মহাখালির বিস্ত্রো ফ্যান্তাসতিকো

রাজধানীর মহাখালির মতো ব্যস্ত এলাকায় প্রাকৃতিক আবেশ ঘেরা একটা রেস্তোরাঁ যদি পেয়ে যান তো কেমন হয়?

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 09:56 AM
Updated : 17 April 2018, 08:44 AM

প্রশ্নের উত্তরটা উপলদ্ধি করা যাবে মহাখালির আমতলীতে অবস্থিত বিস্ত্রো ফ্যান্তাসতিকো রেস্তোরাঁতে। চার মালিকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চলতি বছরের মার্চ মাসে চালু হয়েছে। কথা হয় তাদের মধ্যকার একজন, সাঈদ তাজাম্মুল হকের সঙ্গে।

“প্রধান সড়ক থেকে ভেতরের দিকে হলেও আসলে পরিবেশের জন্যই এই জায়গাটা বেছে নিয়েছি। খাবার পরিবেশন করছি কন্টিনেন্টাল ধাঁচের। সঙ্গে ছোট পরিসরে সামুদ্রিক মাছও আছে। অফিসপাড়ার কফি প্রেমীদের জন্য আমদের কাছে আছে ইতালীয় কফি বিন ‘দানেসি’, বানানো হয় এক্সপ্রেসো মেশিনে, অভিজ্ঞ বারিস্তার হাতে।”
নিচতলায় রেস্তোরাঁ। ভেতরের ও বাইরের আকৃতি ইংরেজি ‘L’ অক্ষরের মতো। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে হাতের বামের পুরো দেয়াল জুড়ে আটকে আছে খাবার পরিবেশন ও রান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম, যার সবগুলোই ঢাকা সাদা রংয়ে। তবে সেগুলো ব্যবহারের জন্য নয়, শুধুই দেয়ালের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য। ডান পাশে আছে কাঠের চেয়ার টেবিল। ভেতরের ছিমছাম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বসার ব্যবস্থা আছে ২৪ জনের।

তবে খাবারের সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের স্বাদ পেতে চাইলে বাইরে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। লোহা আর প্লাইউডের তৈরি চেয়ার টেবিল, একপাশে গাছপালা, মূলত বাঁশ গাছ। এখানে বসার ব্যবস্থা আছে ২০ জনের। রাতের মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে আছে কয়েল।

খাবার সম্পর্কে তাজাম্মুল হক বলেন, “পিৎজা আর ডেজার্ট আইটেমগুলো ছাড়া বাকি সব খাবারই পরিবেশন করছি আমরা। সুপের মধ্যে সবচাইতে বেশি চলে থাই স্যুপ। সালাদের মধ্যে চিকেন সিজার সালাদ, অ্যাপিটাইজারে স্পাইসি ফিস ফিঙ্গার, স্টেকের মধ্যে রিব-আই স্টেক, পাস্তার মধ্যে ক্রিইমি চিকেন অ্যান্ড মাশরুম পাস্তা, বার্গারের মধ্যে ক্লাসিক বার্গার, স্যান্ডউইচের মধ্যে স্টেক স্যান্ডউইচ সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়।”
“প্রধান খাবারের মধ্যে ফ্যান্তাসতিকো গ্রিল্ড চিকেন, বিফ রুলেট আর মরোক্কান মাটন কারি বেশি বিক্রি হয়। সবগুলো খাবারই এক একটি সেটমেন্যুর মতো। কারণ এদের সঙ্গে আসবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, গার্লিক ব্রেড, ম্যাশড পটেটো, পটেটো ওয়েজেস, গ্রিল্ড ভেজিটেবল, রাইস এবং কোলসলো’র মধ্য থেকে যেকোনো দুটি ‘সাইডস’।”

রেস্তোরাঁ খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। অফিস পাড়ার রেস্তোরাঁ হওয়ায় দুপুরে এবং সন্ধ্যার পর একটু ভিড় হয়। ওয়াইফাই আছে।

আরও রেস্তোরাঁ