শীতের ঠাণ্ডা কাশি থেকে দূরে থাকতে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হয়।
Published : 10 Dec 2024, 04:50 PM
কোষের সুরক্ষা, অসুখে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করা থেকে শুরু করে নানান উপকারে লাগে সবজির পুষ্টি উপাদান।
তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শুধু একটা সবজির কথা যদি বলা হলে প্রথমেই আসবে লাল ক্যাপ্সিকাম’য়ের নাম। যা রেড বেল পেপার হিসেবেও পরিচিত।
এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান-ভিত্তিক পুষ্টিবিদ ক্রিস্টেন লরেঞ্জ বলেন, “ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। লাল ক্যাপ্সিকামে রয়েছে এই ভিটামিন। এমনকি কমলার চাইতেও বেশি পরিমাণে থাকে।”
এক ধরনের শ্বেত রক্ত কণিকা ‘নিউট্রোফিলস’য়ের কার্যকারিতা বাড়ায় ভিটামিন সি, যা দেহে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে শক্তি যোগায়। এছাড়া এই ভিটামিন কোলাজেনের গঠন উন্নত করে। ফলে ত্বক উন্নত হয় আর অকালে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা কমে।
লাল ক্যাপ্সিকাম বেটা-ক্যারোটিন’য়ের উৎকৃষ্ট উৎস, যা ভিটামিন এ’র পূর্বরূপ। রোগ প্রতিরোধ শক্তির গুরুত্বপূর্ণ দুই কোষ ‘টি সেল’ এবং ‘বি সেল’য়ের কার্যকারিতায় এই ভিটামিন কাজে লাগে।
এছাড়া অ্যান্টিবডিস তৈরি রোগ প্রতিরোধ শক্তির কোষ উদ্দিপ্ত করতে ভূমিকা রাখে।
আরও আছে ভিটামিন ই, ফোলেইট, অল্প পরিমাণে জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম।
লরেঞ্জ বলেন, “ভিটামিন ই একটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি’র সাথে মিলে কাজ করে। ফোলেইট ডিএনএ সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে, রোগ প্রতিরোধ কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম খনিজগুলো রোগ প্রতিরোধ শক্তি সাড়া দেওয়ার সময় দ্রুত করতে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি ক্ষত সারাতে ও প্রদাহ কমায়।”
তাহলে সবুজ, হলুদ এবং কমলা ক্যাপ্সিকাম কতটা উপকরী?
“এই ক্যাপ্সিকামগুলো তো আর ভীনগ্রহ থেকে আসনি। এগুলো হল ক্যাপ্সিকাম’য়ের পরিপক্ক হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়”- বলেন লরেঞ্জ।
তাই বলা যায়, লাল ক্যাপ্সিকাম হল পূর্ণ পরিপক্ক অবস্থা। আর বাকিগুলো রং অনুসারে কাঁচা বা অল্প পাকা।
এই পুষ্টিবিদ বলেন, “পাকার প্রক্রিয়ার ধাপ অনুসারে ভিটামিন সি এবং বেটা-ক্যারোটিন’য়ের মাত্রা বাড়ে। তাই অন্যগুলোর চাইতে পরিপূর্ণ পাকা লাল ক্যাপ্সিকাম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।”
খাওয়ার পন্থা
লরেঞ্জ বলেন, “অন্যান্যগুলোর চাইতে লাল ক্যাপ্সিকাম স্বাদে মিষ্টি। এটা এমনিতেই খাওয়া যায়। বা সালাদে খাওয়া যেতে পারে।”
এছাড়া ‘স্টার-ফ্রাই’ বা অন্য কোনো সবজির সাথে অল্প ভেজে, সুপের সাথে, পিৎজ্জার মধ্যে দিয়ে, কিংবা ক্যাপ্সিকামের ভেতর পুর ভরে খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
বিভিন্ন ক্যাপ্সিকামের বিভিন্ন গুণ