কাছের বন্ধু পাঁচের বেশি নয়

প্রিয় বন্ধুর সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে পারে আপনার মস্তিষ্ক। আর সেই সংখ্যাটা দশের নিচেই থাকে সবসময়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 09:28 AM
Updated : 14 Jan 2019, 09:28 AM

ফেইসবুকে বন্ধু তালিকা হাজার ছাড়িয়েছে। তবে যদি জিজ্ঞেস করা হয়- প্রতিদিন যাদের ফোন দিচ্ছেন, জীবনের কোনো গোপন কথা বলছেন, কোনো উপকার কিংবা ‘ইমোশনাল সাপোর্ট’য়ের জন্য রাত দুটায় টেক্সট করছেন- এরকম বন্ধুর সংখ্যা কয়জন? এক? তিন? আট?

সাধারণ মানুষের উত্তর হবে তিন থেকে পাঁচ।

কারণ গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের জীবনে পরিচিত বা বন্ধুর গণ্ডি যত বড়ই হোক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা এক থেকে পাঁচের মধ্যেই থাকে।

বৃটিশ নৃতত্ত্ববিদ ড. রবিন ডানবার এই বিষয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন।

সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার গবেষণার ভিত্তিতে জানানো হয়- ডারবান দেখতে পান যে, একজন মানুষ তার সারাজীবনে গড়ে ১৪৮ জনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।

মানুষের মস্তিষ্ক পরিচিত, আত্মিয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে মাত্র দেড়শ জনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের প্রক্রিয়াগুলো চালিয়ে যেতে পারে।

দেড়শ জনের গণ্ডির ভেতর ‘বন্ধুত্বের স্তর’ রয়েছে। এই বিষয়টা ডারবান ও তার দুই সহকর্মী গবেষণা চালিয়ে শনাক্ত করেন ২০১৬ সালে।

গবেষকরা মোবাইল ফোনের তথ্য এবং ‘কল’ করার মাত্রা পর্যালোচনা করেন। তারা দেখতে পান, যে স্তরে বন্ধুর সংখ্যা বাড়তে থাকে সেই স্তরের সম্পর্কের মধ্যে মানসিক গভীরতাও কমতে থাকে।

অন্যভাবে বলা যায়, ক্ষুদ্র পরিসরে থাকা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা হয় তিন থেকে পাঁচ জন।

পরের স্তর ছাপিয়ে হয় ১০ থেকে ১৫ জন। এর মধ্যে থাকে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ফর এভার’। তৃতীয় স্তরে যুক্ত হয় আরও ৩৫ জন, এরপর চূড়ান্ত স্তরে থাকে আরও ১০০ জন।

মজার বিষয় হল, অন্তর্মুখী কিংবা বহির্মুখী- দুই ধরনের মানুষের ক্ষেত্রে এই ‘বন্ধুত্বের স্তর’য়ের কোনো পার্থক্য হয় না। যদিও বহির্মুখী মানুষদের বেশি বন্ধু তৈরি করার ঝোঁক থাকে।

তাই আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা যদি হয় তিন থেকে পাঁচ তবে বুঝে নেবেন আপনি ঠিক পথেই আছেন।

ছবি সৌজন্যে: রঙ বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন