বার্গার খাওয়ার পর যা হয়

মাঝেমধ্যে খেলেও শরীরের জন্য এই খাবার ক্ষতিকর।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2019, 08:46 AM
Updated : 20 July 2019, 08:46 AM

সবার জিভেই জল আনতে সক্ষম বার্গার। স্বাস্থ্যের জন্য এই খাবার খারাপ জেনেও মাঝেমধ্যে খেলে কিছু হয়না সেই অজুহাত তো আছেই।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বার্গার খাওয়া আসলে কেনো খারাপ।

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে প্রতিটি ‘জাঙ্কফুড’ ক্যালরি, চর্বি আর বাড়তি সোডিয়ামে ঠাঁসা। এগুলোর মাত্রা এতই বেশি যে কালেভদ্রে একবার খাওয়ারও রয়েছে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি।

সাধারণ একটি বার্গারের বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে প্রায় ৫০০ ক্যালরি, ২৫ গ্রাম চর্বি, ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইট, ১০ গ্রাম চিনি আর ১০০০ মি.লি.গ্রাম সোডিয়াম।

শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম উল্টোপাল্টা করে দিতে এই পরিমাণ যথেষ্ট।

এত গেলো রেস্তোরাঁর সাধারণ বার্গারের হিসেবে। রেস্তোরাঁগুলোতেই পাওয়া দুই কিংবা তিন প্যাটিওয়ালা বার্গার, বাড়তি চিজ, সস, মেয়োনেইজ। বার্গার তৈরির পরিচ্ছন্নতার কথা বাদই থাকলো।

এক কামড় বার্গার খাওয়ার ১৫ মিনিট পরেই শর্করার ধকল পড়বে শরীরে। এই ধাক্কা নিঃসরণ করাবে ‘ইনসুলিন’ যা কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার ক্ষুধা জাগাবে। এই প্রক্রিয়া ঘন ঘন ঘটতে থাকলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। একবারে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করলে কোষের উপর ‘অক্সিডেটিভ’ চাপ পড়ে।

‘স্যাচুরেইটেড’ চর্বিতে ভরপুর ভারি খাবার খাওয়া ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। এতে রক্ত সঞ্চাচন ব্যাহত হয় যা পরবর্তী সময়ে হৃদরোগের কারণ হতে পারে।

আবার অতিরিক্ত সোডিয়ামও রক্ত সঞ্চালনকারী শিরা ও ধমনীর ক্ষতি করে। তাই বার্গার বা অন্য যে কোনো ‘জাঙ্কফুড’ খাওয়ার আগে এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো ভেবে দেখা উচিত।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন