পাত্র থেকে তেলতেলে আঠালোভাব দূর করতে পারে ভিনিগার।
Published : 28 Jun 2023, 01:50 PM
কোরবানির ঈদে দিনের অধিকাংশ সময়ই ব্যয় হয় মাংস কাটা বাছা থেকে শুরু করে তা পরিষ্কার করার পেছনে।
কোরবানির জায়গা, মাংস কাটার স্থান এমনকি হাতের সুরক্ষার বিষয়ে সবাই সচেতন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মাংস রাখা হয় যে পাত্রে তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা অনেকাংশেই গুরুত্ব হারায়।
সাধারণত মাংস রাখার পাত্রে অনেক বেশি জমাট বাঁধা তেল থাকে ও কিছুটা আঠালো হয়। কেবল সাবান পানি দিয়ে এই চিটচিটেভাব দূর করা সম্ভব হয় না। প্রয়োজন বাড়তি পরিশ্রমের।
বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ও এন্টারপ্রেনারশিপ’ বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা কোরবানির সময় মাংসের পাত্র পরিষ্কার রাখায় বিষয়ে তিনি বলেন, “কোরবানির সময় আশপাশ ও নিজেদেরকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। তবে অনেকক্ষেত্রেই অবহেলিত থাকে মাংস রাখার পাত্র।”
“কাজ শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সকল পাত্র পরিষ্কার করা উচিত। এতে পাত্র যেমন পরিষ্কার থাকে, দুর্গন্ধ ছড়ায় না তেমনি জীবাণুর সংক্রমণও হ্রাস পায়।”
মাংস রাখার পাত্র পরিষ্কারের কয়েকটি উপায়
কাঁচা মাংস রাখার পাত্র পরিষ্কার করতে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সাবান গোলা পানি দিয়ে মেজে নিতে হবে। প্রয়োজনে আবার সাবান পানির ব্যবহার করতে হবে।
প্রথমে পুরানো খবরের কাগজের সাহায্যে আলগা তেল চর্বি মুছে নিতে হবে। এরপর গরম পানিতে সাবান বা ডিশওয়াশার গুলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ভালো মতো মেজে নিতে হবে। এটা একটা কার্যকর উপায়।
হাঁড়ির তেল চর্বি কাটাতে সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হল ছাইয়ের ব্যবহার। প্রথমে হাঁড়ির আলগা তেল চর্বি মুছে নিতে হবে। এরপর ছাই ও স্ক্রাবারের সাহায্যে পাত্রটি মেজে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। তারপর গরম পানি দিয়ে পাত্রটি ধুয়ে নিতে হবে।
তেল চর্বি কাটাতে ভিনিগার খুব ভালো কাজ করে। এটা পাত্র পরিষ্কারের পাশাপাশি দুর্গন্ধ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দূর করতে পারে। গরম পানিতে ভিনিগার গুলে তা পাত্রে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর ডিশ ওয়াশের সাহায্যে তা ধুয়ে নিতে হবে।
মাংস রান্না করার পাত্র পরিষ্কার করতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। যা দ্রুত তেল মসলা ওঠাতে পাত্রের গন্ধ দূর করতে পারে।
সহজ এই কৌশলগুলো কম বেশি সবারই পরিচিত। তবে কাজ ও সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে তা অনুসরণ করা হয়ে ওঠে না।
মাংস কাটা শুরু করার সময় অথবা পাত্র ধোয়ার আগে গরম পানি, ভিনিগার, ছাই, খবরের কাগজ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যোগাড় করে রাখলে চটজলদি পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করা যায়।
তা না হলে কাজের সময় প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ও কিছুটা আলসেমির কারণে পাত্রগুলো ধোয়ার পরেও অপরিচ্ছন্ন থাকে, দুর্গন্ধ ও তেলতেলেভাব স্থায়ী হয় এবং ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন
কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটায় সতর্কতা