কর্মক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী

সংসারে যতই সমস্যা থাকুক, অফিস পর্যন্ত সেটা টেনে না আনাই ভালো।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2016, 11:55 AM
Updated : 2 June 2016, 12:38 PM

সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, একই অফিসে চাকরি করতে হলে কাজ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কে মধ্যে সীমারেখা হয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে কাজ করলে দায়িত্ব ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ঘরে ও অফিসে একে অপরের দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত কর্মীসুলভ মনোভাব ধারণ করার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত সময়টুকুও রক্ষা করতে হবে।

এ বিষয়ে কিছু কৌশলও তুলে ধরা হয়।

ঘর ও অফিস আলাদা: ‘ঘরের কথা ঘরে, অফিসের কথা অফিসে’ পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো, এই নীতি মেনে চলতে হবে। ঘরের কাজে আপনাকে সাহায্য না করার মনক্ষুণ্নভাব অফিসে বয়ে নিয়ে আসা চলবে না। নিজেদের মধ্যকার দাম্পত্য কলহ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে কর্মক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

পরস্পরের প্রতি সম্মান: কর্মক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি কর্মীসুলভ দৃষ্টিভঙ্গী এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সহকর্মী স্বামী বা স্ত্রী হলেও ওই শ্রদ্ধা তাদের প্রাপ্য। ঘরেও এই অভ্যাস বজায় রাখা দরকার। আর কাজের সময় ব্যক্তিগত আলাপ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।

নিজস্বতা বজায় রাখা: অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে কাজ করার কারণে দম্পতিরা অফিস ও বাসার মধ্যকার সম্পর্ক আলাদা করতে পারে না। মনে রাখতে হবে একই অফিসে কাজ করেন বলেই যে অফিসে যাওয়া-আসা, দুপুরে খাওয়া ইত্যাদি একসঙ্গে করতে হবে এমনটা জরুরি নয়। মাঝে মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখলে নিজের জন্য সময় পাবেন।

অফিসে পৃথক বসার স্থান: একই অফিসে কর্মরত স্বামী-স্ত্রীর পৃথক বিভাগে কাজ করা ভালো। তবে একই বিভাগ কাজ করলে খেয়াল রাখতে হবে একজন আরেজনের কাজের উপর যেন কর্তৃত্ব না করে। নিজেদের কাজ ভাগ করে নিতে হবে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়।

নিজের চরকায় তেল দিন: বিবাহিত বলেই যে স্বামী বা স্ত্রীর অফিস বিষয়ক ঝামেলায় নাক গলাতে হবে এমন কোনো মানে নেই। ধরা যাক, সঙ্গী যদি অফিসের সহকর্মী বা কর্মকর্তার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে যান তবে আপনার সেখানে উপদেশ না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সঙ্গীর উপর আস্থা রাখুন। নিজেকে সামলানোর ক্ষমতা তার নিশ্চই আছে। তবে সঙ্গী উপদেশ চাইলে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।

আগে বৈবাহিক সম্পর্ক: কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি যাই হোক, মনে রাখতে হবে, আপনাদের সম্পর্ক সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সর্বদা সম্পর্কের প্রতি রক্ষণশীল হতে হবে। যদি কোনো কৌশলেই কাজ না হয় তবে প্রয়োজনে একজনকে চাকরি ছাড়তে হবে, তবে সম্পর্ক নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।