লিখে ভাব প্রকাশ করা গেলেও, কণ্ঠের ওঠানামা বোঝানো যায় না। ফলে অন্যজনের কাছে অর্থ ভিন্ন হতে পারে। সেখান থেকে বাড়তে পারে ভুলের পরিমাণ।
এ ছাড়াও রয়েছে নানান বিপত্তি। সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।
শব্দ শোনা যায় না: অন্যজন ঠিক কীভাবে কথা বলছে তা বোঝা যায় না। কোনো রকম শব্দযন্ত্র ছাড়া সঙ্গীর প্রকৃত অনুভূতি বোঝা সম্ভবও না। যেভাবেই লেখা হোক না কেনো সেটা সঙ্গীর কাছে ভুলভাবেও উপস্থিত হতে পারে।
মুখভঙ্গি দেখা যায় না: সঙ্গীর মুখভঙ্গি দেখা যায় না বলে যে কোনো বিষয়ে ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে। মুখোমুখি হলে দেখা যেত তাকে কতটা চাপের মধ্যে রেখেছেন বা রাগান্বিত করেছেন। এতে ঝামেলা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকা যেত।
সমাধান পাওয়া যায় না: কারণ এখানে দুজনের কেউই অন্যজনকে দেখছেন না বা অবস্থা বুঝতে পারছেন না। আর নিজের সমস্যাকে যদি সামনে তুলে ধরতে ভয় পান বা এড়িয়ে যান তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা বেশ জটিল। যে কোনো কিছু এড়িয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়।
হতাশা ব্যাঞ্জক সময়: খুব রেগে সঙ্গীকে ‘মেসেজ’ দেওয়ার পর কোনো উত্তর না আসলে হতাশ লাগে বেশি। হতে পারে সঙ্গী কোনো কাজে ব্যস্ত আছে বা যে কোনো কারণে ঠিক মতো জবাব দিতে পারছে না। তবে সেটা না দেখতে পাওয়ার কারণে মনে হতে পারে ইচ্ছে করে উত্তর দিচ্ছে না। ফলে জেদের বশে আরও বাজে কথা লিখে ফেলতে পারেন।
মান ভাঙানো: ঝগড়ার পরের সবচেয়ে মধুর অংশ হল একে অপরকে বুঝতে পারা এবং নিজের ভুল স্বীকার করে সঙ্গীর মান ভাঙানো। ‘টেক্সট’য়ের মাধ্যমে এই কাজটা ঠিক মতো করা যায় না। এমনকি কোনো ‘ইমোজি’ বা ‘হার্ট সাইন’ দিয়েও সেই অনুভূতি প্রকাশ সম্ভব হয় না।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন