বাবা-মায়ের আচরণ শিশুর স্থূলতার কারণ হতে পারে

সন্তানের মন ভোলাতে মজার নাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন? তবে সাবধাণ, এই ধরনের আদর শিশুর ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

লাইফস্টাইল ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2018, 11:22 AM
Updated : 22 March 2018, 11:22 AM

আর এই বিষয়ের ওপর করা পেনসালভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই স্থূলতা থেকে শিশু পরে ‘কার্ডিওমেটাবলিক’ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিন্থিয়া স্টিফার বলেন, “বিভিন্ন উপায়ে বাবা-মায়ের প্রভাব শিশুর ওপর পড়ে। যেমন- শিশুর কান্না থামাতে বাবা-মা জানেন তাকে খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে যখন অন্য কোনো উপায় কাজ করে না তখন তারা এই পন্থা কাজে লাগায়।”

গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশু অস্থির মেজাজের, তাদের মধ্যেই এই প্রভাব পড়ে। বেশি বাইরে যাওয়া, চঞ্চল, নতুন মানুষ এবং কিছু করা এসব বিষয়গুলো গবেষণায় চারিত্রিক বিশ্লেষণে আনা হয়।

শিশু খুব সহজেই একঘেয়ে হয়ে যায় কারণ তারা সবসময় নতুন কিছু করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

‘জার্নাল অফ ওবিসিটি’তে প্রকাশিত এই গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, কান্না থামাতে ও শান্ত করতে অভিভাবকরা সাধারণত খাবারই ব্যবহার করেন। কারণ এটি কার্যকর। তবে পুরষ্কার হিসেবে খাবার ব্যবহার করার ফলে শিশুদের বেশি খাওয়া হয়ে যায়, বিশেষ করে মেজাজী শিশুর ক্ষেত্রে। তাই পরে তাদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থেকে যায়।

স্টিফার বলেন, “অন্যান্য শিশুদের চাইতে মেজাজী শিশুদের মধ্যে পুরষ্কার পাওয়ার প্রবণতা বেশি। আর অতিরিক্ত প্রবণতা মস্তিষ্কের ডোপামিন অঞ্চলে বিরাজ করে।”

“তাই যখন পুরষ্কার হিসেবে খাবার দেওয়া হয় তখন মস্তিষ্কের ওই অঞ্চল দ্রুত ও তীব্রভাবে উজ্জীবিত হয়। তাদের মধ্যে তখন ভালো থাকার সঙ্গে খাবার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে খাবার খোঁজার প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।”

গবেষকরা ১৬০ জন মাকে তাদের সন্তানের বয়স যখন ছয় মাস ছিল তখন কতবার কান্না করে এবং তাদের শান্ত করার জন্য কী করা হয় সে বিষয়ে ডায়রিতে লিখে রাখতে বলা হয়।

তবে যেসব শিশু বেশি মেজাজী নয় তাদের শান্ত করতে খাবারের ব্যবহারে এই ধরনের প্রভাব দেখা যায়নি।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন