দেয়ালে রং লেগে যাওয়ার ভয়ে কারও উৎসব যেন থেমে না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শগুলো জানানো হল ঘৃহসজ্জা-বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
‘স্টেইন-রেজিস্ট্যান্ট’ রং: দেয়ালে যে কোনো ধরনের দাগ পড়া থেকে দীর্ঘদিন চিন্তা মুক্ত থাকতে বুদ্ধিমানের কাজ হবে ‘স্টেইন-রেজিস্ট্যান্ট’ রং ব্যবহার করা। এই রং দেয়ালে থাকলে তাতে দাগ লাগলেই সহজেই ধুয়ে কিংবা মুছে ফেলা যায়।
যাদের বাসার ছোট শিশু দেয়ালে আঁকতে পছন্দ করে তাদের জন্য এই ‘স্টেইন-রেজিস্ট্যান্ট’ আবশ্যক। দেয়ালের রং হওয়া তেলভিত্তিক এবং মূল রংয়ের উপর ‘অ্যান্টি-স্টেইন বার্নিশ’য়ের আস্তর দিয়ে দিতে পারেন। এতে দেয়াল থাকবে আঁচড় ও দাগ মুক্ত।
দেয়াল পরিষ্কার: দেয়ালে ‘সিনথেটিক’ রং ব্যবহার করলে তা পরিষ্কারের সময় বেশি জোরে ঘষা চলবে না। অন্যথায় দেয়ালের আসল রং উঠে আসবে তবে স্থায়ীভাবে দাগ পড়ে যাবে। এক্ষেত্রে তোয়ালে পানিতে ভিজিয়ে আলতোভাবে দাগ পড়া স্থানটি মুছতে হবে যাতে দেয়ালের আসল রংয়ের ক্ষতি না হয়।
বাইরের দেয়াল: হোলি খেলায় রং ছিটানোর কারণে ঘরের বাইরের দেয়ালে এবং দেয়ালের বিভিন্ন ফাঁটলের ভেতরে রং চলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারে ‘ক্র্যাক-প্রুফ ইমালশন’। এতে ঘরের বাইরের দেয়াল ফাঁটলের হাত থেকে বাঁচবে। আর ফাটল না থাকলে তার ভেতরে রং যেতে পারবে না।
রংয়ের ছোপ ঢাকা: সাবধান থাকার পরও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বাজেভাবে রং লেগে যেতে পারে দেয়ালে যা কোনোভাবেই পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। আর নতুন করে পুরোটা রং করাও খরচের।
তাই দেয়ালের মূল রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন রং কিনে শুধু নষ্ট স্থানটি রং করে নিতে পারেন। ব্রাশের দাগ ঢাকতে মাঝখান থেকে রং করা শুরু করুন, আর বিভিন্ন দিকে ব্রাশ চালান। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে অভিজ্ঞ রং মিস্ত্রির সাহায্য নিন।
আরও পড়ুন