সন্তানের খাদ্যাভ্যাসে ত্রুটি বোঝার উপায়

খাদ্যভীতি, ওজন কমে যাওয়া কিংবা একেবারে বেশি খাবার খাওয়া- হতে পারে খাদ্যাভ্যাসে সমস্যার লক্ষণ।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2019, 09:15 AM
Updated : 6 Sept 2019, 09:15 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানানো হয়, ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সি নারী-পুরুষের মাঝেই এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

শারীরিক গড়ন নিয়ে শঙ্কা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজেকে তথাকথিত ‘সুন্দর’ হিসেবে উপস্থাপন করা ইত্যাদি নানান অস্বাস্থ্যকর কারণে মানুষ ‘ডায়েটিং’য়ের নামে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে নিজেদের বেঁধে রাখেন।

তবে সমস্যা একদিনে তৈরি হয়না। এর বীজ বোনা হয়ে যায় বয়ঃসন্ধিকালেই। তাই সেসময়েই তা চিহ্নিত করতে পারলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে।

খাওয়া নয়, রান্নায় আগ্রহ: রান্নার কাজে সন্তানের সাহায্য পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সৌভাগ্য মনে করেন। বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভর যুগে সন্তান মোবাইল ফেলে ঘরের কাজে সাহায্য করলে মায়ের চোখ খুশির অশ্রুও দেখা দিতে পারে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে আক্রান্ত সন্তানও কিন্তু খাওয়ায় আগ্রহ না থাকলেও খাবার তৈরির প্রক্রিয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। সন্তানের কাছে তখন রান্না হয়ে ওঠে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার একটি মাধ্যম। আশ্চর্যজনক মনে হলেও এই উপসর্গ তেমন দুর্লভ নয়।

ওজন হ্রাস বা থমকে থাকা: ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কে ধরা হয় বাড়ন্ত বয়স। এই সময়ে প্রতিটি ছেলে-মেয়ের স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি হওয়াটা জরুরি। তবে সন্তানের ওজন যদি কমতে থাকে কিংবা একই মাত্রায় থমকে থাকে তবে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পূর্বাভাস হতে পারে। সন্তানের অন্যান্য বিকাশ যদি স্বাভাবিক থাকে তবে ওজনের ব্যাপারে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।

পরিবারের সঙ্গে খেতে অনীহা: অবচেতন মনের চাহিদা হিসেবেও দেখা দিতে পারে খাদ্যাভ্যাসের সমস্যাগুলো। সেক্ষেত্রে মানুষ খাবারের ব্যাপারে অতিরিক্ত বাছ-বিচার শুরু করে। ফলে নির্দিষ্ট কিছু খাবার তারা একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেয়, যা তাদের বিবেচনায় অস্বাস্থ্যকর। আর এই ধরনের খাবার খেতে হতে পারে এমন পরিস্থিতি তারা এড়িয়ে চলে। পরিবারের সঙ্গে খেতে বসলে এত বেছে খাওয়া যাবেনা বলে হয়ত একা খেতে তারা বেশি ইচ্ছুক হয়। এমন অভ্যাস গড়ে উঠলে সতর্ক হতে হবে।

বিশেষ ধরনের বাছ-বিচার: শৈশব কিংবা কৈশর, দুই বয়সেই সবজির প্রতিটি অনীহা ছিল। তাই আপনার সন্তানও কিছু সবজি খেতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে যারা খাদ্যাভ্যাসজনীত সমস্যা ভুগছে তাদের বাছ-বিচারের ধরন ভিন্ন, তারা বাদ দিতে পারে একটি নির্দিষ্ট ধরনের সকল খাবার।

সস, আচার, মসলা ইত্যাদি তারা বেশি খেতে চায়। আবার খাবার একেবারের ছোট করে না কেটে দিলে তারা খেতে পারে না। এমন অস্বাভাবিক অভ্যাসে তারা আসক্ত হয়ে পড়ে।

এগুলো ‘অ্যানোরেক্সিয়া’ বা ক্ষুধাহীনতার উপসর্গ, যেখানে মানুষ তাদের ওজন ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ে মারাত্বক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণশীল হয়ে ওঠে।

ছবি: রয়টার্স

আরও পড়ুন-