যে কোনো প্রকার তেল ব্যবহার থেকে হতে পারে ব্রণের সমস্যা।
Published : 24 Sep 2021, 04:56 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ করে জনপ্রিয়তা পাওয়া যে কোনো প্রসাধনীর প্রতি চোখ বুজেই সবাই ঝুঁকে পড়েন। এমন হুজুক হতে পারে ত্বকের ক্ষতির কারণ, বিশেষত ব্রণ প্রবণ ত্বকে।
‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক’য়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এলিস লাভ ব্রণ প্রবণ ত্বকে তেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন।
ত্বকের নিঃসৃত বাড়তি সিবাম ব্রণের প্রবণতা বাড়ায়। হরমোনের কারণে ত্বকে বাড়তি সিবাম নিঃসৃত হয়। সঙ্গে বাইরের ময়লা, জীবাণু বা মৃত কোষ যুক্ত হয়ে ব্রণের মাত্রা বাড়ায়।
লোমকূপ আবন্ধ করে ফেলে এমন প্রসাধনী ‘কমেডোজেনিক’ নামে পরিচিত। ‘ফেইশল অয়েল’ লোমকূপ আবদ্ধ করে দিয়ে ‘ব্রেক আউট’ বাড়ায় বলে জানান ডা. লাভ।
তার মতে, “ব্রণ প্রবণ ত্বকে তেল ব্যবহার আগুনে জ্বালানি দেওয়ার স্বরূপ।”
কিছু তেল যেমন- সূর্যমুখী, খনিজ ইত্যাদি লোমকূপে আবদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং অ্যাভোকাডো ও গাজরের বীজের তেল বেশি ‘কমেডোজেনিক’ হয়ে থাকে।
ডা লাভ বলেন, “ব্রণ প্রবণ ত্বকে এই সকল তেল ব্যবহার করা বাড়তি সমস্যার সৃষ্টি করে।”
তাই তৈলাক্ত ত্বক আর্দ্র রাখতে তেল ব্যবহার না করে ‘হাইয়ালুরনিক অ্যাসিড’ সমৃদ্ধ সেরাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
ডা লাভের মতে, “তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করতে প্রথম ধাপে তৈলাক্ত পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। ‘ক্লিঞ্জিং অয়েল’ ত্বকের বাড়তি তেল দূর করে। যেহেতু তা পরে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। তাই লোমকূপ বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।”
ক্লিনজিং তেল ব্যবহারের পরে বাড়তি অংশ ধুতে ‘ফোমিং ক্লিনজার’ পরিষ্কারক ব্যবহারের পরামর্শ দেন, তিনি।
আরও পড়ুন