শিশু কি সকল কাজের জন্য পুরস্কারের দাবিদার?

চিড়িয়াখানা বা সিনেমায় যাওয়ার বদলে শিশুকে জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া, আদর করা, প্রশংসা করা ইত্যাদিকে পুরস্কার হিসেবে বেছে নেওয়া যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 05:42 AM
Updated : 5 June 2023, 05:42 AM

শিশুরা সকল কাজের জন্য পুরস্কারের দাবিদার নয়। ইতিবাচক ব্যবহারের জন্য ইতিবাচক পুরস্কার এবং নেতিবাচক ব্যবহারের জন্য সঠিক পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন।

টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘বাচপান প্লে স্কুলস অ্যান্ড মাস্ট অ্যান্ড মোর ডায়গনস্টিক সেন্টার’য়ের প্রতিষ্ঠা অজয় গুপ্তা বলেন, “অভিভাবক হিসেবে সন্তানের ‘সেলফ ইস্টিম’ ও পরিচিতির ওপর প্রভাব রাখতে পারেন। শিশুকে পুরস্কৃত পরার পদ্ধতির তার সার্বিক বিকাশে ভূমিকা রাখে।”

সঠিক পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে শিশুর ভালো অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। এটা শিশুকে তার কাজের ভালো-মন্দ বুঝতে সহায়তা করবে। সে আরও ভালো কাজের দিকে ধাবিত হবে।

সঠিক পুরস্কার ব্যবস্থাপনা

পুরস্কার সবসময় বস্তুভিত্তিক হতে হবে এমন নয়। চিড়িয়াখানা বা সিনেমায় যাওয়ার বদলে শিশুকে জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া, আদর করা, প্রশংসা করা ইত্যাদিকে পুরস্কার হিসেবে বেছে নেওয়া যায়। এতে শিশু খুশিও হবে।

পুরস্কার শিশুর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করে

শিশু ভালো শব্দ শুনলে বা আদর পেলে অভিভাবকের সাথে বন্ধন জোরালো হয়। বাবা মায়ের কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়া সন্তানের জন্য অনেক বড় কিছু।

শিশু পুরস্কার পাওয়ার মতো কাজ করলে তখনই তাকে পুরস্কৃত করতে হবে

গুপ্তা পরামর্শ দেন, “শিশুর সহক আচরণই পুরস্কারের দাবি রাখে না। তাই তাকে ভালো মন্দের ফারাক বোঝাতে হবে। সম্ভাব্য ভালো সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবে বোঝাতে হবে এবং পুরস্কার নির্বিশেষে ভালো আচরণে উৎসাহিত করতে হবে।”

প্রয়োজনে সতর্ক করা

শিশুকে বোঝানোর পরেও যদি সঠিক আচরণ করতে না চায় তাহলে শাষণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া যাবে না। অবাধ্য হলে তাকে কীভাবে শাসন করা হবে সে বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করতে হবে। আর অবশ্যই সে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এর কোনো মূল্য থাকবে না।

উপদেশ এবং প্রতিক্রিয়াও পুরস্কার

গুপ্তা বলেন, “উপদেশ ও সঠিক পদক্ষেপও এক ধরনের পুরস্কার। কারণ এটা শিশুর নেতিবাচক আচরণের বিকাশকে থামায় এবং একই আচরণের পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।”

মনে রাখতে হবে, আপনার মনোযোগ বরাবরই শিশুর জন্য ইতিবাচক।

সন্তানের নাতিবাচক আচরণে মাঝে মধ্য সাড়া না দেওয়া বা প্রতিক্রিয়া না দেখানো ভালো। কারণ শিশুর কাজের বিপরীতে রাগ প্রদর্শন করা বা উচ্চবাচ্য করা শিশুকে অনেক সময় আরও বেশি অবাধ্য করে তোলে।

সন্তানকে উপেক্ষা করা মানে অবহেলা নয়

পুরস্কার প্রদান যেমন সন্তানের ‘সেলফ ইস্টিম’ বা আত্মসম্মান বাড়ায় তেমনি শিশুর চিৎকার, কান্নার প্রতি মনোযোগ দেওয়া ইতিবাচক প্রভাব রাখে।

শিশুকে সংশোধনের জন্য উপেক্ষা করা মানে তাকে অবহেলা করা নয় বরং তাকে সঠিক পথ দেখানো।

বাড়াবাড়ি ঠিক নয়

গপ্তা বলেন, “কোনো কিছুই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। শিশুকে খুব বেশি প্রশংসা করা বা খুব বেশি পুরস্কৃত করা, খুব বেশি উপেক্ষা করা, খুব বেশি সতর্ক করা কোনোটাই ঠিক নয়। কোনো কিছুর বাড়াবাড়িই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না।”

আরও পড়ুন

Also Read: শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য জড়িয়ে ধরুন

Also Read: যেসব খাবার শিশুর ওপর বাজে প্রভাব ফেলে

Also Read: সন্তানের দেখভাল করতে গিয়ে ‍ভুল করছেন না তো?