নিজেকে সুন্দর রাখতে এবছর নানান পদ্ধতির আবির্ভাব ঘটেছে। এর মধ্যে কিছু নিরাপদ নয়।
আর সহজলভ্যতার কারণে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
নতুন বছর নতুন সূচনা। তাই ত্বকের যত্নেও আনা যেতে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন।
ঘরে পিলস প্যাড ব্যবহার
প্রথমত, ঘরে ‘পিলস’ করার ক্ষেত্রে ‘আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (এএইচএ’এস)’, ‘বেটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (বিএইচএ’স)’ ও রেটিনল ব্যবহার করা ভালো। এগুলো ত্বকের উপকার করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সৌন্দর্যবিদ সিন্থিয়া স্যাস বলেন রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ত্বকের সুরক্ষার জন্য নিরাপদ ও কার্যকর পিলিং প্যাড ব্যবহারে আমি বিশ্বাসী।”
তবে বর্তমানে ‘ফেনল’ বা কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহৃত হচ্ছে, এটা পিলিং’য়ের কাজ ভালো করলেও কিছু ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রভাব রাখে।
ব্যাখা করে তিনি বলেন, “এই অ্যাসিডের ব্যবহারের ফলে অনেকের জ্বরঠোসা, অ্যালার্জি, এমনকি কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।”
জোর পূর্বক মাঝে সিঁথি করা
মাথার মাঝ বরাবর সিঁথি করার প্রচল আগেও ছিল। তবে এ বছর সেটা বেড়েছে। তবে জোর পূর্বক না করাই ভালো।
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘দ্যা ক্যারিজ হাউজ’য়ের চুল সজ্জাকর ধিরেন মিস্ট্রি বলেন, “স্বাভাবিকভাবে চুলে মাঝখানে সিঁথি না হলে জোর করে করার প্রয়োজন নেই। আর চেহারার সঙ্গে মানানসই না হলে জোর করে সিঁথি পরিবর্তন করলে দেখতেও ভালো লাগে না।”
ঘরে ‘মাইক্রোনিডলিং’ করা
লস অ্যাঞ্জেলেসের নিবন্ধিত ত্বক বিশেষজ্ঞ জেমস ওয়াং বলেন, “ডার্মা রোলারগুলো ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ এগুলো ত্বকে ক্ষুদ্র ক্ষতের সৃষ্টি করে।”
তিনি আরও বলেন, “মাথার ত্বক ও মুখে ছোট গর্ত সংক্রমণের সৃষ্টি করে। বিশেষত একই সূঁচ যদি একাধিকবার ব্যবহার করা হয়।”
দক্ষ চিকিৎসকের কাছে ‘মাইক্রোনিডলিং’ করা বেশি কার্যকর। এতে মোটর চালিত সূঁচ ব্যবহার করা হয়। পেশাদাররা সূঁচের বাড়তি ঘনত্ব, স্যানিটাইজড ও উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমিয়ে কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে।
আইব্রো ব্লিচ করা
জনপ্রিয় অনেক তারকাই ভ্রুতে ব্লিচ করে থাকেন। কিন্তু এটা করা ঠিক নয়।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সৌন্দর্যবিদ কিলা বালজিং’য়ের মতে, ভ্রুতে ব্লিচ করা ক্ষতিকর। এতে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও স্থায়ী ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ভ্রু পড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন