বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতfলকে হাতের বামে রেখে সামনে এগিয়ে হাতের ডানে গেলে উঠবেন আব্দুস সোবহান ঢালি রোডে। এই রোড ধরে এগিয়ে গেলে কয়েকটা গলি পরেই হাতের বামে মেট্রো কিচেন’য়ের গলি।
গলির একেবারে শেষ প্রান্তে গেলেই হাতের বামে চোখে পড়বে একটার উপর আরেকটা মালবাহী কন্টেইনার বসানো। প্রতিটি কন্টেইনার এক একটি রেস্তোরাঁ, আর সবগুলো রেস্তোরাঁর মিলিত নাম হল মেট্রো কিচেন।
মোট ৩৬টি রেস্তোরাঁ আছে মেট্রো কিচেনের আঙ্গিনায়, কন্টেইনার আছে মোট ৩৫টি। স্মোকি বোনস, এআরএস ফুড শপ, ইনবক্স, ফায়ার অ্যান্ড শেফ, হ্যান্ডমেইড, ইট স্ট্রিট, গ্র্যাভিটি, দ্য বিজার ক্যাফে, হিয়োকোলাতো, ঢিশ টিং, ক্যাফিনো, অ্যারাবসকিউ, কিচেনস গো লাইভ, পানশাল, লা বাঙলা কাবাব, ক্রেজি উইঙ্গস, ফ্লাভৌরি, র্যাপ অ্যান্ড রোল, ইয়েলো ফ্লেমস, ফুড গ্যারেজ, হ্যাভিট, বাঁধন’স হোম রেসিপি, ক্যাফে ফিফটি টু, লেটস মিট আপ, রাইস অ্যান্ড নুডুলস, দ্য কোর্টিয়ার, ওয়াইল্ড ওয়েস্ট পাই, গং চা, পিকিং কিচেন ইত্যাদি অন্যতম।
কিছু রেস্তোরাঁর ভেতরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বসার ব্যবস্থা রয়েছে। উপরে বসার জায়গাগুলোতে উপরে ছাউনি আছে। দোতলার একপাশে প্রজেক্টর বসিয়ে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতি শুক্রবার ও শনিবারে সংগীত পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সুব্যবস্থাও মিলবে এখানে। শিশুদের ‘কিডস জোন’ও আছে।
নামের মতো স্মোকি খাবারই মিলবে স্মোকি বোনস’য়ে। মুরগি, কোরাল, রূপচাঁদা, তেলাপিয়া, চিংড়ি, কাঁকড়ার বার-বি-কিউ পাবেন এখানে। আছে স্টেক, বার্গার ও বিভিন্ন সেট মেন্যু। তবে কোরাল মাছ আর চিকেন বিবিকিউ বার্গারই নাকি সবচাইতে জনপ্রিয়, জানালেন রাসেল আহমেদ।
কোরাল মাছের দাম আকারভেদে সাড়ে ৩শ’ থেকে ১১শ’ টাকা আর বার্গার ১২০ টাকা। নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পানশালা হল পানীয়র রেস্তোরাঁ। মিলবে ১০ থেকে ১২ ধরনের চা। সবচাইতে জনপ্রিয় মালাই চা, দাম মাত্র ১৫ টাকা। হাল সময়ের ফাস্টফুড মিলবে ক্যাফিনোতে, ছয় ধরনের বার্গার, সাব-স্যান্ডউইচ, শর্মা, কফি ইত্যাদি।
পিৎজা পাস্তা খেতে ঢুঁ মারতে পারেন প্লেটেড রেস্তোরাঁয়। সাদমান নাসিরের এই রেস্তোরাঁয় মিলছে পাঁচ ধরনের পাস্তা, ১০ ধরনের পিৎজা। পিৎজার মধ্যে ফিউশন সুপ্রিম (২৫০-৫৫০ টাকা), বিবিকিউ ফিয়েস্তা (২৫০-৫৩০ টাকা) এবং তন্দুরি পিৎজা (২৫০-৫৫০ টাকা)। পাস্তার মধ্যে ওভেন বেইকড চলে বেশি। দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
একসঙ্গে সাড়ে চারশ জন অতিথি বসার জায়গা আছে এখানে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো সম্ভব। ওয়াইফাই আছে কেন্দ্রীয়ভাবে, আছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাও।
বিশেষ উপলক্ষ্যের দিনগুলোতে লাইন ধরতে হতে পারে। অর্ডার করার পর খাবার আসতে রেস্তোরাঁ ভেদে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন