হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে

বড় হওয়ার পর নয় হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করতে হবে শিশুকাল থেকে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2019, 02:13 PM
Updated : 23 Sept 2019, 02:14 PM

গবেষণায় দেখা গেছে ছোটবেলা থেকেই উন্নত খাবারে অভ্যস্ত করা ও শারীরিক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়।

আর এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ব্রাজিলের ‘এবিসি মেডিকেল স্কুল’য়ের গবেষকদের করা একটি গবেষণায়।

“অ্যাথেরোসক্লেরোসিস- ধমনিতে ক্লগ বা চর্বি জমা- ছোটবেলা থেকেই শুরু হয়। আর অলস জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই চর্বি জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।” বললেন এই গবেষণার প্রধান ও ব্রাজিলের সাও পাওলো’তে অবস্থিত ‘এবিসি মেডিকেল স্কুল’য়ের অধ্যাপক ড. কারিন টার্কি।

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের অভ্যাসে সারাজীবন ধরে চললে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ছোটবেলা থেকেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে।”

হৃদসংক্রান্ত রোগকে বিশ্বের এক নম্বর খুনি হিসেবে চিহ্নিত করার কারণ হল এ জন্য প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ মারা যায়।

‘দি ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন’ (ডব্লিউএইচও)’র হিসাবে ১৯৯০ সালে বিশ্বে স্থূল শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ২০ লাখ। এই পরিমাণ ২০১৬ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখে।

আর প্রতিবছর অপার্যাপ্ত শারীরিক কর্মকাণ্ডের কারণে মারা যাচ্ছেন ৩২ লক্ষ মানুষ।

পোর্তো অ্যালিগেরিতে অবস্থিত ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেস অফ কার্ডিওলজি’তে এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয়। যেটার ফলাফলে ভিত্তি হিসেবে ৪৩৩জন ব্রাজিলিয়ান শিশুকে পর্যবেক্ষণ বিষয়টিও দেখানো হয়।

১৩ বছর বয়সিদের মধ্যে ৫১ শতাংশ ছিল ছেলে। এক সপ্তাহে তারা ৪০ থেকে ৬০ মিনিট ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্বল্প, মাঝারি এবং ভারী শারীরিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে। আর এক সপ্তাহে তাদের বসে থাকার পরিমাপ ছিল ৩৬০ মিনিট।   

টার্কি বলেন, “ডব্লিউএইচও’র বেঁধে দেওয়ার মাত্রার থেকে শারীরিক কর্মকাণ্ডের পরিমাণ ছিল কম, অর্থাৎ শিশুদের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৩০০ মিনিট।”

খাবারের ক্ষেত্রে ছিল ৫৩ শতাংশ পত্রল সবজি, ৬৯ শতাংশ ফল, ৯১ শতাংশ শর্করা যেমন- ভাত বা পাস্তা, ৭০ শতাংশ শুঁটি, ৭৯ শতাংশ মাংস, ৪২ শতাংশ কোমল পানীয়, ৩৯ শতাংশ চকলেট, ৩৯ শতাংশ পাউডার বেভারেজ মেশানো পানীয়, ৪২ শতাংশ সসেজ এবং ৪৯ শতাংশ ক্যান্ডি যার মধ্যে ছিল অন্যান্য মিষ্টি।

টার্কি বলেন, “অনেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার খায়, কারণ টাটকা খাবার রান্না করার চাইতে বাবা-মায়ের কাছে এই ধরনের তৈরি করা সহজ।”

তিনি আরও বলেন, “কম মাঝারি ও বেশি প্রক্রিয়াজাত এবং টাটকা খাবারের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস করতে শিখতে হবে শিশুদের। আর টাটকা ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।”

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন