ভ্রমণের পর অসুস্থ হওয়ার কারণ

অসুস্থ হওয়ার ভয়ে বেড়াতে যাওয়ার উৎসাহে যেন না কমে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2019, 12:07 PM
Updated : 19 June 2019, 12:07 PM

বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে বেড়িয়ে আসার পর সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি রোগের উৎপাতের কারণে দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যাওয়ায় বিপত্তি দেখা দেয়। বেড়িয়ে আসার আনন্দটাও আফসোসে পরিণত হয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এমনটা হওয়ার কারণ এবং করণীয়।

সর্দি, জ্বর, পেটের গোলমাল, মাথাব্যথা ইত্যাদি ভ্রমণ পরবর্তী অসুস্থতার মধ্যে অন্যতম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রমণের পর মানসিকভাবে একজন মানুষ তার সাধারণ জীবনযাত্রায় ফিরে আসার জন্য তৈরি হয়ে গেলেও শরীর তৈরি হয় না।

প্রতিদিনকার পরিচিত জীবনযাত্রার বাইরে গিয়ে অসংখ্য নতুন জীবাণুর সংস্পর্শে আসে শরীর। তার সঙ্গে শারীরিক ধকল, নতুন ধরনের খাবার, ভিন্ন পরিবেশ ইত্যাদি সবকিছু মিলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।

ছুটির দিনের ভ্রমণ মানসিক প্রশান্তি দিলেও জীবাণুর জন্য তা সংক্রমণের আদর্শ সময়।

অনেকে আবার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তা উপভোগ করার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে বেড়াতে যাওয়াটা পুরোটাই বৃথা হয়ে যায়।

বেড়াতে যাওয়ার জন্য কোন মাধ্যম বেছে নিয়েছেন সেটাও শারীরিক সু্স্থতাকে প্রভাবিত করে। যারা বিমানে ভ্রমণ করেন বেশি তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম হওয়ায় নিশ্বাসের সঙ্গে নাকের রাস্তায় সংক্রমণ এবং গলায় অস্বস্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। শুষ্ক বাতাস নাকের জন্য মোটেই ভালো নয়।

ভ্রমণ আনন্দের হলেও তা আবার ক্লান্তিকরও। বিশ্রাম নেওয়ার উদ্দেশ্যে বেড়াতে যাওয়া হলেও যাতায়াতেই শরীরের উপর যায় স্বাভাবিকের চাইতে বেশি ধকল। ভ্রমণের আগে প্রস্তুতি পর্বেও ভালো পরিশ্রম হয়। সেই সঙ্গে যোগ হয় ঘুমের অভাব। কারণ বেড়াতে গিয়ে ঘুম বাদ দিয়ে নতুন জায়গাকে সর্বোচ্চ পরিমাণে উপভোগ করাই থাকে মুখ্য উদ্দেশ্য। এখানেই শুরু হয় মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, প্রচণ্ড অবসাদ। এরমধ্যে ফেরার পথে আবার লম্বা ভ্রমণ।

করণীয়

বেড়ানোর পর শরীরকে বিশ্রাম দিতে হবে। কারণ বেড়াতে গিয়ে আনন্দই করা হয়, বিশ্রাম নয়। এসময় শরীরকে সাধারণ জীবনের সঙ্গে আবারও মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। 

ছুটির শেষ দিন পর্যন্ত বেড়ানোর পরিকল্পনা না করে চেষ্টা করতে একদিন বিশ্রামের সুযোগ রাখা।

খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সববেলায় মাছ-মাংস ও ভারি খাবার না খেয়ে চেষ্টা করতে হবে সবজি ও ফলের উপর জোর দেওয়া।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ভ্রমণ থেকে ফিরে হালকা ব্যায়ামের চেষ্টা করতে পারেন। এভাবেই কাটাতে হবে ভ্রমণের ধকল।

আরও পড়ুন