তবে মনে রাখতে হবে যখন-তখন ‘এক্স’য়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা মোটেই উচিত কাজ হবে না। কারণ অতীত তো অতীত-ই।
কোন কোন সময় প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা ম্যাসেজ পাঠানো একদমই অনুচিত কাজ হবে সেই বিষয়ে জানানো হল সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে।
প্রাক্তনকে মনে পড়ার সময়: বিচ্ছেদের পরের সময়টা মোটেও সুখকর নয়। পুরানো অনেক স্মৃতি বার বার কড়া নাড়ে মনের গভীরে। নিজের অজান্তেই মনোযোগ চলে যায় ফোনের দিকে কোনো ‘কল’ বা ‘টেক্সট’ এসেছে কিনা দেখতে! এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।
কর্মক্ষেত্রে খারাপ সময় কাটালে: কর্মক্ষেত্রে খারাপ সময় কাটালে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে অথবা বিষয়গুলো তাকে জানিয়ে হয়ত স্বস্তি পেতেন। কিন্তু এখন দুজনে আলাদা হয়ে গেছেন। তাই মনে রাখবেন এই পথটিও এখন আর আপনার জন্য নয়। তাই এই সময় প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিরত থাকুন।
সামাজিক যোগাযোগে সে কিছু ‘শেয়ার’ করলে: প্রাক্তন সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে কোনো ছবি, লেখা বা অন্য কিছু ‘শেয়ার’ করলে বা ‘চেক-ইন’ দিলে তাতে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে, সে আপনার ’প্রাক্তন’। কোনো সম্পর্ক শেষ করার আগে বা নতুন করে শুরু করার আগে নিজেদের সিদ্ধান্তের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরি।
একাকী অনুভব করলে: বিচ্ছেদের পরে ভীষণ একাকী অনুভব হতেই পারে। ভাঙা হৃদয়ের কষ্ট একদিনে কেউ ঠিক করতে পারেনা। এটা সত্যি যে, এমন সময় প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ করার লোভ কেউই সামলাতে পারেন না। এই সমস্যা থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়ার সমাধান একটাই। তা হল নিজেকে ভালোবাসা। এর মধ্য দিয়ে আপনি নিজে নিজের কাছে আরও নতুন ও ভালো হয়ে উঠবেন।
সিনেমা বা গান: কোনো সিনেমার দৃশ্য বা গানের লাইন হয়ত আপনার স্মৃতিকে নাড়া দিতে পারে। এমন সময় প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই যে আপনাদের সমস্যা মিটে যাবে তা নয়, সুতরাং অকারণে যোগাযোগ এড়িয়ে চলাই ভালো।
প্রাক্তন যখন অন্য কারোর সঙ্গী: এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রাক্তন যদি অন্য কারও সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্কে জড়ায়, তারমানে স্পষ্ট যে সে নতুন ভাবে বাঁচতে চায় এবং আপনার জীবনে আর ফিরতে চায় না। তাহলে কেনো আপনি অকারণে তার কথা ভাববেন বা তাকে বার বার নিজের উপস্থিতি জানান দেবেন!
ছবি: রয়টার্স।