কখন পরীক্ষা করানো জরুরি সেটা বোঝারও প্রয়োজন আছে।
Published : 03 Feb 2025, 01:38 PM
জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশির মতো সাধারণ অসুস্থতায় সাধারণত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার দরকার পড়ে না।
তবে সাধারণ ওষুধ খেয়েও এই ধরনের রোগ না সারলে, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষারও প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু সেটা বোঝার উপায় কী?
প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. লিয়ানা ওয়েন বলেন, “শ্বাসযন্ত্রের এরকম সংক্রামক ব্যধির জন্য তেমন কোনো পরীক্ষার দরকার হয় না। শত শত রকমের ভাইরাস থেকে সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা হতে পারে।”
“তবে যারা কোভিড-১৯ বা ইনফ্লুয়েঞ্জা’র জন্য অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে। এসব রোগীরা এই দুই ধরনের ভাইরাস থেকে মারাত্মক অসুস্থতায় পড়তে পারেন। এছাড়া যাদের অন্যান্য অসুস্থতা আছে এবং বয়সে বৃদ্ধ তাদের সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে”- পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যাবে এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ গ্রহণ করা সম্ভব হবে ততই সমস্যা দ্রুত দূর করা যাবে।
দ্বিতীয়ত, যারা খুবই অসুস্থ বোধ করবে তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসযন্ত্রের যে কোনো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা শুরু করা জরুরি।
স্বাভাবিক ভাবে স্বাস্থ্যকর একজন ব্যক্তির যদি প্রচণ্ড জ্বর, কাশি ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পরীক্ষা করিয়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরও যেসব কারণ গুরুত্বপূর্ণ
“কাশির সাথে জ্বর থাকলে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রামক রোগ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তবে সাথে পেটব্যথা ও বমি হওয়াটা অস্বাভাবিক। এছাড়া কাশির সাথে রক্ত পড়া বা বুকে ব্যথা বোধ- এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে”- বলেন ডা. ওয়েন।
তাছাড়া যাদের আগে থেকেই বিভিন্ন রোগ রয়েছে, তাদের সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশিতেও আগে-ভাগে চিকিৎসা শুরু করানো জরুরি।
অনেকের অ্যাজমা বা দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের সমস্যা (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) থাকে। ঠাণ্ডা-কাশিতে এদের অবস্থা বেশি খারাপ হয়। অনেকের নেবুলাইজার মেশিনের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
“তাই এই ধরনের মানুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বরের চিকিৎসা শুরুতে দেরি করা যাবে না”- মন্তব্য করেন এই চিকিৎসক।
সংক্রামক ব্যধি থেকে দূরে থাকার পন্থা
প্রথমমত হল সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়তে হবে। এতে ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।
এরমানে হল নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। না হলেও স্যানিটাইজার রাখতে হবে ব্যাগে। যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
যাদের জ্বর কাশি দেখা দিয়েছে তাদের অবশ্যই সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে হবে।
শীতকাল ও ঋতু পরিবর্তনের সময় শারীরিকভাবে দুর্বলদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরও পড়ুন