রাজধানীর বনানী কবরস্থানের সামনের রাস্তার নম্বর সাতাশ। আর এখানে মিতা পাতিয়েছে গরম-ঠাণ্ডা খাবার।
Published : 08 Mar 2015, 04:42 PM
ক্যাফেইন
দেখা যায় বাইরের রাস্তা থেকেই, এমনকি কফি মেশিনও পরিষ্কার বোঝা যায়। ভেতরে ঢুকলে কফির ঘ্রাণ নাকে লাগতে বাধ্য। আর কফির মজা তো এই মোহনীয় ঘ্রাণেই, তাই না!
ভেতরে ঢুকলে অবশ্য সিলিং থেকে ঝোলানো কফির কাপ-পিরিচ চোখে পড়বে, আর আরামদায়ক সোফাও চোখ এড়াবে বলে মনে হয় না।
সিলিংয়ের রং গাঢ় রংয়ের পাশে ইউরোপীয় ঘরানার সোফা বেশ এক ধরনের আবহ তৈরি করে। আর সামনের অংশের ফ্লোর কাঠের। পেছনে দুভাগে বসার ব্যবস্থা আছে চেয়ার টেবিলে।
যাই হোক, ফিরে যাওয়া যাক কফিতে। এখানে ব্যবহার করা হয় নর্থএন্ডের কফি বিনস, জানান এমএ বাশার যিনি এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক।
বনানীর কামাল আতাতুর্ক রোডের পাশের অঞ্চলে এটিই প্রথম কফি শপ বলেও দাবি করেন বাশার।
কফির পাশাপাশি এখানে স্যান্ডউইচ ও কিছু মিঠাই মিলবে, যার মধ্যে রয়েছে ব্রাউনি, ডোনাট ইত্যাদি।
খাবার প্রদর্শনের ক্যাবিনেটে কোনো সান্ডউইচ চোখে না পড়ার কারণ জানতে চাইলে বাশার বলেন, “আমাদের সব স্যান্ডউইচ বানানো হয় অর্ডার পাওয়া পর, তাই ডিসপ্লেতে কিছুই থাকেনা।”
ক্যাপ্পুচ্চিনো আসতেই চোখে পড়ল চিনি মেলানোর জন্য নেই কোনো চামচ, তার বদলে রয়েছে একটি কাঠের কাঠি। পশ্চিমা দেশে এই কাঠি কফির দোকানে বহুল ব্যবহৃত হলেও আমাদের দেশে এর চল খুব একটা নেই।
এই কাঠি কেন? জানতে চাইলে বাশার বলেন, “কিছু অতিথি বারবার ব্যবহৃত চামচ খুব সাস্থ্যসম্মত মনে করেন না। আর অনেকেই এই চামচের সঙ্গে কাপের বাড়ি লাগার শব্দে বিরক্ত হন।”
এখানে গান চলে এমন শব্দে যা কানে খুব একটা উৎকট লাগবে না। আর ভেতরের যে অংশে বসার ব্যবস্থা আছে সেটা নাকি ‘সাইলেন্ট’ জোন। কোনো শব্দই যাবেনা ওখানে।
বাশারের দাবি, তাদের জানামতে এটি ঢাকা শহরের সবচাইতে বড় গ্রাফিতি! আর এই ‘দেয়ালশিল্প’ দেখা যাবে কফি খেতে খেতেই।
এসপ্রেসো ১৩০, আমেরিকানো ১৫৫, ক্যাপ্পুচ্চিনো আর লাত্তে ১৮০ টাকা।
সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ড্রিম কোনজ
একই ঠিকানায় এই আইসক্রিমের দোকান। জানা গেল এটি একটি ইতালি-থাইল্যান্ড যৌথ উদ্যোগের ফ্রাঞ্চাইজি। প্রায় ৭০ ভাগ উপকরণ ইতালি থেকে এনে ওই প্রতিষ্ঠানের রেসিপি ও গাইডলাইন মেনে এখানেই তৈরি করা হয় আইসক্রিম। ইতালিতে জেলাতো বেশ একধরনের শিল্প হিসাবেই ‘সর্বজন’ স্বীকৃত।
প্রায় ২৫ রকমের ফ্লেইবারের আইসক্রিম মিলছে এখানে।
বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বেশ বড় আকারের একটি কিডজ কর্নার। অনেক বাচ্চা একসঙ্গে ব্যস্ত থাকতে পারবে এটা সহজে বলা যায়। শিশুদের ‘উপযোগী’ বেশ কিছু চেয়ার টেবিলও রয়েছে।
রাতেই নাকি বেশি ভিড় হয় বলে জানালেন এক কর্মচারি। আর এসময় নাকি পরিবার নিয়েই অতিথিরা বেশি আসেন।
বসার ব্যবস্থা ৩৭ জনের, ওয়াইফাই আছে।
প্রতি স্কুপ আইসক্রিম পড়বে ২২৫ টাকা আর কোণ ১৫০ টাকা। কোণ রয়েছে দুই ধরনের, ভ্যানিলা ও চকলেট।
এখানকার সবচাইতে জনপ্রিয় ফ্লেইবারগুলো নাকি বাটারস্কচ ওরিও, চকোলেট ও তিরামিসু।
খোলা থাকে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।