশন’য়ের জন্য দায়ী।
ডিওডোরেন্ট ও অ্যান্টিপার্সপারেন্ট ব্যবহার
অনেকেরই ডিওডোরেন্ট ও অ্যান্টিপার্সপারেন্ট বা ঘামরোধী প্রসাধনীতে থাকা উপকরণে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এতে দেখা দিতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
এর ফলে প্রদাহ এবং বাহুমূলে কালচে দাগ দেখা দেয়।
প্রদাহের পরে হাইপারপিগ্মেন্টেইশন: বাহুমূলের ত্বকে প্রদাহ বা ক্ষত যেমন- পোড়াভাব, ওয়াক্স করা বা রাসায়নিক উপাদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদির কারণেও কালচে হয়ে যেতে পারে।
ফাঙ্গাসের সংক্রমণ: কিছু ফাঙ্গাসের সংক্রমণ যেমন- ‘টিনিয়া ভার্সিকালার’ ত্বকে কালচে দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এর সংক্রমণ বাহুমূলেও হয়।
পূজা বলেন, “ব্যক্তিভেদে ভিন্ন কারণে বাহুমূল কালচে হতে পারে। তাই কারণ খুঁজে বের করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।”
কারণ খুঁজে বের করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমস্যা কমানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন
অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশনে ত্বকের ক্ষতি সারানোর পন্থা