কলাবাগানের এম ক্যাফে

না, এখানে বিক্রি হয় না কোনো কলা। তবে ছিমছাম পরিবেশে ফাস্টফুড ঘরানার খাবারের পাশাপাশি ইটালিয়ান ও মেক্সিকান খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে ঢুঁ দিতে পারেন এই রেস্তোরাঁয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2017, 08:16 AM
Updated : 8 Oct 2017, 04:32 AM

রাজধানীর কলাবাগান ডলফিনের গলি হাতের বামে রেখে সামনে এগোলেই চোখে পড়বে এই উদরপূর্তির জায়গাটি।

রেস্তোরাঁয় চার অংশীদারের মধ্যে একজন মির্জা ওয়াহিদ বলেন, “চলতি বছর জুনের ২০ তারিখে রেস্তোরাঁটি চালু করেছি আমরা। বসার ব্যবস্থা আছে মোট ৭০ জনের। সাধারণত সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খাবার পরিবেশন করি। তবে বিভিন্ন উৎসবের সময় রাত ১২টা পর্যন্তও রেস্তোরাঁ খোলা রেখেছি।”

রেস্তোরাঁয় বিপণন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাজরিয়া কায়েস বলেন, “৩২ নম্বর মেট্রো শপিং মল থেকে শুরু করে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল পর্যন্ত মিরপুর রোডর এই অংশটিতে ভালো কোনো ফাস্টফুডের রেস্তোরাঁ নেই বললেই চলে। এই এলাকার বাসিন্দা এবং নিয়মিত যাতায়াতকারীদের কথা চিন্তা করে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়েই রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু করি আমরা। ক্রেতাদের মধ্যে তরুণরই বেশি। লাইন ধরার মতো অবস্থা না হলেও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোটামুটি ভিড় থাকে।”

খাবারের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলোচনায় মির্জা ওয়াহিদ দাবী করেন, “বার্গার, পাস্তা ও সেট মেন্যুর সবচাইতে চাহিদা পাচ্ছি আমরা।”

“আমাদের ক্যাফে’তে বার্গার আছে মোট চার ধরনের, গরুর মাংসের দুটি আর মুরগির মাংসের দুটি। এদের মধ্যে ২১৫ টাকার ‘ওহ! বার্গার’ আর ১৯০ টাকার ‘দ্য ওয়াইফ সেভার’ সবচাইতে জনপ্রিয়। পাস্তা আছে দুধরনের, সবচাইতে বেশি চলে ‘দ্য রেড ওয়েডিং’, দাম ২২০ টাকা।”

কাজরিয়া কায়েস আরও বলেন, “সেট মেন্যু আছে মোট পাঁচটি। আর দুপুর ও রাতের খাবারের সময় এগুলোর বেশ চাহিদা থাকে। সবগুলো সেট মেন্যুতেই আছে একজন, দুইজন কিংবা চারজনের জন্য নেওয়ার সুবিধা, দাম ২৩০ টাকা থেকে ১০৫০ টাকার মধ্যে।”

এছাড়াও আছে নাচোস, স্যান্ডউইচ, স্যুপ, সালাদ, ফ্রাইড চিকেন, চিকেন উইংস, কফি, ব্রাউনি ইত্যাদি। পাউরুটি ব্যবহার করা হয় হট ব্রেড’য়ের। আর কফি বিন ব্যবহার করি নর্থ এন্ড’য়ের। তবে মাংস ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক উপকরণ স্থানীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে জানান কায়েস।

ছবি: সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের।