একে অপরকে সাহায্য করার মাধ্যমে অফিস সহকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, সহকর্মীদের কাজে সাহায্য করতে থাকলে একটা সময় সেটা সাহায্যকারীর মধ্যে মানসিক অবসাদ তৈরি করে এবং তা তার কর্মদক্ষতাও প্রভাব ফেলে।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, যে সব কর্মীরা একটু বেশি সামাজিক সম্পর্কের প্রেরণা অনুভব করেন অথবা যারা ভাবেন সবার উপকার করা তার একান্ত কর্তব্য, তারা অধিক মাত্রায় অবসাদে ভোগেন।
গবেষণার গবেষক এবং আমেরিকার মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রাসেল জনসন জানান, সহকর্মীদের সাহায্য করার মাধ্যমে সাহায্যকারী নিজেকে নিঃশেষিত করে ফেলেন। যারা খুব বেশি সাহায্য করার মনোভাব ধারণ করেন তাদের মধ্যে এর মাত্রা বেশি।
জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড সাইকোলজিতে প্রকাশিত নথিতে জনসন আরও জানান, যখন কেউ সাহায্য চান, তখন এ ধরনের মানুষগুলো অন্যকে সাহায্য করা নিজের কর্তব্য জ্ঞান করে। এ কারণে পরে তার নিজের কোনো সমস্যাও হতে পারে।
এ গবেষণার জন্য জনসনের দল বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত ৬৮ জন কর্মীকে বেছে নেন। বিভিন্ন শিল্প কারখানা, অর্থ প্রতিষ্ঠান, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের উপর টানা ১৫ দিন ধরে এই গবেষণা চালানো হয়।
যে দিনগুলোতে সহকর্মীদের সাহায্য করার বিষয়ে বেশি উৎসাহীত করা হয়, সেদিন ছোট বিরতি নিয়ে, একটু তন্দ্রায় গিয়ে, বেশি করে ক্যাফেইন খেয়ে; বেশি পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করার প্রবণতা দেখা যায়।
গবেষক জনসন মনে করেন, অফিসে সব সময় কিছু কর্মী থাকে যারা অন্যের সাহায্য নিতেই অভ্যস্ত। এমনকি দিনে কয়েকবারও একজনের থেকে সাহায্য নিতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। তাদের বোঝা উচিত সাহায্যকারী তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের শক্তি ক্ষয় করে। তাই সাহায্যকারীর প্রতি তাদের সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন।