পেট পরিষ্কার রাখতে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উপকারী।
Published : 13 May 2023, 08:56 PM
পেট পরিষ্কারের সমস্যা দেখা দিলে পর্যাপ্ত আঁশ, বড় এক গ্লাস পানি ও কিছুটা সৌভাগ্য যথেষ্ট।
উচ্চ আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্যা একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডাইটেটিক্স’ সুস্থ থাকতে পুরুষদের দৈনিক ৩৮ গ্রাম এবং নারীদের ২৫ গ্রাম আঁশ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
আঁশ কীভাবে পেট পরিষ্কার করে অন্ত্রকে সুস্থ রাখে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে ‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিকস টেকনিশিয়ান, রেজিস্টার্ড (এনডিটিআরএস)’ সারাহ গ্যারন।
আঁশ মলের ওজন বাড়ায়
স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞরা অনেক ক্ষেত্রেই মলের পরিমাণ বাড়াতে আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।
আঁশজাতীয় খাবার অন্ত্র দিয়ে যাওয়ার সময় নানান উপাদান যেমন- পানি ও বর্জ্য পদার্থ সঙ্গে নিয়ে বের হয়, এতে করে মল নিষ্কাশন প্রক্রিয়া সহজ হয়।
সকল আঁশকে একই মনে হলেও এটা আসলে এক নয়। আঁশ মূলত দুই প্রকার- দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের মতে, কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর করতে অদ্রবণীয় আঁশ উপকারী। যেহেতু এটা পানিতে দ্রবণীয় না, তাই সেটা মল নিষ্কাশনে উপকারী।
অদ্রবণীয় আঁশ পেতে ময়দা, সবুজ মটর, বেরি ও আলু খাওয়া যেতে পারে।
আঁশ আসলে পরিপাক অযোগ্য
বিষয় হল, আঁশ এক ধরনের কার্বোহাইড্রেইট। তাই চিনিসহ মিষ্টি খাবারের তালিকাতেও আঁশের উল্লেখ আছে। অন্যান্য ‘কার্ব’ হজম হলেও আঁশ অপরিপাকযোগ্য।
পরিপাক নালী অধিকাংশ শর্করা ও শ্বেতসার ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত করে শক্তি সরবারহ করে। তবে এই প্রক্রিয়াতে খাদ্যআশ ভাঙতে পারে না।
এই কারণেই আঁশ দেহে অপরিপাকযোগ্য থেকে পানির সঙ্গে মিশে বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে বের হয়ে যায়।
অন্ত্রের সুস্থ ব্যাক্টেরিয়ার জন্য খাবার
বৃহদান্ত্রে আঁশ পৌঁছে এখানকার উপকারী ব্যাক্টেরিয়া-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যকর অণুজীব বৃদ্ধি করে। অন্ত্রে থাকা ‘ডিসবায়োসিস’ ব্যাক্টেরিয়া দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ব্যাক্টেরিয়ায় সঠিক মিশ্রণ এই প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
তথাকথিত, প্রিবায়োটিক আঁশ এক ধরনের অন্ত্রের জীবাণু যা খাবারে পাওয়া যায়। প্রিবায়োটিক আঁশ-জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে মটর, পেঁয়াজ, রসুন, পালংশাক এবং ওটস।
মল নরম করে
আঁশজাতীয় খাবার মল নরম করে পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে দ্রবণীয় আঁশ উপকারী। আঁশ পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে জেল আকার ধারণ করে মল কোমলে সহায়তা করে।
খাবার থেকে পাওয়া দ্রবণীয় আঁশ যেমন- ওটস, বাদাম, বীজ ও ব্রকলি ইত্যাদি খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে উপকারী।
আরও পড়ুন