যে কোনো বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে কিছুক্ষণ পর চোখে অস্বস্তি হতে পারে।
Published : 05 Feb 2024, 05:01 PM
বেশি সময় ধরে কম্পিটারে কাজ করলে বা বৈদ্যুতিক পর্দা আছে এমন কোনো যন্ত্রের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখে শুষ্কভাব ও চুলকানি দেখা দেয়।
এছাড়া দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার পাশাপাশি হতে পারে মাথাব্যথা।
বিশেষজ্ঞরা এই অস্বস্তিকে বলছেন ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেইন’, বা বৈদ্যুতিক পর্দাযুক্ত যন্ত্র ব্যবহারে চোখে টানটান ভাব দেখা দেওয়া। আর এটা হওয়ার একমাত্রা কারণ হল ‘ড্রাই আই’ বা চোখের শুষ্কতা।
যে কারণে চোখে শুষ্কভাব দেখা দেয়
কম্পিউটারে কাজ করা বা টেলিভিশন ও মোবাইলে কোনো কিছু দেখার সময় মানুষ চোখের পলক কম ফেলে।
‘রিভিউ অফ অফথালমলজি’তে প্রকাশিত গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কম বলতে প্রায় ৬০ শতাংশ কম পলক ফেলে কম্পিউটারে কাজ করার সময় মানুষ। যে কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে যায।
পলক ফেলার পরিমাণ কমার ফলে চোখ বেশি মাত্রায় বাইরের পৃথিবীর সংস্পর্শে থাকে। আর সেরে ওটার সময় কম পায়।
যখন পলক ফেলা হয় তখন অশ্রু সারা চোখে ছড়িয়ে যায়। বলা যায় চোখের পানিতে গোসল করে চোখ। যা চোখ দুটোকে আর্দ্র রাখে। আর্দ্রতা চোখের সুরক্ষার স্তর হিসেবে কাজ করে। .
যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম পলক ফেলা হয় তখন চোখ আর্দ্র হওয়ার এই চক্রে বাধা পড়ে। ফলে দেখা দেয় চোখ শুকানোর সমস্যা।
প্রতিরোধের উপায়
এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ২০-২০-২০ নিয়ম পালন করতে পরামর্শ দেন। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর বিরতি নিয়ে, ২০ ফিট দূরের কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে।
এছাড়া আরও কিছু কৌশলের কথা জানায় ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ অফথালমলজি’
স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো থেকে রক্ষা পেতে ‘ফিল্টার’ ব্যবহার করা।
যে ঘরে কাজ করা হয় সেখানের আর্দ্রতা বাড়াতে ‘হিউমিডিফায়ার’ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কম্পিউটার স্ক্রিনের কন্ট্রাস্ট বাড়ানো।
মনিটর সঠিকভাবে দৃষ্টি বরাবর রাখা।
যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তাদের চোখ শুকানোর সমস্যায় বেশি ভুগতে পারেন। তাই কম্পিউটারে কাজ করার সময় আলাদা চশমা ব্যবহার করা বেশি ভালো।
আরও পড়ুন