শিশুবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিখুঁত বাবা-মা শিশুকেও নিখুঁতভাবে তৈরি করে তোলার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকেন। অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কাজ করে; যা শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা দিয়ে বরং ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি করে থাকে।
যে কোনোভাবে জয়ী হওয়া: সবসময় শিশুর কানের কাছে যদি এটাই বলতে থাকেন যে, তোমাকে জয়ী হতেই হবে, তাহলে এখনই সাবধান হোন। এতে সে হয়ত কয়েকবার জয়ী হবে এবং ভাবতে শুরু করবে যে সে জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই জয়ী হবে। তবে কোনো কারণে যদি সে হেরে যায় তাহলে অনেক বেশি খারাপ প্রভাব রাখবে। তাই, যদি আপনার শিশু সবসময় জয়ী না হয় অথবা পরাজয় মেনে নিতে না পারে তাহলে এটা তার মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে জীবনের চড়াই উতরাইয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাবে।
আত্ম-সমালোচনা: নিখুঁত অভিভাবকদের আরেকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল আত্ম-সমালোচনা। তাদের সন্তান কখনও নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারবে না। বরং সে তার কাজে অনেক বেশি বিশ্লেষণাত্মক হবে। ফলে জীবনের সব ক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি নেমে আসবে।
আত্ম-নির্ভরশীলতা: সন্তান যদি বাবা-মা’র মনের ইচ্ছা পূরণে ব্যস্ত থাকে তাহলে সে আত্মনির্ভরশীলতা হারিয়ে ফেলবে। সন্তান যদি আত্মনির্ভরশীল না হয় তাহলে তাকে জীবনে অনেক কঠিন সময় কাটাতে হবে। তারা বিশ্বাস করবে যে তারা যা করছে তার কোনোটাই বাবা-মা’র জন্য যথেষ্ট নয়।
বিরুদ্ধাচারণ: ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর’য়ের এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, যেসব শিশুর বাবা-মা অনেক নিখুঁত তারা নানান উদ্বেগ ও মানসিক চাপে আক্রান্ত থাকে।
বাবা-মায়ের সকল কাজে নিখুঁত থাকার মনোভাব যদি সন্তানের উপরে পড়ে তাহলে চাইলেও সে তা এড়িয়ে যেতে পারবেনা। আর এই কারণেই সে সবসময় নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন