কোরবানির ঈদ মানেই মাংস কাটা বাছা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকা। বলা যায় এই ঈদে কাজের চাপ অনেকটাই বেশি।
রান্নার পাশাপাশি ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ও গন্ধ দূর করা নিয়ে করতে হয় নানান কসরত।
রক্তের দাগ ও গন্ধ দূর করার উপায় সম্পর্কে কথা বলেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ও এন্টারপ্রেনরশিপ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শারমিন সুলতানা।
“কোরবানির ঈদের মাংস ও রক্তের গন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব এটা দূর করা যায়। খুবই সাধারণ কিছু উপাদান আর পদ্ধতি অনুসরণ করেই এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।”
তিনি এই ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন।
* ঘরে যেন রক্তের দাগ না লাগে তাই মাংস কাটার জায়গায় আগে থেকেই প্লাস্টিক বিছিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
* তারপরও যদি রক্ত বা তেলের দাগ লাগে তাহলে হাতের কাজ শেষ করে ওই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
* যে কোনো পরিষ্কারক দিয়ে মেঝে, দেওয়াল পরিষ্কার করে নিতে হবে।
* এরপর হালকা গরম পানিতে ঘন করে লেবুর রস গুলে তা দিয়ে মেঝে মুছে ফেললে স্থানটির তেলতেলে ভাব কমে আসবে।
* চাইলে পানিতে ভিনিগার গুলে তা দিয়ে মুছে নিতে পারেন, ভিনিগারের কড়া ঘ্রাণে মাংসের বোটকা গন্ধ দূর হয়ে যায়।
* জীবাণু মুক্ত করতে স্যাভলন বা ডেটল অথবা ফিনাইল দিয়ে একদুবার মোছা ভালো।
* যারা জীবাণুনাশকের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। তারা স্থানটি শুকানোর পরে যে কোনো ধরনের এয়ার ফ্রেশনার বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
ঘর থেকে দুর্গন্ধ সরাতে এই পদ্ধতিগুলো বেশ কার্যকর।
ঘরের পাশাপাশি নিজের হাতের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
হাত থেকে মাংসের গন্ধ সরানোর প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, “লেবু এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। কাজ শেষে হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে লেবুগুলে তাতে হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলেই গন্ধ চলে যায়।”
এছাড়াও যে কোনো সুগন্ধি তেল ও লবণ হাতে ঘষে বা ভিনিগার-পানির মিশ্রণে হাত ভিজিয়ে রেখেও হাতের দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
যে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হোক না কেনো অবশ্যই এরপর হাতে সামান্য ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। লেবুতে সিট্রিক অ্যাসিড থাকায় ত্বক অনেকটা খসখসে হয়ে আসে। তাই তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।