রেস্তোরাঁয় আপনাকে খাবার কে দিয়ে যায়? ওয়েইটার দিয়ে যায় কিংবা নিজেকে গিয়ে নিয়ে আসতে হয়। আর বাফেট হলে টে্বিলে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন পদের খাবার থেকে পছন্দমতো খাবার তুলে নেন। তবে একটা রোবট যদি খাবার দিয়ে যায় তাহলে কেমন হয়?
সেই অনুভূতিটাই উপভোগ করতে পারবেন মোহাম্মদপুরের রোবট রেস্তোরাঁয়।
আসাদগেট থেকে শ্যামলীর দিকে কিছুদুর এগোলেই চোখে পড়বে ফ্যামিলি ওয়ার্ল্ডের ভবন। সেটার দোতলায় এই রেস্তোরাঁ।
রেস্তোরাঁয় ম্যানেজার তানভীর তন্ময়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেস্তোরাঁটি যাত্রা শুরু করেছে ১৬ নভেম্বর থেকে। দুপুর ১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বসার ব্যবস্থা আছে ১০০ জনের, আছে ওয়াইফাই।
রোবট সম্পর্কে তানভীর তন্ময় বলেন, “আপাতত দুটি রোবট চালু থাকলেও ভবিষ্যতে আরও রোবট আনার পরিকল্পনা আছে আমাদের।”
“রোবটগুলো আনা হয়েছে চীন থেকে, নাম ‘ইয়ুইদং’, বাংলায় যার অনুবাদ চলমান আনন্দ। ১৬ জিবি মেমরির এই রোবটগুলো চলাফেরা করে দুটি পৃথক চৌম্বকীয় লাইনের উপর, এসময় রোবটের পিঠে বসানো ডিজিটাল পর্দায় বাজতে থাকে গান।”
“খাবার কোন টেবিলে নিয়ে যেতে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয় এই পর্দাতেই। চলমান রোবটের সামনে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে তাকে রোবট বলে ‘প্লিজ লেট মি পাস’। খাবার পৌঁছে দিয়ে রোবট বলবে, ‘প্লিজ টেক ইওর মিল, বন অ্যাপেটিট।’ এক টেবিলের খাবার অন্য টেবিলের ক্রেতা নিয়ে নিলে তাকে রোবট বলবে, ‘নট ইওর মিল’। এমন আরও অনেক ফিচারস আছে রোবটগুলোর, তবে ভিড়ের কারণে সবগুলো আমরা এখনও চালু করিনি।”
রেস্তোরাঁয় স্বপরিবারে খেতে আসা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে রোবট রেস্তোরাঁর খবর পাই। আর তাই ছুটির দিনে দুই ছেলেকে রোবট দেখাতে নিয়ে এসেছি।”
সাড়ে তিন বছরের ছেলে সৌধ আধো বোলেই জানায় রোবট দেখে সে অনেক মজা পেয়েছে। আর খাবার খেয়ে ৮ বছরের রোহানও বলে ভালো। সবমিলিয়ে মা-বাবার মনও ভালো।
চাইলে আপনিও একদিন রোবট দেখে আসতে পারেন। সঙ্গে পেটপূজা তো থাকলোই।
ছবি: প্রমানিক।
আরও রেস্তোরাঁ