রোদের চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর কিছু খাবার

বেশি আম খেলেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2023, 09:54 AM
Updated : 15 May 2023, 09:54 AM

আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ত্বক ভালো রাখতে সেদিকেই বেশি মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন। 

গরমকালে অধিকাংশ মানুষেরই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। যদিও হরমোন, বংশগতি-সহ নানান কারণে ব্রণ দেখা দিতে পারে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাস এই মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।   

গরমকালে রোদের তাপে যেমন ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। তেমনি কিছু খাবারও ঝামেলা করতে পারে।

আম

মধু মাসে আম ছাড়া ভাবাই যায় না। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত আম খাওয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

চেন্নাইয়ের ‘অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা হসপিটাল’য়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাষিণী মোহন হেলদিশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত বলেন, “অতিরিক্ত আম খাওয়া হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে ‘সিবাম’ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। এটা ত্বককে তৈলাক্ত করে লোমকূপ আটকে ফেলে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ ও ব্রেক আউট। এছাড়াও ব্রণ প্রবণ ত্বকের অধিকারীরা আমের মতো বাড়তি শর্করা-জাতীয় ফল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারেন।”

ভাজাপোড়া ও উচ্চ গ্লাইসেমিক যুক্ত খাবার

ডা. মোহন বলেন, “চিনি সমৃদ্ধ খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পরিশোষিত কার্বোহাইড্রেইট দ্রুত রক্তে শর্করারা মাত্রা বাড়ায়। ফলে ব্রণ দেখা দেয়। এটা ইন্সুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি দেহের ‘গ্রোথ ফ্যাক্টর-১’ যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।”

‘আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী- কম গ্লাইসেমিক খাবার হল তাজা সবজি, তাজা ফল, মটর ও ‘স্টিল কাট ওটস’।

চকলেট বা দুধের তৈরি খাবার

দুধ, বিশেষত ‘স্কিমড’ বা কম চর্বি সমৃদ্ধ দুধ ব্রণকে আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায়। কারণ এতে আছে উচ্চ শর্করা ও ছানার প্রোটিন।

একইভাবে গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চকলেট খাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। এতে চিনি থাকায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

ডা. মোহন ব্রণের সমস্যা কমাতে অ্যালকোহল, দুধের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাদ্যাভ্যাস

উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বিশেষত, প্রক্রিয়াজাত ‘কার্ব’ যেমন- সাদা রুটি, পাস্তা ও চিনি দেওয়া নাস্তা দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায়। ফলে দেহে ইন্সুলিন উৎপাদন বাড়ে (আইজিএফ ১)।

এটা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে ত্বক তৈলাক্ত করে ফেলে। আর ব্রণের সৃষ্টি করে।

ডা মোহন বলেন, “কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ খাবার সাধারণত উচ্চ প্রোটিন ও আঁশহীন হয়। এটা অতিরক্তি গ্লাইকেইশনের উৎপাদন কমিয়ে দেহ ও ত্বকের ওপর নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। ফলে বার্ধক্যের ছাপ দ্রুত পড়ে।”

কম আঁশবহুল খাবার

কম আঁশ বহুল খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয়- রক্তের শর্করা বাড়ায় এবং অন্ত্রের অণুজীবকে বিব্রত করে। ফলে প্রদাহ ও ব্রণ দেখা দেয়।

ডা মোহন বলেন, “উচ্চ আঁশ ধরনের খাবার যেমন- পাতাবহুল শাক, সবজি, ফল ও বাদাম হজমে উন্নত করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন