প্রক্রিয়াজাত খাবার: চিপস, ক্যান্ডি, জাঙ্কফুড ইত্যাদি সবকিছুই হজম করা দুঃসাধ্য। কারণ এই খাবারগুলো দীর্ঘসময় সতেজ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান যোগ করা হয়। এই রাসায়নিক উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তা অন্ত্রের আবরণে আটকে থাকতে পারে।
চিনিযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি। এমনকি ‘সুগার ফ্রি’ মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলোও পুরোপুরি শরীরে শোষণ হয় না। কৃত্রিম এই চিনিতে ক্যালরি না থাকলেও, স্বাস্থ্যের কোনো উপকারেই আসে না এগুলো।
দুগ্ধজাত খাবার: আশ্চর্যজনক হলেও কিছু মানুষ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পারেন না। কারণ ‘ল্যাকটোজ’ হজম করার জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তাদের শরীরে নেই। ‘ল্যাকটোজ’ হল একধরনের প্রাকৃতিক চিনি যা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে বিদ্যমান।
বীজজাতীয় খাবার: এই খাবারগুলো অনেকসময় পাকস্থলি থেকে হজম না হওয়া অবস্থাতেই বেরিয়ে যায়। এর কারণ হলো, বেশিরভাগ বীজেই থাকে ‘ফাইটিক অ্যাসিড’, যা অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান শরীরে শোষিত হতে বাধা সৃষ্টি করে। তাই বীজ কাঁচা বা সরাসরি না খেয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেতে হবে।
আঁশজাতীয় খাবার: দ্রবণীয় কিংবা অদ্রবণীয় আঁশ হজম করতে পারে না আমাদের শরীর। এতে কোনো ক্যালরি থাকে না এবং এথেকে আমরা কোনো কর্মশক্তিও পাই না। তারপরও আঁশ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এই হজম না হওয়া আঁশ একত্রিত হয়ে অন্ত্রের পেশিকে জোরদার করে যাতে তারা শরীরে থেকে মল বের করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পায়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন